ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে আয় করার ১০টি উপায়

ওয়েবসাইট দুই ধরনের হয়ে থাকে। এক বিজনেস ওয়েবসাইট দুই ব্লগিং ওয়েবসাইট। দুইটি ওয়েবসাইটের দুই ধরনের উদ্দেশ্য থাকে। বিজনেস ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল অনলাইনে ব্যবসা করার মাধ্যমে অর্থ ইনকাম করা। অন্য দিকে ব্লগ ওয়েবসাইট কি ভাবে আয় করে সেই সকল বিষয় নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

ব্লগ ওয়েবসাইট কি?

যে সকল ওয়েবসাইট বিভিন্ন ক্যাটাগরির লেখা, ভিডিও, ছবি ইত্যাদি কন্টেন্ট তৈরি করে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে তাদের ব্লগ ওয়েবসাইট বলে। ব্লগ ওয়েবসাইট গুলোর উদ্দেশ্য হল বেশি বেশি ভিজিটর তাদের ওয়েবসাইটে নিয়ে আসা।

একটু সোজা ভাবে বললে বিষয়টা এমন দ্বায়ার যে বেশি বেশি মানুষ যেন ব্লগ সাইটি ভিজিট করে। ব্লগের লেখার টপিক এক বা একাধিক হতে পারে।

যেমন কেউ একই ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট থেকে আয় করার টিপস শেয়ার করছে আবার অন্যদিকে ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্লগিং, ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করছে। এই ধরনের ব্লগ গুলোকে সম্নলিত ব্লগ বলা হয়।

যে আপনি যে লেখাটি বর্তমানে পড়ছেন এটা একটি ব্লগ সাইট। ব্লগ সাইট গুলো তাদের লেখা পড়ার জন্য ভিজিটরদের কাছ থেকে কোন ধরনের চার্জ করে না। যেমন আপনি এই লেখাটি ফ্রি পড়ছেন। কিন্তু ব্লগার অন্য ভাবে ব্লগ থেকে ইনকাম করে থাকে।

ফ্রি ব্লগ তৈরি করুন

আবার অনলাইন বিজনেস ওয়েবসাইট গুলোর ব্লগ আছে। তারা তাদের বিজনেস সাইটের একটি ক্যাটাগরি ব্লগের মধ্যে রাখে। বিজনেস ওয়েবসাইট গুলো তাদের কাস্টমারদের টার্গেট করে বিভিন্ন ধরনের ব্লগ লিখে থাকে।

১. বিজ্ঞাপন প্রদানের মাধ্যমে আয় করা

একজন ব্লগার ব্লগ লেখা শুরু করার আসল উদ্দেশ্য হল আয় করা। এবং নতুন একজন ব্লগারের দুই ধরনের চিন্তা থাকে।

  • বিজ্ঞাপন প্রর্দশন করে আয়
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

আপনি একটি ব্লগ তৈরি করার পর। আপনার পছন্দের টপিক অনুযায়ি লিখতে পারবেন। লক্ষ লক্ষ টপিক আছে ব্লগে লেখার মত।

বিজ্ঞাপন প্রর্দশনের মাধ্যমে আয় করতে চাইলে আপনাকে যা যা করতে হবে।

  • আপনার ব্লগটিতে কন্টেন্ট থাকতে হবে। কন্টেন্ট মানে লেখা, ভিডিও, ছবি ইত্যাদি বিষয় গুলো।
  • ব্লগের কন্টেন্ট গুলো ইউনিক,হাই-কোয়ালিটি সম্পূর্ন হতে হবে। ( আপনি অন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে কপি করা লেখা আপনার ব্লগে ব্যবহার করা যাবে না। )
  • আপনার বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে।
  • এবং আপনাকে অবশ্যই বিজ্ঞাপনের জন্য গুগল অ্যাডসন্সে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে এপ্লাই করতে হবে।

শুধু গুগল অ্যাডসন্স নয়। গুগল অ্যাডসন্স ব্যতিত আরও অনেক কোম্পানি আছে যারা ভিজিটর মনিটাইজন করার জন্য অর্থ প্রদান করে থাকে।

আপনার ব্লগ সাইটের ইনকাম নির্ভর করে বিজ্ঞাপন প্রর্দশন এবং বিজ্ঞাপন এনগেজমেন্টের উপর। সাধারনত ব্লগ সাইটের ভিজিটর যত বেশি হয় ইনকাম তত বেশি হয়।

Example of Google AD
Example of Google AD

ব্যক্তিগত নোটঃ ব্লগ সাইটে ভিজিটর না থাকলে, Google Adsense মনিটাইজেশন পাওয়া যায় না।

ব্লগ সাইট মনিটাইজেশন করে আয় করা যায় এমন কয়েকটি ওয়েবসাইট।

Adsterra

Clickky

BuySellAD

BidVertiser

AdRecover

২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

আমার একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট আছে। আমার ওয়েবসাইটে অনেক ধরনের পন্য আছে। আমার ওয়েবসাইটে মানুষ এসে পন্য অর্ডার করলে আমি তাদের ঘরে পন্য পৌচ্ছে দেই।

কিন্তু সমস্যা হলে আমার ই-কমার্স ওয়েবসাইট ভিজিটর বেশি আসে না। ভিজিটর কম আসার কারনে আমার বিক্রি কম হয়।

অন্যদিকে আপনার একটি ব্লগ ওয়েবসাইট আছে যেখানে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ বা কয়েক হাজার মানুষ আসে। আমি চাই আপনার ব্লগের ভিজিটর আমার ওয়েবসাইটে আসুক এবং কিছু ক্রয় করুক।

আপনার ব্লগ সাইটের ভিজিটর আমার ই-কমার্স সাইটে এসে কিছু ক্রয় করলে তার একটি নিদিষ্ট কমিশন আমি আপনাকে দিবে।

সেটা হতে পারে ৩০%, ২০%, ৪০%, ৭০% ইত্যাদি।

আপনি উপরের লেখায় যে গুলো বললাম সেটা কিভাবে হবে।

  • সাধারনত ই-কমার্স বা সার্ভিস বিক্রয় করা সাইট গুলোতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের জন্য একটি লিংক থাকে। আপনি সেই ওয়েবসাইটে গিয়ে একাউন্ট খুলবেন।
  • আপনার একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে আপনাকে তার একটি নিদিষ্ট লিংক দিবে। যে লিংকের মাধ্যমে কেউ তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে পন্য ক্রয় করলে তার বুঝতে পারবে যে এটা আপনার মাধ্যমে এসেছে।
  • যত গুলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার থাকবে তাদের প্রত্যেকের লিংক গুলো ভিন্ন ভিন্ন হবে।
  • আপনার মাধ্যমে যে পন্য গুলো বিক্রয় হবে তার কমিশনের টাকা আপনি মাস শেষে আপনার ব্যাংক একাউন্টে পেয়ে যাবেন।

উদাহরন দেওয়া যাক, https://example.com/7898uudis এটা আমার লিংক। অন্য অফিলিয়েট মার্কেটারের লিংক টা হবে https://example.com/oisijui8349।

আপনার অ্যাফিলিয়েট একাউন্টে এই ধরনের লিংক গুলো পাবেন।

আপনি কি করবেন?

  • আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকটি আপনার ব্লগের লেখার সাথে হাইপারলিংক করে দিবেন। ( হাইপারলিংক হলে একটি লেখার মাধ্যে অন্য ওয়েবসাইটের লিংক সংযোগ করা। )
  • লিংকটি আপনার ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি মাধ্যম গুলোতে শেয়ার করতে পারেন।
  • আপনি একই সাথে অনেক ‍গুলো অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম একটি ব্লগে রাখতে পারেন, এতে কোন সমস্যা হবে না।

অ্যাফিলিয়েট ব্লগ সাইট করার জন্য প্রথম থেকে পরিকল্পনা করে করতে হবে। আপনার পরিকল্পনায় সমস্যা থাকলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা সহজ হবে না। অ্যাফিলিয়েট ব্লগার হাজার হাজার ডলার ইনভেস্ট করে থাকে। তাদের উদ্দেশ্য থাকে ভালো মানের কমিশন আয় করা।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেট প্লেস

CJ

Amazon

Sharesale

৩. ভিজিটর শেয়ার করে আয় করা

ওয়েবসাইট ভিজিটর স্পন্সার করে আয়

ধরুন, আমার এই লেখাটি প্রতিদিন ১০০ জন মানুষ পড়তে আসে। একই সাথে তারা আমার এই ব্লগের অন্য লেখা গুলো পড়ে বা ঘুরে আসে।

এই ব্লগের সাথে অন্য ওয়েবসাইটের যে লিংক গুলো যোগ করা আছে এর ফলে অনেক ভিজিটর আমার ব্লগের মাধ্যমে তাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে।

এই আমার ওয়েবসাইট থেকে ভিজিটর তাদের ওয়েবসাইটে যায় এটা আমি ফ্রি দিবো না। আমি তৃতীয় কোন ওয়েবসাইটের সাথে যোগাযোগ করলাম, যারা ভিজিটর চায় সেই সকল ওয়েবসাইটের সাথে সংযোগ করে দিবে। অব্যশই তৃতীয় পক্ষ মধ্যখান থেকে কমিশন পাবে।

এবার আমি আমার ব্লগে সেই সকল ওয়েবসাইটকে রেফার করব যারা আমাকে পেমেন্ট করে। আমার ব্লগ থেকে তাদের ব্লগে ১০০০ হাজার ভিজিটর যাওয়ার জন্য ১০ থেকে ১৫ ডলার ( অনুমানিক ) পেমেন্ট করে ।

ভিজিটর শেয়ার এই ধরনের কাজ গুলোকে স্পন্সার লিংক কাজ বলা হয়ে থাকে। যে সকল এজেন্সি এই ধরনের কাজ দিতে চায় তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।

৪. স্পন্সার পোষ্ট

আমি আমার ব্লগে ব্লগিং, হোস্টিং, ডোমেইন ইত্যাদি সাবজেট গুলো নিয়ে লেখা লেখি করি। এবং প্রতিদিন অনেক ভিজিটর আমার ব্লগে আসে।

আপনার একটি হোস্টিং কোম্পানি আছে। আপনি চাইছেন আমি যেন আপনার হোস্টিং কোম্পানির উপর একটি ব্লগ লিখি। এবং ব্লগে আপনার ওয়েবসাইটের নাম মেনশন করি।

এই পোষ্টের জন্য আপনি আমাকে পেমেন্ট করবেন। আমি আপনার কোম্পানি আমার ব্লগে লিখলাম একটি শর্তের মধ্যমে। এই ধরনের পোষ্ট গুলোকে স্পন্সার পোষ্ট বলে।

Sponsor Blog Post

ব্লগের জন্য স্পন্সার পোষ্ট ————

  • ব্লগে ভিজিটর থাকতে হবে। ( প্রতিদিন মিনিমাম ভিজিটর কয়েক হাজার হতে হবে। )
  • স্পন্সার পোষ্ট রিলেটেড পোষ্ট পূর্বে থাকলে স্পন্সার পোষ্ট পেতে সুবিধা হয়।
  • পূর্বে স্পন্সার পোষ্ট করেছেন এমন ব্লগ বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।

একটি পোষ্টের জন্য কত টাকা পাবেন এটা নির্ভর করে আপনার ব্লগের কোয়ালিটির উপর। আপনার ব্লগের কোয়ালিটি ভালো হলে প্রতি পোষ্টে জন্য ১০০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন।

ব্লগ স্পন্সার পাওয়ার জন্য যে সকল ওয়েবসাইটের সহযোগিতা নিতে পারেন।

PayperCost

izea

Markerly

Seedingup

Getreviewed

৫. কোর্স বিক্রয় করে ব্লগ সাইট থেকে আয়

যদি কেউ বলে ভালো রেজাল্ট করার জন্য টিউশন নেওয়ার দরকার কেন হয়। যদিও আমরা স্কুলে বা কলেজে পড়ালেখা করি।

দেখুন আমি বলছি না। আপনাকে টিউশন নিয়ে ভালো রেজাল্ট করতে হবে। অনেক ছাত্র/ছাত্রী আছে যারা কোন টিউশন ছারা ভালো রেজাল্ট করে।

ইউটিউব ভিডিও, ফেসবুক, ব্লগ এতো সকল মাধ্যম থাকার পরেও কেন অনলাইনে কোর্স বিক্রয় হচ্ছে। এর সাধারন উত্তর হল পরিকল্পনা মাফিক কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা অন্য সকলের থেকে ভিন্ন।

অনেক ভালো ভালো ইউটিউব ভিডিও আছে যারা এসইও শিখাচ্ছে ফ্রি তার পরেও Udemy থেকে মানুষ কোর্স ক্রয় করছে।

ধরুন আপনি একজন সফল ব্লগার। এখন আপনি চাচ্ছেন আপনার ব্লগের মাধ্যমে ব্লগিং নিয়ে কোর্স বিক্রয় করতে। আপনি ডিজিটাল কোর্স তৈরি করে আপনার ব্লগের মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারবেন।

  • আপনার ব্লগের হেডারে, ফুটারে, সাইট-বারে যে কোন যায়গায় কোর্সের উপর ব্যানার এড দিন। আপনার ব্লগ যারা ভিজিট করবে তারা কোর্স ক্রয় করবেন।
  • কোর্স ফি ডিজিটাল ব্যাংকিং যেমন বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদির মাধ্যমে নিতে পারবেন।
  • কোর্স কোয়ালিটি ভালো করতে পারলে কোর্স বিক্রয় করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

আপনি চাইলে অন্য কারো কোর্স কমিশন ভিত্তিতে বিক্রয় করে দিয়ে ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে পারেন। অথবা কোর্স বিক্রয় করে এমন কিছু ওয়েবসাইটের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করতে পারেন।

৬. পন্য বিক্রয় করার মাধ্যমে আয় করা

আপনি আপনার ব্লগের মাধ্যমে যে কোন ধরনের ডিজিটাল এবং ডিজিটাল নয় এমন সকল পন্য বিক্রয় করতে পারবেন।

ধরুন, আপনার ব্লগটি ইলেকট্রনিক্স গেজেট সম্পর্কিত। আপনি নিত্য নতুন প্রযুক্তি পন্য নিয়ে লেখা লেখি করেন। এখন এই সকল নতুন পন্য গুলো আপনি আপনার ব্লগের মাধ্যমে সেল করতে পারেন।

আপনি চাইলে আপনার পন্য বিক্রয় করার জন্য একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। আপনার ব্লগের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিলেন।

যদি কারো ক্রয় করা ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটে গিয়ে পন্য ক্রয় করবে। পন্য সেল হয় এমন কিছু ক্ষেত্র মনে রাখতে হবে।

  • আপনার ব্লগের টপিক রিলেটেড পন্য বিক্রয় করার চেষ্টা করুন।

যেমন, আমি অনলাইন আয়, ব্যবসা ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে ব্লগ লিখি এখন এই ব্লগে যদি ডিজিটাল ডিভাইস বিক্রয় করতে চাইলে তাহলে সাড়া পাবো না।

কিন্তু আমি এই ব্লগে যদি অনলাইন ব্যবাসর কৌশল এর উপর একটি বই বিক্রয় করতে চাই তাহলে সেটা বিক্রি হবে। সুতরাং পন্য বিক্রয় হবে আপনার ব্লগের ভিজিটরের ধরনের উপর।

৭. বিজ্ঞাপনের জন্য ওয়েবসাইটের স্থান ভাড়া দিন

ওয়েবসাইট মনিটাইজেশন ব্যতিত আপনি আপনার ব্লগের নিদিষ্ট কিছু স্থান ভাড়া দিতে পারেন। পিজিক্যাল পত্রিকায় আমরা বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখতে পাই।

সেই একই ধরনের বিজ্ঞাপন আমরা ব্লগের বিভিন্ন স্থানে দিতে পারি। ব্লগের যে সকল স্থানে ব্যানার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়।

Blog AD

এই ধররেন বিজ্ঞাপনের জন্য কোম্পানি গুলোর সাথে মাসিক ভিত্তিতে চুক্তি হয়। কখনো কখনো এক বছরের জন্য হতে পারে। বিজ্ঞাপনের জন্য ভাড়ার কোন ঠিক নাই। কোম্পানির সাথে কথা বলে ঠিক করে নিতে হয়।

বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য যা করা যেতে পারে।

  • ওয়েবসাইটের এই সকল স্থান ভাড়া দেওয়া হবে এই মর্মে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। ( নিজের ব্লগে নিজে নিজেই বিজ্ঞাপন দিন। )
  • কোম্পানি ‍গুলোর সাথে সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সাধারনত কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করেই বিজ্ঞাপন নিতে হয়।
  • কোন কোন কোম্পানির জন্য ১ বা ২ মাসের জন্য ফ্রি বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।

অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা বিজ্ঞাপনের ভাড়া থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে।

BuySellAds

৮. ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সার্ভিস বিক্রয়

আপনি এই ব্লগের লেখাটি পড়ছেন তার মানে আপনি জানতে চান কি কি উপায়ে ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে আয় করা যায়। এই লেখাটি পড়ার সময় আপনার অবস্থান দুই রকম হতে পারে।

  • আপনার কোন ব্লগ ওয়েবসাইট আছে।
  • আপনার কোন ব্লগ ওয়েবসাইট নেই।

যদি আপনার ব্লগ সাইট থেকে থাকে তাহলে আপনি জানতে এসেছেন যে আরও কি ভাবে আয় করা যায়। যদি ব্লগ সাইট না থাকে তারমানে আপনি ব্লগ সাইট তৈরি করার আগে জানতে এসেছেন কি কি উপায়ে ওয়েবসাইট থেকে আয় করা যায়।

আচ্ছা ধরে নিলাম আপনার কোন ব্লগ সাইট নেই। এবার আমি এই ব্লগের যে কোন যায়গায় একটা ব্যানার সেট করলাম।

এবং সেখানে লিখে দিলাম আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট আমাদের কাছ থেকে তৈরি করে নিতে পারবেন। ব্লগ সাইট তৈরি করে নিতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

আপনি আমাদের ব্লগের ভিজিটর আমরা আপনাকে আমাদের সার্ভিস বিক্রয় করার চেষ্ট করছি এই ব্লগের মাধ্যমে। এই আপনি আপনার ব্লগের মাধ্যমে যে কোন ধরনের সার্ভিস বিক্রয় করে ইনকাম করতে পারবেন।

তবে ভালো হয় যদি আপনার ব্লগের টপিক রিলেটেড সার্ভিস প্রদান করেন। সাধারনত টপিক রিলেটেড সার্ভিস বেশি বিক্রয় হয়।

একটা উদাহরন দেওয়া যাক,

আপনি গুগলে গিয়ে সার্চ করলেন “জাপানি ভাষা শেখার উপায়” । আপনি প্রথম ১০টি রেজাল্টের মধ্যে ৫টি ব্লগ ভিজিট করলেন এবং বোঝার চেষ্টা করলেন কি ভাবে জাপানি ভাষা শেখা যায়।

জাপানি ভাষা শেখার উপায়

এর মধ্যে একটি বা দুইটি ব্লগে জাপানি ভাষা শেখার কোর্সে জয়েন করার জন্য ছাড় দিচ্ছে। অথবা ব্লগের মধ্যে আপনাকে কোর্সের অফার করছে।

দেখুন রিলেটেড টপিকের উপর কোর্স অফার করা হচ্ছে। সুতরাং আপনার ভিজিটর সেই কোর্স ক্রয় করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবে এটাই স্বাভাবিক। এই ভাবে আপনার ব্লগের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস বিক্রয় করে আয় করতে পারেন।

৯. লিড বিক্রয় করার মাধ্যমে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম

আমার ব্লগটি আইন বিষয় বিভিন্ন সমস্যার উপার লেখা। যে সকল ভিজিটর আমার ব্লগে আসে তার মধ্যে ৮০% আইনি সহায়তা চায়।

আমার সাথে বিভিন্ন ল-ফার্মের সাথে যোগাযোগ আছে। এই ধরনের ল-ফার্ম গুলোকে আমি ক্লাইন্ট পাওয়ার জন্য সহযোগিতা করি।

আমি আমার ব্লগে যখন কোন পোষ্ট পড়বেন তখন আমি আপনার কাছে কিছু তথ্য চাইবো সহযোগিত দেওয়া লক্ষে। তথ্য গুলো হল

  • আপনার নাম, জেলা, মোবাইল নম্বার, ই-মেইল ইত্যাদি।

আপনি এই সকল তথ্য আমি ল-ফার্মের কাছে শর্ত স্বাপেক্ষে প্রদান করব। এবং ল-ফার্মের কর্মী আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।

আপনি সেই ল-ফার্মের কাছে সার্ভিস নিলে ভালো যদি সার্ভিস না নেন তার পরেও আমার কোন সমস্যা নেই। আমি শুধু ফার্মের সাথে ক্লাইন্টের সংযোগ স্থাপনের কাজ করেছি। এবং এই কাজের জন্য কিছু অর্থ পেয়েছি।

১০. পণ্যের কুপন বিক্রি করে ওয়েবসাইট থেকে আয়

আপনি দারাজে গিয়ে একটি পন্য অর্ডার করলেন ৫০০ টাকায়। সেই একই পন্য আমার ব্লগ থেকে গিয়ে ক্রয় করলে পাবেন ২০% ছারে মানে ৪০০ টাকা।

( এই ক্ষেত্রে কিছু শর্ত দেওয়া থাকে। ) যেমন আপনাকে ১০০০, ২০০০, ৩০০০, হাজার টাকার মার্কেট করতে হবে এমন কিছু।

আপনি যখন দারাজে গিয়ে পন্যটি অর্ডার করবেন তখন আমার কুপন কোডটি আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। উদাহরন কুপন কোড: UPSMCT232 ( দেখতে এমন বা ভিন্ন ধরনের হতে পারে। )

আমার কুপন কোড ব্যবহার করে যে সকল কাস্টমার পন্য ক্রয় করবে একই সাথে সে এবং আমি দুই জনের প্রফিট হবে। বলতে পারেন WIN and WIN অবস্থা।

এই জন্য আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইটে গিয়ে কুপন কোডের জন্য আবেদন করতে হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আপনার ব্লগে কোডটি প্রোমোশন করে ইনকাম করতে পারেন।

Create a Coupon in Amazon

Wpbeginner কুপন ওয়েবসাইটি ঘুরে আসতে পারেন।

শেষ অংশের কথা

আপনি পুরাতন ওয়েবসাইট ওনার হলে আপনি ভালো করে জানেন কিভাবে ওয়েবসাইট থেকে আয় করা যায়। হ্যাঁ আপনি নতুন কিছু বিজনেস আইডিয়া নেওয়ার জন্য এই পোষ্টটি ভিজিট করতে পারেন।

আপনি সম্পূর্ন ভাবে নতুন হয়ে থাকলে। আপনার উদ্দেশ্য কিছু কথা হল প্রথমে ওয়েবসাইটের কোয়ালিটির উপর নজর দিন। কোয়ালিটি বলতে

  • কোয়ালিটি সম্পূর্ন কন্টেন্ট
  • ওয়েবসাইটের এসইও
  • ওয়েবসাইটের ভিজিটর

ব্লগে ভিজিটর থাকলে আপনি তাদের কাজে লাগিতে অনেক উপায়ে আয় করতে পারবেন। কিন্ত ‍আপনার ব্লগ যদি মানুষ ভিজিট না করে তাহলে কিভাবে আয় করবেন।

কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর

ব্লগ ওয়েবসােইট ওপেন করার পর কি ইনকাম করা সম্ভব?

এই প্রশ্নের উত্তর হল না। কারন আপনি যখন নতুন ব্লগ সাইট ওপেন করবেন তখন সেই ব্লগে কোন ধরনের লেখা থাকবে না। আবার লেখা থাকলেও সেই ব্লগ গুলো পড়ার জন্য লোক আসবে না। ব্লগ তৈরি করার পর বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে লিখতে হবে।

লেখা শুরু করার পর অনেক ধরনের কাজ আছে যে গুলো করতে হবে। যেমন সাইট ম্যাপ সাবমিট করা, টেকনিক্যাল এসইও ঠিক করা, অন-পেজ এসইও করা, ইত্যাদি।

মিনিমাম ১০০ ব্লগ পোষ্ট করলে কিছু ভিজিটর প্রতিদিন আপনার ব্লগ ভিজিট করবে। এই অবস্থায় আপনি গুগল অ্যাডসন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন।

সব কিছু ঠিক থাকলে ব্লগ সাইট তৈরি করার ৫ থেকে ৬ মাস পর কিছু ইনকাম আসতে পারে।

ব্লগ সাইট তৈরি করতে কত খরচ হয়?

একই ব্লগ সাইট তৈরি করতে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। যদি নিজে ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করে ব্লগ তৈরি করতে পারেন সেই ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।

বি.দ্রঃ যত টাকা দিয়ে ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করবেন তা প্রতি বছর রিনিউ করতে হবে তত টাকা দিয়ে।

ওয়েবসাইট থেকে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব?

এটা নির্ভর করে ওয়েবসাইটের ভিজিটরের উপর। আপনার ব্লগে বা ওয়েবসাইটে যত বেশি ভিজিটর আসবে তত বেশি ইনকাম করার সুযোগ তৈরি হবে।

যদি ব্লগে ভিজিটর না থাকে তাহলে এক টাকা আয় করা সম্ভব নয়। একটা মিনিমান হিসাব দেওয়া যেতে পারে যদি ব্লগে প্রতিদিন গড়ে ১০০০ হাজার ভিজিটর আসে তাহলে মাসে ইনকাম হতে পারে ১০০০ হাজার থেকে ৫০০০ হাজার ডলার পর্যন্ত। এটা আসলে অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে যেমন

  • কোন দেশ থেকে আপনার ব্লগ ভিজিট হচ্ছে।
  • ব্লগের কন্টেন্ট গুলো কেমন।
  • একজন ভিজিটর আপনার ব্লগে কত সময় ব্যায় করছে।
  • ব্লগের এড ইমপ্রেশ কেমন হচ্ছে।

অনেক সময় অল্প ভিজিটর দিয়েও ভালো ইনকাম করা সম্ভব। বললাম যে এটা সঠিক ভাবে বলা সম্ভব নয়।

যা হোক অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হল। কোন ধরনের প্রশ্ন থাকলে কন্ট্রাক পেজে গিয়ে ই-মেইল করুন। ধন্যবাদ।

Click the above button to visit next page

You visited 1/10 pages

This div height required for enabling the sticky sidebar