১০টি নতুন অনলাইন বিজনেস আইডিয়া
আপনি এই লেখাটি পড়ছেন তার মানে আপনার কাছে ব্যবসা করার মত অর্থ আছে। কিন্তু কি ব্যবসা করবেন বুঝতে পারছেন না। এবং আপনি অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা করতে চান। আমি আমার মত করে কিছু টপ ক্লাস বিজনেস আইডিয়া আপনার সাথে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাকে ভালো লাগবে।
লেখাটি দুই ধরনের মানুষের জন্য
- ইনভেস্ট করার মত অর্থ কম।
- অনেক অর্থ ইনভেস্ট করতে পারবেন।
এই লেখাটির শুরুতে আপনি অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া গুলো জানতে পারবেন। পরর্বতীতে অনলাইন ব্যবসা নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করা হবে।
১. অ্যাক্টর এবং ক্রিয়েটর সংযোগ এজেন্সি
বর্তমানে ফেসবুক এবং ইউটিউব যে ভাবে পপুলার হচ্ছে তার জন্য এই সেক্টরে অনেক অ্যাক্টরের চাহিদা তৈরি হবে। ইউটিউব চ্যানেল গুলো শর্ট নাটক, ভিডিও তৈরি করা জন্য অভিনেতা এবং অভিনেত্রী হায়ার করে থাকে। কিন্তু সমস্যা হল ক্রিয়েটর নিজের প্রয়োজনে অ্যাক্টর ভাড়া বা যোগাযোগ করতে পারেন এমন কোন প্লাটফর্ম বাংলাদেশে নেই।
কিছু ফেসবুক পেজ আছে যারা অ্যাক্টর সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া কাজ করে থাকে। আপনি অনলাইনে একটি এজেন্সি খুলতে পারেন।
যেখানে অ্যাক্টর এবং ক্রিয়েটর উভায় প্রোফাইল তৈরি করতে পারবে। এবং একজন ক্রিয়েটর খুব সহজে তার পছন্দ মত অ্যাক্টরের সাথে যোগযোগ করতে পারবেন।
অ্যাক্টর এবং ক্রিয়েটর প্রোফাইল তৈরি করার জন্য আপনি মিনিমান ফি নিতে পারেন। আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে ফি পরিমান বৃদ্ধি করবেন।
২. হোল সেল ই-কমার্স প্লাটফর্ম
হোল সেল ই-কমার্স প্লাটফর্ম বাংলাদেশে এখনো সেই ভাবে তৈরি হয়ে উঠেনি। আপনি চাইলে এমন একটি ই-কমার্স প্লাটফর্ম তৈরি করতে পারেন যেখানে হোল সেল বিক্রেতা এবং খুচরা বিক্রেতার একটি সেতু তৈরি হয়।
এই প্লাটফর্মটি সাধারন গ্রাহকদের জন্য সৃষ্টি হবে না। কারন এখানে দুইটি বা একটি পন্য বিক্রয় করা হবে না। প্লাটফর্মটি একটি তৃতীয় মাধ্যম হিসাবে কাজ করবে।
আপনার কাজ হবে দুই জন্য বিক্রেতার মাধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা। আপনি হোল সেল বিক্রেতার কাছে কিছু মাসিক চার্জ করতে পারেন।
অথবা আপনি চাইলে কোম্পানি স্পন্সারশিপ নিয়ে আয় করতে পারেন। কিন্তু অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইটে যারা একটিভ থাকবে তাদের কাছ থেকে আয় করা উচিত।
৩. স্কুল বা কলেজ রেটিং ওয়েবসাইট
একজন সরকারী বা বেসরকারী চাকরিজীবী তাদের কাজের প্রয়োজনে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বদলি হয়ে থাকে।
নতুন স্থানে গিয়ে নিজের সন্তানের জন্য স্কুল খোজার কাজটি মানুষ অনলাইনে করে থাকে। আপনি এমন একটি পোর্টাল তৈরি করতে পারেন যেখানে জেলা এবং থানা ভিত্তিক স্কুল গুলোর লিষ্ট থাকবে।
এবং স্কুল গুলোর বিগত বছরের রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে রেটিং দেওয়া থাকবে। একজন অভিভাবক রংপুর থেকে আপনার পোর্টালে সার্চ করছে ভালো ইংরেজী মিডিয়াম স্কুল রংপুর।
আপনার পোর্টালের কাজ হবে রংপুর শহরের ইংরেজী মিডিয়াম স্কুল গুলো প্রোফাইল দেখানো। যেখানে স্কুল সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য থাকবে।
এখানে দুই ভাবে আয় করা যেতে পারে
- স্কুল বা কলেজের নাম গুলো আপনার পোর্টালে লিস্টিং করার জন্য এককালীন বা বাৎসরিক চার্জ করতে পারেন।
- প্রাইভেট স্কুল বা কলেজের বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে।
৪. লোকাল পন্য বিক্রয় করা

Images Source: mindanaogoldstardaily.com
এলাকা ভিত্তি অনেক ধরনের পন্য পাওয়া যায়। এক এলাকায় যে পন্য পাওয়া যায় অন্য এলাকায় সেই সকল পন্য সহজে পাওয়া যায় না।
যেমন, বগুড়ার দই এর জনপ্রিয়তা আছে দেশ জুড়ে। কিন্তু সকল জায়গায় বগুড়ার দই কি পাওয়া যায়। যেহেতু সকল যায়গায় বগুড়ার দই পাওয়া যায় না সেহেতু বগুড়ার কোন লোকাল ব্যক্তি ফেসবুক বা অন্য কোন মাধ্যমে বগুড়ার দই বিক্রয় করতে পারবে।
একই ভাবে আপনার এলাকার নাম করা পন্য গুলো খুঁজে বের করে বিক্রয় করার চেষ্টা করতে হবে। দেখুন লোকাল জনপ্রিয় পন্য গুলোর চাহিদা আছে অন্য এলাকায়।
৫. ফেসবুক অনলাইন ব্যবসা
প্রায় সকল ধরনের ব্যবসা ফেসবুকে করা যায়। ফেসবুকে ব্যবসা করার জন্য বিশেষ কত গুলো দিক খেয়াল রাখাটা জরুরি। বর্তমানে ফেসবুকে ব্যবসার নামে প্রতারনা বেশি হয়। যা হোক ফেসবুকে যে সকল ব্যবসা আপনি করতে পারবেন।
মেয়েদের পন্য বিক্রয়ঃ বর্তমানে বাংলাদেশে কয়েক হাজার উদ্দ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে ফেসবুকের মাধ্যমে। যারা ফেসবুক লাইফে কাপড় বিক্রয় করা দিয়ে শুরু করেছি আজকে তাদের নিজস্ব দোকান বা হাউজ রয়েছে।
শুধু একটি ফেসবুক একাউন্ট থাকলে আপনি এই কাজটি করতে পারবেন। যদি সঠিক ভাবে সততার সাথে ব্যবসা করতে পারেন তাহলে একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা বিক্রয় করা সম্ভব।
ইউনিক পন্যঃ প্রতিটি গ্রামীন এলাকার মেয়েরা হাতের কাজ যানে। আপনার এলাকায় যে সকল হাতের কাজ হয় অন্য এলাকায় সেটা হয় না। আপনি কাজ গুলো সংগ্রহ করে ফেসবুকে স্টোর ওপেন করে বিক্রিয় করতে পারেন।
আরগানিক ফলের ব্যবসাঃ চারদিকে শুধু ভেজাল আর ভেজাল। অনেক মানুষ আছে যারা ভেজাল পন্য ক্রয় করতে চান না। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে ভালো বা ফ্রেস ফল কোথায় পাবে।
আপনি আপনার এলাকার অথবা নিজের ফল যেমন আম, জাম, কাঠাল, লিচু, ইত্যাদি পন্য গুলো ফেসবুকে লাইফ করে বিক্রয় করতে পারেন। আপনি দশ টাকা বেশি নেন সমস্যা নেই, মানুষ ভালো কিছু খেতে পারবে।
ব্রান্ড পন্য বিক্রয়ঃ বিশেষ কোন দিনে প্রতিটি ব্রান্ড কোম্পনি গুলো তাদের পণ্যে ছাড় দিয়ে থাকে। যে সময় কোম্পানি গুলো তাদের পন্য ছাড় দিয়ে থাকে সেই সময় পন্য গুলো ক্রয় করে ছাড় শেষ হয়ে গেলে পূর্বে মূল্যে বিক্রয় করা।
ধরুন, আমি আড়ং থেকে ১০টি শার্ট ক্রয় করলাম ২০% ছাড়ে। আবার ছাড় শেষ হয়ে যাবার সেই পন্য গুলোর দাম পূর্বের মূল্যে ফিরে গেলে। আপনি শার্ট গুলো নতুন মূল্যে বিক্রয় করে দিয়ে কিছু মুনাফা অর্জন করলেন।
বাই এবং সেল বিজনেসঃ আপনাকে ই-কমার্স সাইট গুলো থেকে কম দামে ভালো ভালো পন্য ক্রয় করা জানতে হবে। সেই সাথে পন্যটির মার্কেট প্রাইস আপনাকে জানতে হবে।
ই-কমার্স বা অন্য কোন সোর্স থেকে পন্য ক্রয় করে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে কিছু অতিরিক্ত প্রাইসে পন্যটি বিক্রয় করতে হবে।
৬. পরামর্শ প্রদান করার ফার্ম
আমি দশ বছর ছাত্র/ছাত্রী কে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার প্রসেসিং কিভাবে করতে হয় এই বিষয়ে গাইডলাইন প্রদান করে আসতেছেন।
অথবা আপনি কানাড়া প্রবাসি। আপনার কানাড়ায় বাসা আছে। কিভাবে বৈধ পথে কানাড়ায় বাসা ক্রয় করা যায় এই বিষয় আপনি ভালো জানেন।
আপনি একজন বিজনেস ম্যান। আপনি জানেন কিভাবে একটি ব্যবসা প্রতিষ্টানকে দ্বার করাতে হয়। মুল বিষয়টা হল আপনার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করা।
আপনি আপনার অভিজ্ঞতা দিয়ে অর্জন করা দক্ষতা অন্যের সাথে শেয়ার করে অর্থ ইনকাম করা।
৭. টুরিষ্ট গাইড ওয়েবসাইট
বাংলাদেশে টুরিষ্ট রিলেটেড ব্যবসা খুবেই কম। যা ব্যবসা হয় আমাদের দেশীয় টুরিষ্ট নিয়ে। বাইরের দেশ থেকে বাংলাদেশে টুরিষ্ট ভিজিট করার পারসেন্ট খুবেই কম।
অবশ্য দিন দিন এর পারসেন্টেজ বৃদ্ধি পাবে। কারন বাংলাদেশ সময়ের সাথে সাথে কিছু উন্নায় প্রকল্প বাইরের দেশের টুরিষ্টদের আগ্রহ তৈরি করবে।
যা হোক, আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। যেখানে দুই ধরনের অপশন থাকবে
প্রথমঃ যে সকল টুরিষ্ট গাইড হতে চায় তাদের প্রোফাইল। ( যা পাবলিক করা থাকবে না। শুধু আপনার কাছে গাইডের তথ্য গুলো থাকবে। )
দ্বিতীয়ঃবাইরের টুরিষ্ট আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে এমন একটি অপশন থাকবে।
আপনার কাজ হবে টুরিষ্টের সাথে এলাকা ভিত্তিক গাইডের যোগাযোগ তৈরি করা। উদাহরন দেওয়া যাক, ভিকি ইন্ডিয়া থেকে ঢাকায় আসতেছে টুরিষ্ট হয়ে। সে আপনার সাথে যোগাযোগ করল এবং একজন গাইড চাইলো কুয়াকাটার।
আপনার কাছে কুয়াকাটার টুরিষ্ট গাইডের লিষ্ট আছে। আপনি তাদের প্রোফাইল টুরিষ্টের কাছে শেয়ার করলেন উনি উনার পছন্দ মত গাইড নির্বাচন করল। এবং আপনার সাথে প্রতি ঘন্টা মূল্য ঠিক হল।
আপনি পেমেন্ট করবেন গাইডকে। আপনি অর্থ নিবেন টুরিষ্টের কাছে। আপনি ঘন্টা ২০০ টাকা নিলে গাইডেকে দিবেন ১৮০ টাকা। মাঝখান থেকে আপনার ২০টাকা কমিশন।
৮. লোকাল ইনভেস্টার
বাংলাদেশে এই ধরনের ওয়েবসাইটের খুবেই প্রয়োজন। আমি একটা কোচিং সেন্টার দিতে চাই কিন্তু আমার কাছে কোন টাকা নেই।
আবার অনেক মানুষের কাছে টাকা আছে ইনভেস্ট করার জায়গা নেই। আপনি কোচিং সেন্টার করবেন তার জন্য আপনাকে কোন ব্যাংক বা অর্থ প্রদান কারী কোন সংস্থা আপনাকে অর্থ দিবে না।
অন্য কারো থেকে ধার করে কত টুকু করতে পারবেন। লোকাল এনজিও থেকে লোন নিয়ে বিপদে পড়বেন। তাহলে আপনার কোন উপায় নেই।
এমন একটি ওয়েবসাইট যদি থাকতো যেখানে আপনি আপনার ইচ্ছার কথা পেশান করবেন। যে সকল ইনভেস্টার সেই ওয়েবসাইটের সাথে জড়িত থাকবে তারা আপনার অফার পছন্দ হলে ইনভেস্ট করবে।
এই সকল ওয়েবসাইটে সকল ধরনের ইনভেস্টর থাকবে। প্রয়োজনে ১০,০০০ হাজার থেকে শুরু করে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ইনভেস্ট করবে।
এই ওয়েবসাইটের কাজ হবে ইনভেস্টারের এবং ইভেস্টমেন্ট যে চায় তার যোগাযোগ স্থাপন করা। যে ইনভেস্টমেন্ট চায় সেই ব্যাক্তি অল্প কিছু অর্থ দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে তার ব্যবসার প্রোপোজাল পোষ্ট করার সুযোগ পাবে।
৯. ডোনেশন প্লাটফর্ম
অনেক মানুষ তাদের সাধ্যমত মানুষকে সহযোগিতা করতে চায়। আপনি এমন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন যেখানে মানুষ তাদের সমস্যার কথা সবার সাথে শেয়ার করতে পারবে।
আপনার সমস্যার কথা শুনে কেউ যদি সহযোগিতা করতে চায় তাহলে এই ওয়েবসাইট সেই ব্যাক্তির কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে। এবং সংগ্রহ কৃত অর্থ সেই ব্যাক্তির কাছে পৌঁচ্ছে দিবে। মাঝ খান থেকে আপনি কিছু সার্ভিস চার্জ নিবেন।
হ্যাঁ আপনি সার্ভিস চার্জ নিবেন সেই সময়ে যখন কেউ সহযোগিতা পাবে। সহযোগিতা না, পাওয়া পর্যন্ত আপনি কোন চার্জ নিবেন না।
এই ডোনেশন প্লাটফর্মটি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ব্যবহার করতে পারবে। মানুষ তাদের সমস্যার কথা ভিডিও এবং লেখার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে জমা দিবে।
আপনি যাচাই বাচাই করার পর সহযোগিতা পাওয়ার জন্য প্রোফাইলটি পাবলিক করবেন। যদি এই বিষয় গুলো নিয়ে আপনাকে বিস্তারিত চিন্তা ভাবনা করতে হবে।
১০. পরীক্ষা অ্যাপ
যদিও অনেক ফ্রি অ্যাপ আছে যেখানে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা দেওয়া যায়। কিন্তু প্রোফেশনাল কোন অ্যাপ এখনো আপনি প্লে স্টোরে খুঁজে পাবেন না।
এই অ্যাপের মাধ্যমে যে কোন সরকারী এবং বেসরকারী চাকরীর প্রস্তুতি মানুষ নিতে পারবে। আপনার অ্যাপে পড়ার কোন সুযোগ থাকবে না। শুধু পরীক্ষার্থী নিজেকে যাচাই করে নেওয়ার জন্য পরীক্ষা দিতে পারবে।
শুধু পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। একটি বিষয় ক্লিয়ার রাখতে হবে সেটা হল প্রশ্নের উত্তর। কেউ একবার কোন পরীক্ষা দেওয়া শুরু করলে মোবাইল ফোন ক্লোজ করতে পারবে না। ফোন ক্লোজ করলে পরীক্ষাটি সেই অবস্থায় শেষ হয়ে যাবে।
১ সপ্তাহের অনলিমিটেড পরীক্ষার জন্য ১০ টাকা চার্জ করা হবে। এই অ্যাপের জন্য আপনাকে ব্রান্ডিং করতে হবে। অ্যাপটি ভালো ভাবে ব্রান্ডিং করতে পারলে ভালো আয় করার সুযোগ আছে।
শুধু সাবসক্রিপশন ফি ছাড়াও আরও অনেক ভাবে অ্যাপ থেকে ইনকাম করা যায়। আপনি চাইলে অন্য ভাবে এই অ্যাপ থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
কিভাবে অনলাইন ব্যবসা শুরু করব?
আপনি যে বিষয় নিয়ে অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন। সেই বিষয় নিয়ে আগে থেকে অভিজ্ঞতা থাকলে কোন সমস্যা নেই।
আপনার অভিজ্ঞতা না থাকলে প্রথমে সেই সেক্টর সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করা উচিত। অথবা একজন অভিজ্ঞতা সম্পূন ব্যক্তিকে আপনার প্লানের সাথে জড়িত করতে হবে।
ধরে নিলাম আপনার ওয়েবসাইট এবং অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা দুইটি আছে। অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি যে Business Planning নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।

নোটঃ ক্রিয়েটিভ বা প্রফেশনাল কোন ওয়েব সাইট তৈরি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে এজেন্সি হায়ার করতে হবে। আপনি কোন ফ্রিল্যান্সার দ্বারা এই সকল কাজ করিয়ে নিয়ে ভালো ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন না।
- ভালো ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভলোপমেন্ট ফর্ম খুঁজে বের করু।
- আপনার ওয়েবসাইটে কি কি থাকবে তার একটি প্লানিং করুন।
- মিটিং করুন এবং আপনি কোন ধরনের কাজ চান তার একটি লিষ্ট করুন। প্রয়োজনে উদাহরন দেওয়ার জন্য দুই তিনটি ওয়েবসাইটের লিংক প্রোভাইড করুন।
- সব কিছু ঠিক থাকলে এজেন্সির সাথে চু্ক্তি করুন। এবং নিদিষ্ট বাজেট এবং সময় অনুযায়ি কাজ শেষ করার চেষ্টা করুন।
যত দিনে ওয়েবসাইট তৈরির কাজ চলবে তত দিনে আপনি আপনার ব্যবসার মার্কেটিং প্লানিং করতে পারেন। আপনি কি ভাবে আপনার ওয়েবসাইটের ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন তার জন্য একটি কৌশল তৈরি করবেন।
নোটঃ প্রথম অবস্থায় অফিস ভাড়া নেওয়ার দরকার নেই। যদি আপনার ওয়েবসাইটের কোন ধরনের উন্নয়ন করার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনার ভাড়া করা এজেন্সি থেকে করে নিতে পারেন।
ব্যবসা ভালো হলে আস্তে আস্তে অফিস ভাড়া বা নিজের অফিস করে নিতে পারবেন। হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিয়ে কোন ধরনের খরচ করবেন না। অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া কখনো পার্টনার নিবেন না।
অনলাইন বিজনেসের অসুবিধা
১. অনলাইন ব্যবসা কখনো এক দিনে গ্রো হয় না। আপনি যদি মনে করেন আজকে ব্যবসা শুরু করে কালকে থেকে লাভ করবেন তা হবে না। আপনাকে ধৈর্য্য ধারন করে লেগে থাকতে হবে। হয়তো একটা সময় আয় হবে।
২. অনলাইন ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথম থেকে বিজনেস গ্রো না হওয়া পর্যন্ত অনেক অর্থের দরকার হয়।
৩. ব্যবসারয় আপনি সফল হবেন এমন কোন নিশ্চয়তা নেই।
৪.ব্যবসায় লজ হলে ইনভেস্ট করা অর্থের ৮০% ব্যাক পাওয়া সম্ভব নয়।
অনলাইন ব্যবসার সুবিধা
১. অনলাইন ব্যবসা সারা পৃথিবী করা যায়। এই কারনে ইনভেস্টমেন্ট কয়েক হাজার দ্বিগুন হয়ে আপনার কাছে ফিরে আসবে।
২. একবার ব্রান্ড তৈরি করে নিতে পারলে মার্কেটিং খরচ কমে যায়।
৩. অনলাইন ব্যবসা হওয়ার কারনে আপনি পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।
৪. অনলাইন ব্যবসায় রয়েলিটি ইনকাম করা যায়। ( শুধু মাত্র সার্ভিস রিলেটেড ব্যবসার ক্ষেত্রে রয়েলিটি ইনকাম করা সম্ভব। )
শেষ কথা
আমি নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ইভেস্ট করেছিলাম অনলাইন ব্যবসায়। আমার আইডিয়াটি খারাপ ছিল না।
কিন্তু আমি আমার সমস্ত অর্থ লজ করে ফেলি। আমি সেই সময় বুঝতে না পারলেও এখন বুঝতে পারি আমার কি কি ভুল ছিল।
অনলাইনে ব্যবসা শুরু করার আগে মনে মনে ঠিক করে নিন। আপনাকে অনেক বেশি ধৈর্য্য ধরতে হবে। এবং আপনাকে কখনো ইনভেস্ট করা থামানো যাবে না।
সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে পারলে অনলাইন সার্ভিস রিলেটেড বিজনেস গুলো দিয়ে কোটি কোটি অর্থ ইনকাম করা সম্ভব।
নোটঃ ব্যবসা শুরু করার জন্য জলদি বলতে কিছু নেই। যত ধীরে সুস্থে ব্যবসা শুরু করা যায় ততই ভালো। প্রয়োজনে প্লানিং করার শেষ দিকে এসে নতুন করে ভাবতে পারেন।
আমি আমার কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। ধন্যবাদ
Click the above button to visit next page
You visited 1/10 pages