ব্লগ এবং ব্লগিং কি? ব্লগিং নিয়ে প্রশ্ন উত্তর পর্ব
ব্লগ হল অনলাইন ব্যক্তিগত দিনলিপি বা নোট । যার মাধ্যমে মানুষ তার জানা তথ্য গুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পারে। আপনি যে লেখাটি পড়ছেন সেটি হল ললিতরায় ডট কম ব্লগের একটি লেখা। অন্যদিকে ব্লগিং হল যারা ব্লগ লেখে তাদের কে ব্লগার বা ব্লগিং করা বলা হয়।
বিষয় টা হল ব্লগ একটি ঠিকানা। যেমন আমার ব্লগের ঠিকানা হল lalitroy.com। অন্যদিকে আমাকে কেউ যদি প্রশ্ন করে আপনি কি করেন তাহলে আমি উত্তর দিব যে আমি ব্লগিং করি। আবার আমি আমার পরিচয় দেওয়ার সময় বলতে পারবো আমি একজন ব্লগার।
আপনি এই লেখার মাধ্যমে ব্লগ এবং ব্লগিং বিষয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবেন। আমি এখানে যে উত্তর দিবো তা আপনার কাজে লাগবে আশা করছি। চলুন শুরু করা যাক…..
ব্লগ এবং ব্লগিং নিয়ে বিস্তারিত।
আজকের এই পোষ্টটি আপনাকে সম্পূর্ন সহযোগিতা করবেন আপনি কিভাবে আপনি আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করবেন। সেই সাথে ব্লগ এবং ব্লগিং নিয়ে কমন প্রশ্ন গুলো ইতি হবে।
- ব্লগ সাইট কিভাবে তৈরি করব?
- ব্লগিং কিভাবে শিখব?
- ব্লগিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়?
- ব্লগ শিখতে কত দিন সময় লাগে?
- আমি কিভাবে ব্লগিং শুরু করব?
- ব্লগিং শুরু করার কত দিন পর আয় হয়?
- ইউটিউব নাকি ব্লগিং কোনটি ভালো।
প্রশ্ন-১. ব্লগ সাইট কিভাবে বানাবো?
আপনি একজন ব্লগার বা ব্লগিং করতে চাইলে অবশ্যই আপনার একটি ব্লগ সাইট লাগবে। ব্লগ সাইট ছারা আপনি ব্লগিং কি ভাবে করবেন?
আমি এই ব্লগের একটি লেখায় শিখেয়েছি কিভাবে ব্যক্তিগত ব্লগ সাইট তৈরি করবেন ফ্রি? তারপরেও আমি কিছু প্রসেস শেয়ার করছি কিভাবে পেইড ব্লগিং শুরু করবেন?
আপনি যে ব্লগটি পড়ছেন তার কথায় লেখা যাক আমি কিভাবে এই ব্লগ সাইটি ওপেন করলাম।
প্রথমঃ আমি একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং কোম্পানি থেকে থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করি। আমি যে কোম্পানি থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করেছি তার নাম Putul Host
ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করার জন্য আপনাকে পুতুল হোস্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। একাউন্ট তৈরি করা হয়ে গেলে আপনি যে নাম দিয়ে ডোমেইন ক্রয় করতে চান সেটা দিয়ে সার্চ করতে হবে।
যদি সেই নামে ডোমেইন অন্য কেউ ক্রয় করে না থাকে তাহলে আপনি সেই ডোমেইনটি ক্রয় করতে পারবেন। একটি ক্লিয়ার করা যাক। ধরুন আপনি সার্চ দিলেন example লিখে। এখন কেউ যদি example নামে ডোমেইন পূর্বে ক্রয় করে থাকে তাহলে আপনি নতুন করে ক্রয় করতে পারবেন না।
হ্যাঁ পারবেন একটা উপায় আছে ধরুন আমি ক্রয় করলাম example.com তারমানে আপনি example.com ক্রয় করতে পারবেন না। কিন্তু আপনি example.org or .bd, .online, .shop, .net, .xyz, etc. ইত্যাদি ডোমেইন গুলো ক্রয় করতে পারবেন। কিন্তু কোন ভাবেই ডট কম দিয়ে ডোমেইন ক্রয় করতে পারবেন না। কারন আমি সেটা পূর্বে ক্রয় করেছি।
নিচের ছবি টি দেখুন।

আমি ডোমেই ক্রয় করার জন্য mybdblog দিয়ে সার্চ করেছি। কিন্তু আমার আগে কেউ একজন mybdblog ডোমেইনটি ডট কম দিয়ে ক্রয় করে রেখেছে। সুতরাং আমি সেটা ক্রয় করতে পারবো না।
কিন্তু আমি চাইলে অন্য ভাবে mybdblog এর সাথে কিছু এড বা মাইনাস করে ডোমেইনটি ক্রয় করতে পারবো।
দ্বিতীয়ঃ ডোমেইন ক্রয় করা হয়ে গেলে হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। ডোমেইন যদি বাড়ির ঠিকানা হয় হোস্টিং হল বাড়ি। যেখানে আপনার ডোমেইনের যাবতীয় তথ্য জমা থাকবে।
নোটঃ ডোমেইন এবং হোস্টিং দুইটির জন্য প্রতিবছর রিনিউ করতে হয়। মানে আপনি আজকে ৩০০০ হাজার টাকা খরচ করে ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করলে ঠিক আজ থেকে এক বছর পর আবার ৩০০০ হাজার টাকা দিয়ে ডোমেইন এবং হোস্টিং রিনিউ করতে হবে। আপনি চাইলে এক সাথে অনেক গুলো বছরের ডোমেইন এবং হোস্টিং ফি পূর্বে দিয়ে দিতে পারবেন।
হোস্টিং অনেক ধরনের হয়। তবে যারা ব্লগ সাইট তৈরি করে তারা সাধারনত শেয়ার হোস্টিং ক্রয় করে। কোম্পানি ভেদে শেয়ার হোস্টিং প্রাইজ কম বেশি হয়ে থাকে। নিচের ছবিতে পুতুল হোস্ট কোম্পানির কয়েকটি শেয়ার হোস্টিং প্রাইজ দেখুন।

ডোমেইন এবং হোস্টিং অর্ডার করা হয়ে গেলে আপনি একটি ইনভয়েস পাবেন। এবার সেই ইনভয়েস অনুযায়ি আপনার বিকাশ থেকে বা অন্য কোন পেমেন্ট ম্যাথড থেকে টাকা পেমেন্ট করতে হবে।
টাকা পেমেন্ট করা হয়ে গেলে আপনি যে জিমেইল দিয়ে হোস্টিং ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি করেছিলেন সেখানে ব্লগ সাইট সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

আপনি যে সকল তথ আপনার জিমেইলে পাবেন।
- সি-প্যানেল ইউজার এবং পাসওয়ার্ড। সেই সাথে সি-প্যানেলে প্রবেশ করার জন্য সি-প্যানেল লিংক।
- আপনি টাকা পেমেন্ট করেছেন তার সাকসেসফুল ম্যাসেজ।
সি-প্যানেল লিংক বলতে আপনি যে ডেমেইনটি ক্রয় করবেন তার সাতে / দিয়ে সিপ্যানেল ( /Cpanel ) লিখলে আপনি আপনার ব্লগের সিপ্যানেলে চলে যেতে পারবেন। এখন আপনি চাইলে সিপ্যানেল থেকে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করতে পারবেন।
এর জন্য সিপ্যানেলের নিচে দিকে যান। ছবিটি দেখুন…

ওয়ার্ডপ্রেসে ক্লিক করুন। নিচের ছবিটি লক্ষ করুন…

- https:// ( সিলেক্ট করুন ) তার পর আবার ডোমেইন।
- সাইটের নাম লিখুন। ( আপনি যেসকল বিষয় লিখতে চান সেই টাইপের একটি নাম লিখুন। ) যেমন আমার ব্লগের নাম ললিতরায়।
- সাইটের বর্ননা লিখুন। বর্ননা বলতে আপনার ব্লগটি কি কি বিষয়ে উপর তৈরি হচ্ছে তার সম্পর্কে।
- অ্যাডমিন ইউজার
- অ্যাডমিন পাসওয়ার্ড
- অ্যাডমিন জিমেইল
- ব্লগ ভাষা
- থিম সিলেক্ট করুন
- সর্ব শেষ ইন্সটল বাটনে ক্লিক করুন।
আপনি এখানে যে অ্যাডমিন ইউজার এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন তা আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে সেভ করে রাখুন।
কারন পরর্বতীতে ওয়াডপ্রেস ড্যাসবোর্ড প্রবেশ করার জন্য লাগবে। আপনার ব্লগের ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাসবোর্ডে যাওয়ার জন্য নিচের লিংক টিতে প্রবেশ করুন। শুধু youblog এর জায়গায় আপনার ব্লগটি লিখুন।
https://youblog.com/wp-admin
নিচের ছবিতে ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাসবোর্ডটি দেখুন…

উপরের ড্যাসবোর্ড থেকে আপনি আপনার ব্লগের সব তথ্য ম্যানেজ করতে পারবেন। যেমন ব্লগ পোস্ট করা, ব্লগ পেজ, প্লাগিন ইন্সটল, ব্লগ সাইট সিটিং ইত্যাদি।
নোটঃ আপনার ব্লগ সাইট সেটাপ করতে সমস্যা হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। কারন আমরা ফ্রি ব্লগ সাইট কাস্টমাইজ করে থাকি। আপনাকে শুধু ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করে দিতে হবে।
প্রশ্ন-২. ব্লগিং কিভাবে শিখব?
দেখুন আপনি শুধু শখের বসে ব্লগ সাইট বানিয়ে ব্লগিং শুরু করলে শেখার কিছু নেই। শুধু আপনাকে জানতে হবে কিভাবে ব্লগ পোষ্ট পাবলিশ করে।
সেটা খুবেই সহজ পোস্ট অপশনে ক্লিক করে আপনি প্রথমে টাইটেল দিন। তারপর ফাঁকা যায়গায় আপনি বিস্তারিত লিখুন। বিস্তারিত লেখা শেষ হয়ে গেলে পাবলিশ বাটনে ক্লিক করে ব্লগ পোষ্ট পাবলিশ করুন। নিচের ছবিটি দেখুন…

কিন্তু আপনি যদি প্রফেশনাল ব্লগার হতে চান তাহলে কিছু বিষয় আপনাকে জানতে হবে।
- ব্লগ সাইট কাস্টমাইজেশন
- এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোষ্ট লিখতে জানা
- ফটোশফ ( প্রাথমিক ধারনা থাকলেই হবে। )
- অফ-পেজ এসইও ( ব্যাকলিংক তৈরি করার কৌশল গুলো জানতে হবে। )
- টেকনিক্যাল এসইও ( সাইট-ম্যাপ, গুগল এনালাইটিক, গুগল ওয়েব মাস্টার, সি-প্যানেল সমস্যার সমাধান, ইত্যাদি )
আপনি ব্লগিং কোর্স করতে পারেন। কোর্স করলে প্রাথমিক ধারনা পাবেন এবং সেই সাথে কিভাবে কাজ গুলো করবেন তার একটি লিষ্ট পাবেন। আপনি Udemy থেকে কোর্স করতে পারেন।

আপনি যে কোর্স গুলো করতে পারেন।
- ব্লগ সাইট কাস্টমাইজেশন ( মানে ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন )
- এসইও ( সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন )
- কন্টেন্ট রাইটিং কৌশল।
এছাড়া ব্লগিং শেখার জন্য ইউটিউব ভিডিও দেখতে পারেন। ইউটিউব গিয়ে কিভাবে ব্লগ শিখবো সার্চ করলে হাজার হাজার ভিডিও দেখতে পারবেন। তাবে সবার ভিডিও না দেখে যার ভিডিও আপনার প্রেফেশনাল মনে হবে তার ভিডিও দেখুন।

অথবা আপনি ব্লগিং শেখার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট গিয়ে ব্লগিং বিষয়ে আরর্টিক্যাল পড়তে পারেন। আপনি গুগলে সার্চ করলে হাজার হাজার লেখা পাবেন ব্লগিং বিষয়ে।
প্রশ্ন-৩. ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
যারা প্রফেশনাল ব্লগিং করতে চান তাদের একটি কমন প্রশ্ন। ব্লগিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়? আমি একজন প্রফেশনাল ব্লগার আমাকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে বললে আমি বলব, ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় এর সঠিক কোন উত্তর নেই।
আমার ৭টি ব্লগ সাইট আছে। আমি আজকে একটি ব্লগ সাইটের আয় আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমি যে ব্লগটির আয় আপনাদের সাথে শেয়ার করব তার বয়স প্রায় ২ বছর। এবং আমি আপনাদের সাথে লাষ্ট দুই মাসের ইনকাম দেখাবো।
অবশ্যই আমি আমার ব্লগটির নাম শেয়ার করব না। শুধু আমি যে গুগল থেকে ইনকামের রিসিট পেয়েছি সেটা শেয়ার করব।
সেই ব্লগটি থেকে আমার April মাসের ইনকাম দেখুন।

আমার April মাসে আয় হয়েছিল ৩৬৩.৩১ ডলার। পেমেন্ট তারিখ ২১, কারন গুগল প্রতি মাসে ২১ তারিখ পেমেন্ট করে থাকে। বিষয় টা হল এমন যে আমি যদি মার্চ মাসে ১০০ ডলার আয় হয়। আমি সেই আয়টি পেমেন্ট পাবো এপ্রিল মাসের ২১ তারিখ। আবার এপ্রিল মাসে যেটা ইনকাম হবে আমি সেটা পাবো মে মাসের ২১ তারিখ।
এবার আমার মে মাসের ইনকামের রিসিট এর ছবি টা দেখুন।

মে মাসে আমি পেমেন্ট পেয়েছি ২৮০.০৪ ডলার। সুতরাং দেখতেই পাচ্ছেন আমি প্রতি মাসে অল্প কিছু অর্থ ইনকাম করে থাকি।
আমি যে ব্লগ সাইটির গুগল পেমেন্ট রিসিট শেয়ার করলাম তা ১০০% রিয়েল। এখানে কোন ধরনের দু নাম্বারি নেই।
এখন প্রশ্ন হল আমি যে ব্লগ সাইটির আয় শেয়ার করলাম তার প্রতিমাসে ভিজিটর কত। ব্লগ সাইটিতে প্রতি মাসে পেজ ভিউ হয় মিনিমাম ৩০,০০০ হাজারের উপর।
গুগল এডসন্সের প্রথম পেজে একটি ক্যালকুলেটর আছে। যেখানে হিসাব করা যায় আপনার ব্লগের ক্যাটাগরি অনুযায়ি প্রতি মাসে ৫০,০০০ হাজার পেজ ভিউয়ের জন্য কত ইনকাম করতে পারবেন।
ধরুন, আপনার ব্লগের ক্যাটাগরি ইন্টারনেট এবং টেলিকম। আপনার ব্লগের ভিজিটর এশিয়া মহাদেশের। এবং প্রতি মাসে ব্লগের পেজ ভিউ ৫০,০০০ হাজার হলে আপনার বার্ষিক ইনকাম হবে ৬,৭৩৮ ডলার। মাসে প্রতি মাসে ৫৬১.৫ ডলার।

সুতরাং বুঝতে পারছেন ব্লগের ইনকাম অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে থাকে। সুতরাং ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় এর কোন সঠিক উত্তর নেই।
তাবে আপনি যদি ব্লগিং এবং এসইও টেকনিক গুলো শিখতে পারেন তাহলে একটি ব্লগ থেকে সহজে ২০০ থেকে ৩০০ ডলার আয় করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপানর ব্লগে মিনিমাম ৩০০ থেকে ৪০০ ব্লগ পোষ্ট থাকতে হবে।
একটি ভালো মানের ব্লগ পোষ্ট করতে মিনিমাম ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগে। তারমানে প্রতি মাসে আপনি ১৫ থেকে ১২ টি ব্লগ পোষ্ট করতে পারবেন। এভাবে প্রতিনিয়ত কাজ করলে ৩০০টি ব্লগ পোষ্ট করতে সময় লাগবে ৬০০ দিন মাসে ২০ মাসের মত।
সব শেষে বিষয়টা হল আপনি টানা ২ বছর পরিশ্রম করতে পারলে প্রতি মাসে আপনার ভালো ইনকাম হবে। আশা করছি বিষয় গুলো বুঝতে পেরেছেন।
ব্লগিং শিখতে কত দিন সময় লাগে?
ব্লগিং শিখতে কত দিন সময় লাগে? এই প্রশ্নটির উত্তর হল অনলিমিটেড। ব্লগিং প্রফেশনাল ভাবে করতে গেলে আপনাকে প্রতি নিয়ত জানতে হবে শিখতে হবে।
তবে, ব্লগিং শুরু করার জন্য সময় লাগেব ৭ দিন। বা তারও কম সময় লাগতে পারে। আপনার পূর্বের অভিজ্ঞতা থাকরে ১ দিনে শিখতে পারেন।
ব্লগিং করার জন্য যে সকল মেইন বিষয় গুলো আপনাকে জানতে হবে। তাহল ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয়, ওয়ার্ডপ্রেস সেটাপ, থিম কাস্টমাইজেশন, প্রয়োজনীয় প্লাগিন সম্পর্কে জানতে হবে, সাইট-ম্যাপ সাবমিট, গুগল এনালাইটিক, কি-ওয়ার্ড রিসার্স, ব্লগ পোষ্ট লেখার কৌশল, ইত্যাদি।
মোটা মুটি উপরের লাইনে উল্লেখ্য করা বিষয় গুলো জানা থাকলে ব্লগিং শুরু করে দিতে পারবেন। আবার উপরের কোন বিষয় জানা ছাড়াও আপনি ব্লগিং শুরু করে দিতে পারেন। আস্তে আস্তে ব্লগিং করার সাথে সাথে শিখবেন।
আমি ব্লগিং করতে চাই কিভাবে শুরু করব?
ব্লগিং আপনি কিভাবে শুরু করতে চান এটা আসল বিষয়। কারন ব্লগিং দুই ভাবে করা যায়। (এক) ফ্রি ওয়েব ২.০ ওয়েবসাইট দিয়ে (দুই) পেইড ভাবে মানে ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করে।
ফ্রি ব্লগ শুরু করা যায় এমন ওয়েবসাইট গুলো হল ওয়ার্ডপ্রেস, ওয়েবলি, Wix, ব্লগার, ইত্যাদি। এই সকল ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার জিমেইল দিয়ে একাউন্ট ক্রিয়েট করুন। একাউন্ট ক্রিয়েট করার সময় আপনার ব্লগের নাম দিন। এবং সেই নামে আপনার ফ্রি ব্লগিং করা শুরু করুন।
অন্যদিকে পেইড ব্লগিং করার জন্য ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করুন। ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করুন। থিম কাস্টমাইজেশ করে শুরু করুন।
ব্লগিং শুরু করার কত দিন পর আয় হবে?
ব্লগের আয় নির্ভর করে ব্লগে কত সংখ্যক ভিজিটর আসতেছে তার উপর। আপনি আজ একটি ব্লগ সাইট ওপেন করলেন। এবং কিছু দিনের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ টি ব্লগ পোষ্ট লিখে পাবলিশ করলেন।
পাবলিশ করা ব্লগ পোষ্ট গুলো বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে শেয়ার করা শুরু করলেন। তাছার বিভিন্ন ফোরাম, মাইক্রো ব্লগিং প্লাটফর্মে আপনি আপনার ব্লগের প্রমোশন করা শুরু করলেন।
আস্তে আস্তে মানুষ আপনার ব্লগ ভিজিট করা শুরু করবে। যদি আপনার ব্লগ পোষ্ট গুলো ভালো হয় তাহলে মানুষ বার বার আসবে।
এই ভাবে যত তাড়াতাড়ি আপনি আপনার ব্লগে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন তত তাড়াতাড়ি ইনকাম করতে পারবেন।
যদি ব্লগ ওপেন করার ১ মাসের মধ্যে আপনার ব্লগে ভিজিটর আসা শুরু করে তাহলে একমাসের মধ্যে ইনকাম শুরু হবে।
যদি আপনার ব্লগ ওপেন করার ৫ মাস পর ভিজিটর আসা শুরু করে তাহলে ৫ মাস পর আয় শুরু হবে। আশা করি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।
ইউটিউবিং নাকি ব্লগিং কোনটি করব?
হ্যাঁ ইউটিউবিং করলে ব্লগিং করা কিছুটা সহজ। কারন আপনি চাইলে আপনার ইউটিউবের ভিজিটরকে ব্লগ সাইটে নিয়ে আসতে পারবেন। আবার ব্লগ সাইট থেকে ভিউয়ার ইউটিউবে নিয়ে যাওয়া যায়। আসল কথা দুইটি রিলেটেড।
আপনি যে কোন বিষয় গুছিয়ে লিখতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে ব্লগিং শুরু করা ভালো হবে। অন্যদিকে আপনি খুব ভালো ভিডিও তৈরি এবং এডিটিং করতে পারেন এর জন্য আপনি ইউটিউবিং শুরু করতে পারেন।
আপনার দক্ষতার উপর নির্ভর করবে আপনি কি শুরু করবেন। আপনার যে বিষয় দক্ষতা বেশি সেই বিষয়টা দিয়ে শুরু করাটা ভালো হবে।
যে বিষয় দক্ষতা নেই সেই বিষয়টা শুধু শুধু শুরু করাটা আপনার জন্য ভালো হবে না।
মাইক্রো ব্লগিং কি? মাইক্রো ব্লগিং বিষয়ে বিস্তারিত
Click the above button to visit next page
You visited 1/10 pages