১০টি ঘরে বসে পার্ট টাইম জব ইন বাংলাদেশে
সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশে ঘরে বসে পার্ট টাইম জব করার প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু বাংলাদেশ নয় প্রায় সারা বিশ্বে বাসা থেকে পার্ট টাইম এবং ফুল টাইম জব করছে মানুষ।
চাকরি বলতে আমরা বুঝি কারো অন্ডারে কাজ করা। যেখানে আমি প্রতি মাসের শেষে বেতন পাবো যা নিদিষ্ট করা থাকে। আপনি চাইলে ঘরে বসে চাকরি না করে অন্য কাজ করেও ইনকাম করতে পারবেন।
অবশ্য ঘরে বসে জব করার যেমন ভালো দিক আছে তেমনি অনেক খারাপ দিক আছে। বাড়ি থেকে কাজ করার ফলে অফিস কাজের যে পরিবেশ সেটা আপনি পাবেন না।
অফিসে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায় না। দল হয়ে কাজ করার প্রবনতা কমে যায়। একই সাথে অফিস কাজ শেখার একটি ভালো মাধ্যম। আপনি সেই সুযোগটি পাবেন না।
বাড়ি থেকে কাজ করার ফলে কাজের ব্যাঘাত ঘটে ফলে নিদিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে সমস্যা হয়। যেহেতু বাড়ি থেকে কাজ করবেন সেহেতু অফিসের সাথে আপনার অন্তরিক সম্পর্ক তৈরি হওয়ার সম্ভবনা খুবেই কম।

অনলাইনে যে সকল জব ঘরে বসে পার্ট টাইম করা সম্ভব
কয়েক হাজার ক্যাটাগরির জব ঘরে বসে করা যায়। সকল কাজের কথা বলা সম্ভব নয়। সুতরাং আমি এমন সকল জব নিয়ে আলোচনা করব যে কাজ গুলো আপনি জানেন বা শিখে নিতে পারবেন। এবং ঘরে বসে কিভাবে চাকরি পাবেন সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
- আরর্টিকেল রাইটার
- ভিডিও এডিটর
- গ্রাফিক্স ডিজাইনার
- ওয়েব ডেভলোপার
- অনলাইন কল সেন্টার জব
- সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
- মডারেটর
- ভার্চুয়াল সহকারী
- কন্টেন্ট এডিটর
- রিসার্স
আরর্টিকেল রাইটার
অনলাইন ভিত্তিক যে কোন ব্যবসার জন্য আরর্টিকেল গুরুত্বপূর্ন বিষয়। আরর্টিকেল ছারা কোন ওয়েবসাইট তাদের সার্ভিস, সেবা, ব্যবসার বর্ননা করতে পারবেন না।
যে কোন অনলাইন ব্যবসা বা সার্ভিস প্রতিষ্টান সর্ব প্রথম হায়ার করে থাকে একজন আরর্টিকেল রাইটারকে। অনলাইন ভিত্তিক বা বাড়িতে বসে করা যায় এমন কাজের ক্ষেত্রে আরর্টিকেল রাইটার সর্ব প্রথম অবস্থানে রয়েছে।
প্রতি দিন লক্ষ লক্ষ সার্ভিস ওয়েবসাইট, ব্লগ, সরকারী ওয়েবসাইট সহ অনেক ক্যাটাগরি ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। এবং সেখানে চাকরীর জন্য যায়গা তৈরি হচ্ছে আরর্টিকেল রাইটারদের।
আরর্টিকেল বা কন্টেন্ট রাইটিং জব কোথায় পাবেন।
আপনি গুগলে নিয়ে সার্চ করুন “কন্টেন্ট রাইটিং জব ইন বাংলাদেশ” দেখবেন অনেক লোকাল কোম্পানি পার্ট টাইম জব অফার করে থাকে। নিচের ছবিটি দেখুন…

এছাড়া আপনি বিভিন্ন কোম্পানির বা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন কন্টেন্ট রাইটিং জবের জন্য। এবং জব মার্কেট প্লেস গুলোতে আপনার সিভি সেন্ড করে রাখতে পারেন।
কন্টেন্ট রাইটিং জব পাওয়ার জন্য আপনার কি কি জনার দরকার আছে?
- আপনাকে অবশ্যই এসইও সম্পর্কে বেসিক ধারনা রাখতে হবে।
- ইমেজ এডিটিং টুল সম্পর্কে ধারনা থাকা দরকার আছে। একই সাথে বেসিক গ্রাফিক্স ডিজাইন জানার প্রয়োজন আছে।
- ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ধারনা থাকার দরকার।
- কন্টেন্ট ক্যাটাগরি এবং ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত ধরনা থাকা দরকার আছে।
- যদি ইংরেজী কন্টেন্ট রাইটার হতে চান তাহলে ইংরেজী বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান থাকতে হবে।
বর্তমানে কোন এজেন্সি শুধু একজন সাধারন কন্টেন্ট রাইটার হায়ার করতে চান না। আরর্টিকেল রাইটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকাটা খুবেই জরুরি। কারন কন্টেন্ট লেখার সাথে সাথে কন্টেন্ট ডিজাইন, টাইপ, রিসার্স, ক্যাটাগরি, ইত্যাদি বিষয় গুলো গুরুত্বপূর্ন।
বেতনঃ অনুমানিক ২৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ হাজার টাকা। ( ফুল টাইম চাকরীর জন্য। )
বেতনঃ অনুমানিক ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ হাজার টাকা। ( পার্ট-টাইম জবের জন্য। )
ভিডিও এডিটর
বর্তমানে ইউটিউব ক্রিয়েটরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভালো কন্টেন্ট হওয়ার সাথে সাথে ভালো উপস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়।
ভিডিও ধারন করে ভালো এডিটিং করাটা খুবেই জরুরি। এই কারনে ভিডিও এডিটর হায়ার করা হয়ে থাকে। আপনি যে কোন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে গিয়ে সার্চ করবেন দেখবেন যে ভিডিও এডিটিং জব বর্তমানে ট্রেন্ডে আছে।
কোথায় পাবেন ভিডিও এডিটিং জব?
ভিডিও এডিটিং জব আপনি অনলাইন এবং অফলাইন দুই ভাবে করতে পারেন। ধরুন, আমার একটি ইউটিউব চ্যানেল বা ভিডিও প্রোর্ডাকশন হাউজ আছে।
আপনি একজন ভালো ভিডিও এডিটির। আপনি যে কোন ভিডিও এডিটি করে আমাকে ইমেইলে সেন্ড করতে পারেন। যদি আমার ভালো লাগে তাহলে পরর্বতীতে আমার যত ভিডিও আছে আপনি এডিট করবেন।
আপনি চাইলে প্রতি মাসে বেতন ভিত্তিক অথবা প্রতি ভিডি প্রতি চার্জ করতে পারেন। এছাড়া আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে ভিডিও এডিটিং করার কাজ পাবেন।

এছাড়া ভিডিও এডিটির হায়ার করে থাকে ইমেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। সুতরাং চিন্তা করলে ভিডিও এডিটরের কাজের কোন অভাব নেই। একজন এডিটর ঘরে বসে পাট টাইম এবং ফুল টাইম দুই ভাবেই এই কাজ করতে পারে।
Go To bd Jora এবং সার্চ করুন ভিডিও এডিটর জব।

একজন পরিপূর্ন ভিডিও এডিটর হওয়ার জন্য এডিটিং বিষয় বিস্তারিত জ্ঞান থাকতে হবে। যেমন ভিডিও কালার, মোশন, ইফেক্ট, টেকনিক, ভিডিও ফরমেট, রেজুলেশন, ইত্যাদি।
বেতনঃ একজন ভিডিও এডিটর গড়ে ২০,০০০ থেকে ২৫,০০০ হাজার টাকা প্রতি মাসে বেতন পাওয়া যোগ্য। এই বেতন সময়, স্থান, কোম্পানি ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার
বিশেষ করে ডিজিলাম মার্কেটিং এজেন্সি গুলো গ্রাফিক্স ডিজাইনার বেশি হায়ার করে থাকে। এছার প্রাইভেড কোম্পানি, ফ্যাশান এজেন্সি, টিভি মিডিয়া, এড মিডিয়া, ই-কমার্স, ইত্যাদি প্লাটফর্ম গুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা অনেক।
এছাড়া গ্রাফিক্স ডিজাইনার ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারে ঘরে বসে। অথবা আপনি কোন এজেন্সির হয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজ করতে পারেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনারের অনেক ক্যাটাগরি আছে নিদিস্ট ক্যাটাগরি ধরে সামনে এগিয়ে যেতে পারলে সফল হওয়ার সম্ভবনা বেশি।

আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনারের উপর কোর্স করতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনারের উপর কোর্স করা থাকলে ভালো এজেন্সি বা কোম্পানিতে কাজ পাওয়ার পারসেন্টেজ বৃদ্ধি পাবে। একই সাথে আপনার কাছে সার্টিফিকেট থাকার কারনে ভালো বেতন পাবেন।
ওয়েব ডেভলোপার
১০০% অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্টান গুলোর জন্য ওয়েব ডেভলোপার প্রয়োজন। ওয়েব ডেভলোপার কোম্পানি বা এজেন্সি গুলো দুই ভাবে হায়ার করে থাকে।
১. ঘন্টা ভিত্তিক পেমেন্ট
২. পার্ট-টাইম বা ফুল টাইম জব অফার
ঘন্টা ভিত্তিক পেমেন্টঃ আমি আমার কোম্পানির ওয়েবসাইটের কোন সমস্যা খুজে পেয়েছি। এখানে আমার কন্ট্রাকে যে ডেভলোপার আছে তার সাথে যোগাযোগ করে আমার ওয়েবসাইটের সমস্যার সমাধান করতে বলা হলো।
ডেভলোপার ৩ ঘন্টা পরিশ্রম করে আমার ওয়েবসাইটের সমস্যার সমাধান করল। যেহেতু ডেভলোপার আমার অফিসে জব করে না সেহেতু ৩ ঘন্টা কাজের জন্য উনাকে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পেমেন্ট করা হবে। মানে প্রতি ঘন্টা ৩০ থেকে ৫০ ডলার।
পার্ট-টাইমঃ আপনি আপনার সময় মতো দিন বা রাতের কোন একটি সময় ২ থেকে ৩ ঘন্টা আমার এজেন্সির জন্য সময় দিবেন। এর বিনিময়ে আমি আপনাকে প্রতি মাসে নিদিষ্ট হারে বেতন পেমেন্ট করব।
কখনো কখনো ডেভলোপার ছুটির দিনে পার্ট টাইম জব করে অতিরিক্ত কিছু অর্থ উপার্জন করে থাকে। যত ধরনের কাস্টমাইজেশন ওয়েবসাইট তৈরি করার অপশন আসুক না কেন। ডেভলোপারের চাহিদা কখনো কমে যাবে না।
আমার মনে হয় একজন অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ডেভলোপারের কাজ বা চাকরী খোজার কোন প্রয়োজন নেই। তবে আপনি যদি কোর্স করে ডেভলোপার হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে চাকরীর জন্য যোগাযোগ স্থাপন করার দরকার আছে।
অনেক ডেভলোপার আছে যারা অন্য বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করেছে কিন্তু বর্তমানে প্রফেশনাল ডেভলোপার। তাদের ক্ষেত্রে একটু সমস্যা হয় জব পেতে।
কিন্তু যারা ৪ বছর ইউনির্ভাসিটি থেকে পাশ করে বের হয়েছে তাদের সার্কেল তৈরি থাকার কারনে জবের সমস্যা হয় না।
ওয়েবডেভলোপার জব ইনঃ Linkeden
অনলাইন কল সেন্টার জব
অনলাইন সার্ভিস প্রদান, ই-কমার্স, ওয়েবসাইটের জন্য কল সেন্টার জবের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিছু কিছু কাজের জন্য কম্পিউটার সম্পর্কে বেসিক ধারনা থাকলে কল সেন্টারে জব করা সম্ভব।
ই-কমার্স ওয়েবসাইটে জব করতে চাইলে আপনাকে তাদের প্রডাক্ট মানিটাইজেশন সফটওয়ার সম্পর্কে জানতে হবে। সাধারন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের কল সেন্টারে যোগাযোগ করে তাদের প্রোডাক্ট ট্রাকিং, রিফান্ড পলিসি, প্রোডক্ট রির্টান, অথবা কোন বিশেষ অফার সম্পর্কে জানার জন্য।
অবশ্য আপনি যে কোন অনলাইন কল সেন্টারে জয়েন করার পর এক সপ্তাহের জন্য ট্রেনিং করার ব্যবস্তা করা হয়। আপনি বাড়িতে বসে থেকে ট্রেনিং করতে পারবেন।
কল সেন্টারের জব সাধারনত পার্ট-টাইম হয়ে থাকে। একটা নিদিষ্ট সময়ের জন্য আপনাকে হায়ার করা হবে। সেটা হতে পারে সকালে অথবা রাত ২টার জন্য।
কল সেন্টার জবের জন্য ঘন্টা ধরা পেমেন্ট করা হয়ে থাকে। আবার অনেক কোম্পানি মাস ভিত্তিক পেমেন্ট করে থাকে।
ভালো কোন এজেন্সি বা সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানিতে জব করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে সেই সার্ভিস সম্পর্কে অভিজ্ঞ হতে হবে।
যেমন আমি বিগত ২ বছর একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং কোম্পানির চ্যাট সহকারী হয়ে কাজ করেছি। এই ক্ষেত্রে আমাকে ডোমেইন এবং হোস্টিং বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা দরকার। ডোমেইন এবং হোস্টিং কোম্পানি গুলো আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ি আপনাকে হায়ার করে থাকে।
ধরুন, আপনি ডোমেইন ট্রান্সফার সম্পর্কে খুব ভালো জানেন। সেই ক্ষেত্রে যে সকল কাস্টমার ডোমেইন ট্রান্সফার নিয়ে সমস্যায় পড়বে তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।
কল সেন্টার জব অভার ফোনে অথবা চ্যাটের মাধ্যমে করা হয়। অনলাইন কল সেন্টারে জব করার জন্য আপনাকে অফিসে যেতে হবে না।
কল সেন্টার জবের বেতন ১৫,০০০ হাজার থেকে ২৩,০০০ হাজার টাকা।
যে সকল সেক্টরে কল সেন্টার জব পেতে পারেন।
- ডোমেইন এবং হোস্টিং কোম্পানি।
- সার্ভিস রিলেটেড কোম্পানি।
- ই-কমার্স ওয়েবসাইট।
- বিশেষ তথ্য পেতে সহযোগিতা করার জন্য।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
সার্ভিস প্রভাইডার এজেন্সি গুলো তাদের কোম্পানির সার্ভিস সম্পর্কিত তথ্য দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকে।
অন্যদিকে একটি কোম্পানি যাবতীয় তথ্য প্রতিদিন আপডেট এবং সোস্যাল মিডিয়া প্রমোশন রিলেটেড যাবতীয় কাজ দেখাশোনার জন্য সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজার নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ
- কোম্পানির আপডেট পোষ্ট করা।
- পন্য বা সার্ভিসের পেইড প্রমোশন করা।
- কাস্টমারের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া। এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সবার সাথে শেয়ার করা ।
কি কি জানা দরকার?
- গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে ধরনা থাকতে হবে।
- পোষ্ট এনগেজমেন্ট।
- বাজেট তৈরি করে পেইড প্রমোশন করা।
- কাস্টমার কনভার্ট।
- কোম্পানির সেল বৃদ্ধি করার কৌশল জানতে হবে।
- সোস্যাল মিডিয়া একাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান রাখতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার জব আপনি পার্ট-টাইম করতে পারবেন না। আপনাকে ফুল টাইম সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ করতে হবে। কোম্পানি গুরো পাট-টাইম ম্যানেজার নিয়োগ প্রদান করে না।
বেতনঃ একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার প্রতিমাসে ২৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ হাজার টাকা বেতন চার্জ করে।
মর্ডারেটর
বড় বড় ফেসবুক গ্রুপ গুলো তাদের গ্রুপ পরিচালনা করার জন্য মর্ডারেটর নিয়োগ দিয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি দেশ ভিত্তিক মর্ডারেটর নিয়োগ করে থাকে। এবং অনলাইন কমিনিউটির জন্য মর্ডারেটর নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।
ধরুন, আপনি ফাইবারে একটি প্রোফাইল ওপেন করলেন। এখন কোন একজন আপনার প্রোফাইল সম্পর্কে রিপোর্ট প্রদান করল। আপনি যখন রিপোর্ট প্রদান করবেন তখন সেটা গিয়ে জমা হবে মর্ডারেটরেরর কাছে।
মর্ডারেটর আপনার প্রোফাইল টি চেক করার পর যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে ফেরত পাবেন। না হলে কোম্পানির নিয়ম-নীতি অনুযায়ি আপনার প্রোফাইলের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মর্ডারেটর জব পার্ট টাইম করা যায়। আপনি চাইলে আপনার সময় মত সিডিউল মেইনটেইন করে মর্ডারেটর জব করতে পারেন। এই কাজ করার জন্য আপনাকে অফিসে যাওয়া দরকার হবে না।
মর্ডারেটর কাজ পাওয়ার জন্য তত বেশি অভিজ্ঞতার দরকার হয় না। আপনি যে কোম্পানিতে কাজ করবেন সেই কোম্পানির নিয়ম-নীতি গুলো ভালো ভাবে জানা থাকলে হবে।

বেতনঃ ফুল টাইম মর্ডারেটরের বেতন প্রতি ঘন্টা ১০ থেকে ২০ ডলার হয়ে থাকে। মর্ডারেটরের বেতন নির্ভর করে আপনি কোথায় কাজ করতেছেন তার উপর। বাংলাদেশে মর্ডারেটরের বেতন অতিরিক্ত ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ হাজার টাকা মাত্র।
জব পাওয়ার জন্য Linkedin জয়েন করুন।
ভার্চুয়াল সহকারী
ভার্চুয়াল সহকারী জবটি সম্পূর্ন ভাবে অনলাইন ভিত্তিক। ভার্চুয়াল সহকারী একজন নির্বাহী পরিচালক পর্যায়ের অফিসারের ডেইল রুটিন মেইনটেইন করে থাকে।
ভার্চুল সহকারী যে সকল কাজ করতে হয়।
- পিপিটি তৈরি করা ।
- ইমেইল চেক করা ।
- মিটিং করার জন্য সময় নির্ধারন করা।
- ইমেইল রিপ্লে দেওয়া।
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সেভ করে রাখা।
- রিসার্স করা।
ভার্চুয়াল সহকারী জব আপনাকে ফুল টাইম করতে হবে। এবং আপনাকে একজন অফিসার পর্যায় মানুষের ডেইলি সিডিউল মেইনটেইন করতে হবে। এবং প্রয়োজনীয় অনেক কাজ আপনাকে করে দিতে হবে।
যেহেতু ভার্চুয়াল সহকারী সেহেতু আপনি এই কাজ বাসা থেকে করতে পারবেন। কাজের উপর ভিত্তি করে ভার্চুয়াল সহকারীর বেতন নির্ধারন করা হয়ে থাকে।
কন্টেন্ট এডিটর
আপনি যে লেখাটি পড়ছেন তার মধ্যে তথ্য গত অনেক ধরনের ভুল থাকতে পারে। অথবা এমন অনেক ধরনের লাইন আছে যে গুলো আপনার জন্য বোধগম্য নয়।
একজন কন্টেন্ট এডিটর তথ্য গত ভুল সংশোধন, বানান সঠিক করা, প্রয়োজনীয় বাক্য যুক্ত করা বা বাদ দেওয়া কাজ গুলো করে থাকে।
কন্টেন্ট এডিটর হওয়ার জন্য আপনাকে বানান, বাক্য গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকতে হবে। একই ইংরেজী কন্টেন্ট এডিটর হওয়ার জন্য একই ধরনের জ্ঞান থাকতে হবে।
কন্টেন্ট এডিটর ঘন্টা ভিত্তিক পেমেন্ট পেয়ে থাকে। আপনি চাইলে কন্টেন্ট প্রতি এডিটিং কাজ করতে পারেন। কন্টেন্ট এডিটর কাজ পাওয়ার জন্য ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম গুলো উপযুক্ত স্থান।
চাকরী পাওয়ার জন্য বিগ ব্লগিং প্লাটফর্ম, সার্ভিস এজেন্সি ভালো মাধ্যম। এই কাজের জন্য অফলাইনে খুব কম সংখ্যাক লোক হায়ার করা হয়ে থাকে।
একজন কন্টেন্ট এডিটর প্রতি ঘন্টায় ৫ থেকে ১৫ ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকে। প্রতি মাসে বেসিক ২০,০০০ হাজার এবং অতিরিক্ত পেমেন্ট ২৪,০০০।
রিসার্স জব
প্রতিটি প্রতিষ্টান তাদের পন্য মার্কেটে নিয়ে আসার পূর্বে রিসার্স করে থাকে। একটা কথা বলা হয়ে থাকে যে আজ থেকে ২০ থেকে ৩০ বছর পরে মানুষ যুদ্ধ করার জন্য অস্ত্র ব্যবহার করবে না। যার কাছে যত বেশি তথ্য থাকবে সে তত বেশি শক্তিশালী।
প্রতিটি কোম্পানি তাদের অর্থনৈতিক সংক্রান্ত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ১০০ বার চিন্তা করে। এবং প্রতিটি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে রিসার্স করা হয়।
মার্কেট থেকে দুই ভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হয়
- সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনলাইন থেকে বিভিন্ন ধরনের ডাটা সংগ্রহ করা হয়।
- সার্ভে করার মাধ্যমে মানুষের মতামত সংগ্রহ করা হয়।
অবশ্য দুই ভাবে তথ্য সংগ্রহ করার উদ্দেশ্য ভিন্ন ভিন্ন। সরাসরি ভোক্তার ফিডব্যাক নেওয়া হয় ভিন্ন কারনে হয় পন্যের গুনগত মান ঠিক কারার জন্য অথবা মানুষ কোম্পানির পন্য সম্পর্কে কি ভাবছে সেটা জানার জন্য।
যা হোক, আপনি একজন রিসার্স টাইপের পার্ট টাইম জব করতে চাইলে যে সফটওয়ার গুলো সম্পর্কে আপনার জানা থাকতে হবে।
ডাটা সংগ্রহ করার সফটওয়ার লিষ্ট।
রিসার্স সফটওয়ার
এছাড়া কিভাবে ইন্টারনেট থেকে ডাটা সংগ্রহ করতে হয় এটা আপনাকে জানতে হবে।
শেষ কথা
ইন্টারনেট ভিত্তিক সকল কাজ ঘরে বসে পার্ট টাইম এবং ফুল টাইম করা সম্ভব। আপনি যে সেক্টরে কাজ করতে চান সেই সেক্টরে অভিজ্ঞ হলে আপনার পক্ষে কাজ পাওয়া কেন বিষয় নয়।
যদি আপনি কোন বিষয়ে অভিজ্ঞ না হয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন কোর্স করে অভিজ্ঞতা অর্জন করে কাজের জন্য এপ্লাই করতে পারেন।
আপনি কাজ পাবেন কি না এটা সম্পূর্ন ভাবে নির্ভর করবে আপনার উপর। সুতরাং আমার সাজেশন হবে আগে কাজ শিখুন তার পরে কাজ করার কথা চিন্তা করুন। ধন্যবাদ
Click the above button to visit next page
You visited 1/10 pages