কিভাবে কপি পেস্ট করে ইনকাম করা যায়

কপি পেস্ট মানে কোন এক স্থান থেকে কোন কিছু টপিক কপি করে সেটা নতুন করে পেস্ট করে ইনকাম করার উপায়। বর্তমানে গুগল, বিং দুইটি বৃহৎত্তর সার্চ ইজ্ঞিন। এই দুইটি সার্চ ইজ্ঞিনের উপর নির্ভর করছে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা।

কোম্পানি দুইটি তাদের সার্চ রেজাল্টের মান বজায় রাখার জন্য কোন স্থান থেকে কপি করে পেস্ট করা লেখা বা ভিডিও ইনডেক্স করে না।

ইনডেক্স কি? আমার ব্লগার যখন কোন আরর্টিকেল লিখি তখন সেটা গুগলে ইনডেক্স হয় যদি লেখার মান ভালো থাকে। যদি লেখার মান ভালো না থাকে তাহলে সেটি গুগলে ইনডেক্স হয় না। গুগলে কোন লেখা ইনডেক্স না হলে সেটা গুগল সার্চ রেজাল্টে দেখা যাবে না।

যদিও কখনো ভুল করে কোন কিছু ইনডেক্স করে তা পরর্বতীতে ডি-ইনডেক্স করে দেওয়া হয়। অথবা আপনি অন্য কারো ভিডিও কপি করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে।

যদি অরজিনাল ভিডিও ক্রিয়েটর বিষয়টি বুঝতে পারে। তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল ৩ মাসের জন্য স্ট্রাইক করে দেওয়া হবে। এভাবে পর পর তিনটি স্ট্রাইক পেলে আপনার চ্যানেলটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সুতরাং আপনি যদি মনে করেন অন্য কোন ব্লগ বা ওয়েবসাইটের লেখা কপি করে নিজের ওয়েবসাইটে পেস্ট করবেন এবং আয়ের জন্য ব্লগটিকে তৈরি করবেন তাহলে ভুল ভাবছেন। কারন এমনটা হওয়ার সম্ভবনা খুবেই কম।

হ্যাঁ ইউটিউবে একটি উপায়ে কপি পেস্ট করে ইনকাম করা সম্ভব। সেটা হল কোন ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে নিজের ভয়েস ওভার দিয়ে ইউটিউবে প্রকাশ করা। সাধারনত এই ধরনের ভিডিও গুলো ইউটিউব মনিটাইজেশন হয়ে থাকে। তারপরেও নতুন করে ভয়েস ওভার দেওয়ার কারনে সেটা সম্পূর্ন ভাবে কপি পেস্ট থাকলো না।

আমরা টিক টকের অনেক ভিডিও ইউটিউবে দেখি। যে সকল চ্যানেল এই সকল ভিডিও প্রকাশ করে তারা হয়তো ভিউ পায় কিন্তু আয় করতে পারে না।

অনেক সময় ইউটিউবের ভিডিও ফেসবুকে পেজে প্রকাশ করে আয় করা যায়। কিন্তু যার ভিডিও সে যদি একই সাথে ফেসবুক এবং ইউটিউবে ভিডিও প্রকাশ করে তাহলে সমস্যা নেই।

কিন্তু অন্য কারো ভিডিও আপনি যদি ফেসবুকে প্রকাশ করেন এবং যার ভিডিও সে যদি দেখতে পেয়ে স্ট্রাইক দিয়ে থাকে তাহলে আপনার ফেসবুক পেজটি বন্ধ হয়ে যাবে এবং আপনি ইনকাম করতে পারবেন না। কারন ফেসবুক বর্তমানে কপি কন্টেন্ট কোন ভাবেই সাপোর্ট করে না।

কপি পেস্ট করে আয় করুন ফেসবুক পেজ থেকে

আপনি কোন সেলিব্রেটির নামে ফ্যান পেজ ফেসবুকে খুলতে পারেন। এবং তার সম্পর্কে যদি ধরনের নিউজ প্রকাশ করা হয় সকল নিউ প্রতি দিন বা প্রতি নিয়ত ফেসবুক পেজে শেয়ার করুন।

এবং প্রতিদিন সেই সেলিব্রেটির ছবি, ভিডিও, টুইট, ইত্যাদি ফেন পেজে পোষ্ট করুন। একটা সময় দেখবেন আপনার তৈরি করা ফ্যান পেজে হাজার হাজার মানুষ যুক্ত হবে।

এবার আপনি সেই সেলিব্রেটির ফ্যান পেজে বিভিন্ন কোম্পানির পন্যের ব্রান্ডিং করে অর্থ আয় করতে পারবেন। অথবা আপনি একটি অনলাইন স্টোর খুলে তার লিংক আপনার সেই ফ্যান পেজে শেয়ার করতে পারেন।

আপনার অনলাইন স্টোর থেকে পন্য বিক্রয় করে আয় করতে পারবেন। আমার জানা মনে এটাই এক মাত্র কপি পেস্ট করে আয় করার হালাল উপায়।

কারন সেলিব্রেটির ছবি বা ভিডিও যে কোন স্থান থেকে সংগ্রহ করে প্রমোশন করা যায়। সেলিব্রেটি সাবাই নিজের প্রমোশন চায়। এই কারনে কেউ আপনার ভিডিওতে স্ট্রাইক প্রদান করবে না।

তবে টিভি মিডিয়া অথবা অন্য কোন নিউজ পোর্টল থেকে ভিডিও কপি করে নিজের পেজে পাবলিশ করা যাবে না। আপনি ভিডিও সেলিব্রেটির টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

কপি পেস্ট জব ইন বাংলাদেশ

বাংলাদেশে কপি পেস্ট জবের অপশন আছে। আসুন কপি পেস্ট জবটা কি? কপি পেস্ট জব হল কোন লেখা বা তথ্য কে দেখে দেখে অন্য কোন স্থানে পেস্ট করা।

তার মানে একজন সাধারন কম্পিউটার যে কাজ করে সেটা কপি পেস্ট জবের মধ্যে পড়ে। কপি পেস্ট জব দুই ভাবে খুঁজতে পারেন।

সরাসরি গুগলে গিয়ে সার্চ করুন কপি পেস্ট জব।

Search in Job in Google
Source: Google Search

অথবা Kormo Jobs অ্যাপে গিয়ে আপনার প্রোফাইল ওপেন করুন। কারন Kormo অ্যাপে লোকাল জবের সন্ধান পাওয়া যায়।

Kormo Jobs
Source: Kormo Jobs

Download App

কপি পেস্ট জব

ডাটা এন্ট্রি একমাত্র কপি পেস্ট জব। আপনাকে কোন ওয়েবসাইট অথবা অন্য কোন অনলাইন মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করে কোন এক্সেলে পেস্ট করতে হবে।

অথবা কোন ওয়েবসাইটের মোবাইল নাম্বার, ঠিকানা, কাজের ধরন ইত্যদি বিষয় গুলো ওয়ার্ডে লিখে পিডিএফ ফরমেট করতে হবে।

বেশির ভাগ কপি পেস্টের জব গুলো ডাটা এন্ট্রি লেভেলের হয়ে থাকে। কপি পেস্ট কাজ দিয়ে থাকে এমন ওয়েবসাইট আপনি ইন্টারনেটে পাবেন না। যদিও পেয়ে থাকেন তাহলে সেখান থেকে দূরে থাকুন কারন এই ধররেন ওয়েবসাইট গুলো ফ্রড হয়ে থাকে।

সব থেকে ভালো হয় আপনি ফাইবারে গিয়ে গিগ ওপেন করুন। এবং প্রতিটি গিগ আপনার সার্ভিস অনুযায়ি ভালো করে ডেকোরেট করুন। প্রতিটি গিগের কাজের প্রাইজ ৫ ডলার থেকে নির্ধারন করতে পারবেন।

Copy Paste Job Profile
Source: Fiverr

কপি পেস্ট জবের উদাহরনঃ

example of copy paste job
Copy Paste job example

কপি পেস্ট জবের বাস্তবতা

নিচের টাইটেল গুলো লক্ষ করুন। এই টাইটেল গুলো পাবেন ব্লগে সার্চ করলে।

  • কপি পেস্ট করে মাসে ৮০০০ হাজার টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট
  • কপি পেস্ট কাজ করে মাসে ইনকাম ৫০০ ডলার ইনকাম করুন।

আপনি ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার, আপ-ওয়ার্ক ওয়েবসাইটের হাই লেভেল ওয়ার্কারের প্রোফাইল চেক করলে দেখবেন। সবাই কয়েক হাজার প্রজেক্ট শেষ করেছে। কিন্তু এই পর্যায়ে আসতে একজন কপি পেস্ট ওয়ার্কারের কত বছর লেগেছে একবার চিন্তা করুন।

সুতরাং আমি আপনাকে মিথ্যা কোন আশ্বাস দিবো না। হ্যাঁ আপনি কপি পেস্ট করে মাসে কয়েক হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন কিন্তু সেটা সমায় সাপেক্ষ। এবং বর্তমাসে এই ধরনের জবের প্রতিযোগিতা খুবেই বেশি।

শেষ কথা

কপি পেস্ট করে ব্লগ থেকে আয় করা সম্ভব নয়। কারন কপি করা ব্লগ গুলো গুগল ইনডেক্স করে না। এবং কপি করা ব্লগে গুগল অ্যাডসন্স পাওয়া যায় না।

যে সকল কপি পেস্ট জব আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে করবেন সেই কাজ গুলো আপনাকে শিখতে হবে। তবে কপি পেস্ট জব শেখার জন্য আপনাকে কোন কোর্স করতে হবে না। আপনি ইউটিউবে গিয়ে কপি পেস্ট জব কিভাবে শিখবো লিখে সার্চ করলে অনেক টিউটোরিয়াল পাবেন।

কপি পেস্ট কাজ করে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব?

এটা আসলে নির্ভর করে আপনি কোথায় কাজ করতেছেন। আপনি কোন কপি পেস্ট বা ডাটা এন্ট্রি জব করে থাকেন তার জন্য প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত অর্থ পাবেন।

অন্যদিকে ফ্রিল্যান্সিং করলে প্রথম অবস্থায় তেমন একটা ইনকাম করতে পারবেন না। কারন নতুন ফ্রিল্যান্সার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস গুলো থেকে তেমন একটা কাজ পান না।

তবে আপনার প্রোফাইল ডেকোরেশন ভালো হলে খুব তাড়া তাড়ি কাজ পাবেন এবং ভালো আয় করতে পারবেন।

সুতরাং কপি পেস্ট কাজ করে কত টাকা আয় করবেন এটা নির্ভর করবে সম্পূর্ন ভাবে আপনার উপর। যত বেশি কাজে এক্সপার্ট হতে পারবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

Click the above button to visit next page

You visited 1/10 pages

This div height required for enabling the sticky sidebar