ফেসবুক ভিডিও থেকে কিভাবে আয় করবেন
দুই ধরনের মানুষ এই লেখাটি পড়তে পারে। এক যে ব্যক্তি জানতে চায় কিভাবে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয় করা যায়। দুই ফেসবুক ভিডিও থেকে আয়।
একটু ক্লিয়ার করে রাখি যারা ফেসবুকে ভিডিও আপলোড কররে অর্থ আয় করতে চান এই লেখাটি তাদের জন্য। সুতরাং আপনি যদি মনে করেন যে ফেসবুকে ভিডিও দেখে আপনি আয় করতে পারবেন তাহলে কিন্তু আপনার জন্য এই লেখাটি নয়। কারন ফেসবুকে ভিডিও দেখে আয় করা যায় না।

নোটঃ আপনি এই লেখার মাধ্যমে কি শিখতে পারবেন? ফেসবুকে ভিডিও থেকে আয়ের প্রসেস এবং গাইডলাইন।
আপনি যদি মনে করেন যে ফেসবুকে আজ ভিডিও আপলোড করে কালকে থেকে আয় করতে পারবেন তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য নয়। কারন ফেসবুক ভিডিও থেকে আয় করতে চাইলে একটি নিদিষ্ট প্রসেসের মাধ্যমে আপনাকে যেতে হবে। ফেসবুকের দেওয়া প্রতিটি শর্ত পালন করে আয় জন্য আবেদন করতে হবে।
- এখন প্রশ্ন হল কিভাবে ফেসবুক পেজের ভিডিও গুলো বিজ্ঞাপনের জন্য জমা দিবেন?
- আপনার Facebook পেজটি ভিডিও বিজ্ঞাপনের জন্য উপযুক্ত করার জন্য সে সকল কাজ করতে পারেন।
- ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয় করা কি খুবেই সহজ
- ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়
- ফেসবুক ভিডিও ১০০০ হাজার ভিউ করার জন্য কত টাকা দেয়
- ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করলেই কি টাকা পাওয়া যায়
- ফেসবুক ভিডিও কোথায় আপলোড করতে হয়?
তাহলে শুরু করা যাক,
প্রথমে যেনে নেওয়া যাক, Facebook ভিডিও থেকে আয় করার জন্য কি কি শর্ত পালন করতে হবে?
- ফেসবুক বিজ্ঞাপন Monetisation শর্ত গুলো পূরন করা। কারন, আপনি যে কোন ধরনের ভিডিও দিলে ফেসবুক আপনার ভিডিওতে এড দিবে তা কিন্তু নয়। আপনার ভিডিও কে বিজ্ঞাপন Monetisation Policies পূরর্ন করতে হবে।
- ফেসবুক পেজ থেকে আপনাকে ভিডিও আপলোড করতে হবে। আপনি যদি মনে করেন আপনার প্রোফাইলে ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে আয় করবেন সেটা হবে না। আপনার একটি ফেসবুক পেজ থাকতে হবে এবং সেই পেজ থেকে ভিডিও আপলোড দিতে হবে।
- আপনার পেজে মিনিমাম ১০,০০০ ( দশ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে ) আপনার পেজের সাথে ১০,০০০ মানুষের যুক্ত থাকতে হবে। নিচের ফেসবুক পেজের ফলোয়ার লক্ষ করুন।

- ৬০ দিনে আপনার ফেসবুকে আপলোড করা ভিডিও গুলো যেন ৬ লক্ষ মিনিট দেখা হয় এমন রেকর্ড থাকতে হবে।
- আপনার পেজে মিনিমাম ৫ টা ভিডিও থাকতে হবে। এবং আপনার আপলোড করা ভিডিও গুলো তিন মিনিটের বেশি হলে ভালো হবে।
- আপনার বয়স ১৮ বছর হতে হবে।
- আপনার দেশ ফেসবুক in-stream ads দেখানোর জন্য এনাবল কি না সেটা দেখতে হবে।

এবার নেকস্ট ধাপে যাওয়া যাক, ধরে নিলাম আপনার একটি ফেসবুক পেজ আছে যেখানে ১০,০০০ ( দশ হাজার ) ফলোয়ার আছে এবং আপনার ৫ টি ভিডিও আছে। এবং ফেসবুকের অন্য সকল শর্ত আপনি পূরন করেছেন। এর পরর্বতীতে আপনার করনীয় কি?
এবার আপনার পেজটি ফেসবুককে একটি প্রসেসের মাধ্যমে দিতে হবে। আপনি যখন ফেসবুক পেজটি ফেসবুক মনিটাইজেশন বা বিজ্ঞাপনের জন্য উপযুক্ত কি না, যাচাই করার জন্য জমা দিবেন তখন ফেসবুক দেখবে যে আপনার ভিডিও গুলোতে এড দেওয়া যাবে কি না।
মেয়েদের ঘরে বসে ফেসবুকে ব্যবসা করার উপায়
এখন প্রশ্ন হল কিভাবে ফেসবুক পেজের ভিডিও গুলো বিজ্ঞাপনের জন্য জমা দিবেন?
ফেসবুক Creator Studio ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনাকে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। একাউন্ট ওপেন করার পর আপনাকে পেজ মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে হবে।
একাউন্ট ওপেন হয়ে গেলে লেফট সাইডে Monetisation বাটনে ক্লিক করুন। এবার অপেক্ষ করুন আপনার পেজ টি চেক হবে। যদি আপনি বিজ্ঞাপনের জন্য বাছাই হয়ে থাকেন তাহলে পরর্বতী পদক্ষেপ গুলো পাবেন।

আপনি বিজ্ঞাপনের জন্য নির্বাচিত হয়ে থাকে সেট আপ বাটনে ক্লিক করুন। এবার আপনার পেজটি সিলেক্ট করুন। এবং সর্ব শেষ ফেসবুক বিজ্ঞাপনের শর্ত গুলো পড়ে সম্মতি প্রকাশ করে টিক দিন।
আপনার ভিডিও তে বিজ্ঞাপন দেওয়া ফলে যে ইনকাম হবে সেটা আপনার ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি জমা হবে। প্রতি মাসে ২১ তারিখে আপনি ইনকাম পাবেন। এবং আপনার ব্যাংক একাউন্টে আয় নিয়ে আসার জন্য অবশ্যই আপনার আয় ১০০ ডলার হতে হবে।
ধরুন, আপনি মে মাসে ১২০ ডলার আয় করলেন। এই আয়টি জুন মাসের ২১ তারিখ আপনার ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে।
নিচের ছবি দেখুন বুঝতে পারবেন কিভাবে ব্যাংক একাউন্ট সেটাপ করবেন।

সব কিছু সেটাপ হয়ে গেলে আপনার ফেসবুক পেজটি ভিডিও বিজ্ঞাপনের জন্য উপযুক্ত কি না যাচাই করার জন্য ফাইনাল টাচে যাবে। যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে ৭ ( এক সপ্তাহের মধ্যে আপনি গুড নিউজ পাবেন ) । কিছু কিছু ক্ষেত্রে কয়েক ঘন্টার মধ্যে সিলেক্ট ইমেইল পাওয়া যায়।
আপনার Facebook পেজটি ভিডিও বিজ্ঞাপনের জন্য উপযুক্ত করার জন্য সে সকল কাজ করতে পারেন।
- ফেসবুক Creator Studio মাধ্যমে জানার চেষ্ট করুন। কোন ভিডিও গুলো মানুষ বার বার দেখছে। এবং পরর্বতীতে একই ভিউওয়ার আপনার ভিডিও গুলো দেখছে। চেষ্টা করুন যে ধরনের ভিডিও মানুষ বেশি দেখেছে সেই ধরনের ভিডিও করার।
- প্রতিদিন একই সময় বা প্রতি সপ্তাহের এই সময়ে ভিডিও আপলোড দেওয়ার চেষ্টা করুন। এর ফলে যারা আপনার ভিডিও দেখে তারা একটা প্রিপারেশন নিতে পারবে।
- আপনার ভিডিও দেখে যারা কমেন্ট করা চেষ্ট করুন তাদের কমেন্টের রিপ্লে দেওয়ার।
- আপনার ফেসবুক ভিডিও লিংক অন্য সকল সোস্যাল মিডিয়া শেয়ার করুন।
- আপনার পেজের নাম প্রতিটি ভিডিও সাথে যোগ করুন। যাতে করে আপনার ফলোয়ার গুলো খুব সহজে আপনার ভিডিও খুঁজে পায়।
- আপনার পেজের নামে একটি গ্রুপ খুলতে পারেন এবং ভিডিও গুলো শেয়ার করতে পারেন। চেষ্ট করুন একটি কমিনিটি তৈরি করার।
Facebook ভিডিও মনিটাইজেশনের মাধ্যমে আয় করতে চাইলে তিনটি বিষয় ঠিক থাকতে হবে।
Partner Monetisation Policies, Community Standards, Content Monetisation Policies.
Facebook ভিডিও থেকে অন্য ভাবে আয় করা সম্ভব কি?
আপনার ভিডিও যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখবে তখন আপনি চাইলে অন্য ভাবে ফেসবুক ভিডিও থেকে ইনকাম করতে পারেন। যেমন আপনি আপনার ভিডিও শুরু দিকে অথবা শেষ দিকে কোন কম্পানির স্পন্সার নিতে পারেন। যার মাধ্যম আপনি অতিরিক্ত অর্থ আয় করতে পারনে।
আবার আপনি আপনার ভিডিওতে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের প্রচার করে অনলাইনে গ্রাহকদের কাছে বিক্রয় করে আয় করতে পারেন।
অনলাইন থেকে আয় করার মাইক্রো জব ওয়েবসাইট লিষ্ট
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয় করা কি খুবেই সহজ
দেখুন কোন একটা অনলাইন মাধ্যম থেকে ইনকাম করাটা তত টা সহজ নয়। এই কথা টি শুধু অনলাইন প্লাটফর্মের ক্ষেত্রে যে প্রযোজ্য তা কিন্তু নয়। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে এই বিষয়টি প্রযোজ্য।
তবে কিছু বিষয় আছে যা আপনার জানা টা জরুরি। আপনি কোন কিছু আয় করার উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু করলে আপনাকে প্রোফেশনাল ভাবে কাজ করতে হবে।
প্রোফেশনাল ভাবে কাজ করা ছারা আপনি সফল হতে পারবেন না। ধরুন আপনি ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করা শুরু করলেন। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে চিন্তা করতে হবে যে আপনি কোন ধরনের মানুষের জন্য ভিডিও তৈরি করবেন।
মানে আমি ফলোয়ারদের কথা বলছি। একটি বিষয়টা ক্লিয়ার করে বলা যাক, ধরুন আপনার টারগেট ফলোয়ার হল ফুড লাভার সুতরাং আপনার ভিডিও গুলো সেই রিলেটেড হতে হবে।
আবার ধরুন আপনার টারগেট হল ১৫ থেকে ১৮ বা ২০ বছর বয়সের ছেলে/মেয়ে তাহলে আপনার টারগেট ফলোয়ার অনুযায়ি ভিডিও তৈরি করতে হবে।
এর সাথে সাথে একটি বিষয় আরও খেয়াল রাখতে হবে যে ফেসবুক কোন ধরনের মানুষ বেশি ব্যবহার করে এবং তাদের পছন্দ কি হতে পারে।
দেখুন, আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ি ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে আপলোড করে দিলে মানুষ দেখবে না। মানুষ কি পছন্দ করে সেই রিলেটেড ভিডিও আপনাকে আপলোড করতে হবে।
আপনাকে ভিডিও গ্রাফি সম্পর্কে মিনিমান জ্ঞান থাকতে হবে। বেসিক ভিডিও এডিটিং অবশ্যই জানতে হবে। সুতরাং আপনি ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয় করতে পারা বা না পারার বিষয় গুলো সম্পূর্ণ ভাবে আপনার উপর নির্ভরশীল।
আমার ব্যক্তি গত অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।
আমি একজন ডিজিটাল মার্কেটার। সুতরাং আমাদের কে প্রতিটি বিষয় ভালো ভাবে জানতে হয়। কারন আমরা ভিজিটর, কাস্টমার নিয়ে সব সময় কাজ করি। আমার সীমাবদ্ধ জ্ঞান হতে যত টুকু সম্ভব আপনাদের শেয়ার করার চেষ্টা করছি।
আমি একটি ইউটিউব চ্যানেল প্রোমশনের কাজ করছি। আমি দেখলাম চ্যানেলটি বয়স ৫ মাস এবং সর্বমোট ভিডিও আপলোড করা হয়েছে ৭৩ টি । তারপরেও চ্যানেলে কোন গ্রো নেই।
এবং আমার ক্লাইন্ট অনেক চেষ্টা করেছে এই ৫ মাসে চ্যানেলটি গ্রো করার। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যা হোক আমি উনার ১০ থেকে ১৫ টি ভিডিও দেখলাম এবং বললাম আপনি ভিডিও গ্রাফির বেসিক কোন কিছু জানেন না।
ভিডিও শুধু করলেই হবে না। ভিডিও ধারন, ইমোশন, ভিউয়ার কানেকশন, এবং এডিটিং ইত্যাদি বিষয় গুলো খুবেই গুরুত্বপূর্ণ।
একজন ভিউয়ার যখন প্রথম আপনার ভিডিও দেখে তখন যেন ভিউয়ার আপনার ভিডিও দেখতে মজা পায় এবং কানেকশন ফিল করে। যদি এমনটা হয় তাহলে সেই ভিউয়ার আপনাকে ফলো করবে।
পরর্বতীতে আমরা উনার ১০ টা ভিডিও প্রোডাকশন করে দেই। আজকে সেই চ্যানেলটি মোটামুটি সফল বলা চলে। আশা করি বুঝতে পারছেন শুধু কাজ করলে হবে না। কাজের সাথে সাথে কাজের মান থাকাটা জরুরি।
মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে আয় করার উপায়
ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়
ফেসবুক আপনার ভিডিওটি রিভিউ করার পর জানিয়ে দেবে আপনার ভিডিও টি বিজ্ঞাপন প্রদর্শেনের জন্য উপযুক্ত কি না। আপনার ভিডিও টি এড প্রদর্শেনের জন্য উপযোক্ত না হলে আপনাকে ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে।
ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা ইনকাম হবে সেটা নির্ভর করবে আপনার ভিডিও ভিউ করার উপর। ধর তোমার একটি ফেসবুক ভিডিও প্রতিদিন ৫০০০ হাজার ভিউ হয়। এখন এই ৫০০০ হাজার বার ভিউ হওয়ার সময় যত বার তোমার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে আপনি তত বার আয় করবেন।
হ্যাঁ, আপনি চাইলে একটি বিষয় নির্ধারন করে দিতে পারেন সেটা হল আপনার ভিডিও চলার কোন সময় বিজ্ঞাপন দেখাতে চান তা বাছাই করে দিতে পারবেন।
ধরুন, আপনার ভিডিওটি ৫ মিনিটের। আপনি চাইলে ভিডিওটির শেষের দিকে অথবা প্রথমে বিজ্ঞাপন দেখানো হোক এই বিষয়টি সেট করে দিতে পারবেন।
বিষয়টি আরও একটি ক্লিয়ার হওয়া যাক। আমি আপনার ভিডিওটি ফেসবুকে দেখছি। এমন সময় আপনার ভিডিওতে একটি বিজ্ঞাপন প্রর্দশন হল এর জন্য আপনি অর্থ পাবেন।
এবার সেই একই কাজ আমি আপনার ভিডিও দেখছি কিন্তু কোন বিজ্ঞাপন এলো না তাহলে আপনি কোন অর্থ পাবেন না। আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন কখনো এবং কোন ব্যাক্তিকে দেখানো হবে এটা কেউ বলতে পারবে না। এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে ফেসবুক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

ফেসবুক তার ক্রিয়েটর মানে যারা ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে আপলোড করে তাদের দেওয়া হয় 55% । মানে ফেসবুক একজন বিজ্ঞাপন দাতার কাছ থেকে 100 ডলার আয় করলে আপনি পাবেন 55 ডলার বাকি 45 ডলার পাবে ফেসবুক।
নোটঃ ফেসবুক জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। একই ভিডিও ইউটিউবে ৫০০০ হাজার ভিউ হলে সেই একই ভিডিও ফেসবুকে ২০,০০০ হাজার ভিউ হবে ( এটা উদাহরন মাত্র ) । কারন ফেসবুকের ব্যবহারকারী বেশি এবং মানুষ ফেসবুকে বেশি সময় ব্যায় করে থাকে।
এবং আপনি একটি বিষয় লক্ষ করেছেন কি? আপনি ফেসবুকে ভিডিও দেখার সময় প্রায় প্রতিটি ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। যেহেতু প্রতি ভিউয়ার বিজ্ঞাপন দেখতে পায় সেহেতু ইনকাম বেশি হবে।
ফেসবুক ভিডিও ১০০০ হাজার ভিউ করার জন্য কত টাকা দেয়
আমি একজন বিজ্ঞাপন দাতা। আমি ফেসবুকে একটি ভিডিও এড তৈরি করলাম এবং সেই এডটি বুষ্ট করলাম। আমার বুষ্ট করা বিজ্ঞাপনটি কোন এলাকায়, ফেসবুকের কোন কোন জায়গায় শো করাবে আমি সেটি নির্ধারন করে দিতে পারবো।
ফেসবুক থেকে দুই ভাবে আয় করা যায়। একটি Instant Article, ভিডিও বিজ্ঞাপন। ফেসবুকে প্রবেশ করার পর মাঝে মাঝে বিভিন্ন ধরনের লেখা দেখা যায় এবং আপনি সেই লেখা গুলো ক্লিক করলে অন্য কোন ওয়েবসাইটে নিয়ে যায় না। দেখবেন যে লেখাটি ফেসবুকে বিস্তারিত পড়া যাচ্ছে এবং পড়ার সময় বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন এই লেখা গুলো কে Instant Article বলে।
ভিডিও বিজ্ঞাপন আপনি জানেন। যা হোক মূল আলোচনায় আসা যাক। ১০০০ ভিডিও ভিউ করার জন্য ফেসবুক কত টাকা দেয়। এটা সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করবে আপনার ভিডিও কোন দেশ থেকে দেখা হচ্ছে।
যেমন আপনার ভিডিওটি যদি কেই ইউকে থেকে দেখে তাহলে সেই ভিডিওটি দেখার সময় যে বিজ্ঞাপনটি দেখানো হবে সেটি অবশ্যই ইউকের হবে। সুতরাং এই ক্ষেত্রে আপনি বেশি অর্থ পাবেন।
আবার একই ভিডিও আমি দেখছি বাংলাদেশে বসে তাহলে এবার যে বিজ্ঞাপনটি শো হবে সেটি অবশ্যই বাংলাদেশের কোন কোম্পানির হবে সুতরাং এবার আমি কম অর্থ পাবো।
সাধারনত ফেসবুক ভিডিও বিজ্ঞাপনের CPV হল ১ সেন্ট থেকে শরু করে ১৫ সেন্ট পর্যন্ত। সুতরাং আপনার ভিডিও ভিউ হওয়ার সময় যদি হাই CPV এ্যাড দেখানো হয় তাহলে বেশি ইনকাম করবেন।
কেউ ১০০% সিওয়ার দিয়ে বলতে পারবে না যে আপনি ১০০০ ফেসবুক ভিডিও ভিউ হওয়ার জন্য এতো অর্থ টি ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করলেই কি টাকা পাওয়া যায়
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করার জন্য আপনার অবশ্যই একটি পেজ থাকতে হবে। আপনি আপনার প্রোফাইলে ভিডিও আপলোড করে অর্থ আয় করতে পারবেন না।
শুধু ভিডিও আপলোড করলেই যে ইনকাম করতে পারবেন তেমনটা কিন্তু নয়। ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করার পর নিদিষ্ট শর্ত পূরন করতে হবে। কি কি শর্ত পূরন করতে হবে সে গুলো উপরের লেখায় উল্লেখ্য করা আছে।
আপনি ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে চাইলে অব্যশই প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করতে হবে। এবং ফেসবুক ব্যবহার কারীগন যেন আপনার ভিডিও দেখে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আপনি ভালো ভিডিও বা মানুষ দেখে এমন ভিডিও আপলোড করলে মানুষ দেখবে এবং আপনি ইনকাম করতে পারবে।
আপনার আপলোড করা ভিডিও মানুষ না দেখলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন না।
মোবাইলে ভিডিও দেখে অনলাইন থেকে ইনকাম
ফেসবুক ভিডিও কোথায় আপলোড করতে হয়?
ফেসবুক ভিডিও থেকে ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই আপনার ভিডিও গুলোকে ফেসবুক পেজে আপলোড করতে হবে।
আপনি আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে ভিডিও আপলোড করলে আয় করতে পারবেন না। আপনি প্রথম অবস্থায় যে প্রেসেস গুলো ফলো করবেন।
- ফেসবুক পেজ তৈরি করুন।
- প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করুন।
- ফেসবুক এড পাওয়ার জন্য শর্ত পূরন করুন।
ফেসবুক পেজ কিভাবে তৈরি করে?
নিচের দেওয়া লিংকে প্রবেশ করুন। ( ফেসবুক পেজ ফেসবুক প্রোফাইল থেকে তৈরি করা যায়। )
https://web.facebook.com/pages/create/
ধাপ-১ঃ উপরের লিংকে প্রবেশ করার পর দুইটি পেজের অপশন দেখতে পাবেন। প্রথমটি বিজনেস বা ব্রান্ড অন্যটি পাবলিক ফিগার।

আপনি প্রথম অপশনটি বাছাই করবেন। প্রথম অপশনটি সিলেক্ট করার পর আপনাকে আপনার ফেসবুক ইউজার নেম এবং পাচওয়ার্ড দিয়ে লগিন করতে বলবে।

ধাপ-২ঃ লগিন করা হয়ে গেলে। আপনাকে পেজের নাম, পেজ ক্যাটাগরি, এবং পেজটি কি বিষয়ে এর উপর একটি বর্ননা লিখতে হবে। ( আপনি একই সাথে তিনটি পেজ ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে পারবেন )

সঠিক ভাবে সব কিছু হয়ে গেলে আপনাকে পেজ প্রোফাইল ইমেজ এবং পেজ কভার ফটো যোগ করতে বলা হবে।

ধাপ-৩ঃ ধাপ-২ এর মাধ্যমে ফেসবুক পেজ তৈরি করার কাজটি শেষ হয়ে যায়। কিন্তু একটি পরিপূর্ণ ফেসবুক পেজ তৈরি করার জন্য মোট ১৩টি স্টেপ ফলো করে পেজটি ওকে করতে হয়।
- পেজের নাম
- পেজ ক্যাটগরি
- পেজের বর্ননা
- প্রোফাইল ফটো
- কভার ফটো
- বিজনেস ঘন্টা
- মোবাইল নাম্বার
- Link WhatsApp
- ওয়েবসাইট
- লোকেশন
- পেজ অ্যাকশন বাটন ( প্রতিটি পেজে প্রবেশ করার পর আপনি একটি বাটন দেখতে পাবেন যেখানে বিভিন্ন ধরনের লেখা থাকে যেমন কল করুন, এসএমএস দিন, যোগাযোগ, ভিজিট করুন, ফলো করুন ইত্যাদি )
- পেজে ফলো করার জন্য বন্ধুদের নিমন্ত্রন করুন
- পেজটি কম্পিলিট করুন।

আপনাকে প্রতিটি কাজেই করে পেজটি ক্রিয়েট করতে হবে বিষয়টি এমন নয়। আপনি প্রথম কয়েকটি অপশন সঠিক ভাবে ফলো করতে পারলে পেজটি তৈরি হয়ে যাবে।
এখন আপনি আপনার পেজে ভিডিও পোষ্ট করতে পারবেন।

পেজে ভিডিও আপলোড করা শুরু করলে আপনি দেখতে পারবেন যে আপনার ভিডিও কত জন ভিও করছে, কে ভিডিও ভিও করছে ইত্যাদি বিষয় গুলো।
-
ফেসবুকের মনিটাইজেশন শর্ত পালন হলেই কি আমি অর্থ পাবো?
ফেসবুকের বেসিক শর্ত পূরন হওয়ার পর আপনাকে মনিটাইজেশনের জন্য দরখাস্ত করতে হবে।
এপ্লাই করার পর ফেসবুক কৃত পক্ষ আপনার পেজের ভিডিও গুলো চেক করবে যেমন ভিডিও দৈর্ঘ্য, ভিডিও কোয়ালিটি, ভিডিও কপি করা কি না! ইত্যাদি।
সব কিছু ঠিক থাকলে ফেসবুক আপনার ভিডিও তে এড প্রদর্শন করা শুরু করবে। বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা মানে অর্থ আয় শুরু হওয়া।
একটি ভালো বিষয় হল ইউটিউবের থেকে ফেসবুক থেকে বেশি আয় করা যায়। ইউটিউব তাদের আয়ের ৫৫% ক্রিয়েটরদের সাথে শেয়ার করেন। অন্যদিকে ব্লগারদের ক্ষেত্রে ৬৮% রেভিনিউ শেয়ার করে থাকে।
একই সাথে ফেসবুক ক্রিয়েটরদের সাথে ৫৫% রেভিনিউ শেয়ার করে থাকে। ফেসবুকের ভালো দিক হল মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ। এই জন্য ফেসবুকে ইউটুবের থেকে বেশি ইনকাম হয়।
-
ফেসবুকে কত মিনিটের ভিডিও আপলোড করা উচিত ?
ফেসবুক আপনাকে ৩ মিনিটের উর্দ্ধে ভিডিও আপলোড করতে বলবে। কিন্তু আপনি তিন মিনিটের নিচেও ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।
আপনি প্রফেশনাল ভাবে কাজ করলে আমার সাজেশন হবে ৮ থেকে ১০ মিনিট দৈর্ঘ্য ভিডিও আপলোড করার।
-
ফেসবুক থেকে আয় কৃত অর্থ কিভাবে পাওয়া যায়?
আপনার ফেসবুক থেকে আয় কৃত অর্থ সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে নিয়ে আসতে পারবেন। ভিডিও মনিটাইজেশনের জন্য অনুমতি পেলে আপনাকে আপনার পেজে ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করার অপশন দেখানো হবে।
আপনি আপনার ব্যাংক একাউন্টের তথ্য দিয়ে সেভ করে দিলেই হয়ে যাবে। সাধারন যে সকল তথ্য লাগবে নাম, একাউন্ট নাম্বার, Swift code। এবং ফেসবুক পেপাল একাউন্ট সাপোর্ট করে।
ফেসবুক ১০০ ডলারের নিচে পেমেন্ট ইসু করে না। মানে আপনার ইনকাম ১০০ ডলার না হলে আপনি ফেসবুকে থেকে ইনকাম করা অর্থ ব্যাংক বা পেপাল একাউন্টে নিয়ে আসতে পারবেন না।
ফেসবুক প্রতি মাসে ২১ তারিখ পেমেন্ট রিলিচ করে থাকে তার পূর্ববতী মাসের ইনকাম। মানে আপনি মে মাসে যে ডলার আয় করবেন সেই ইনকাম জুন মাসের ২১ তারিখ পাবেন।
Click the above button to visit next page
You visited 1/10 pages