ব্যক্তিগত ব্লগ খোলার ধাপ
ব্যক্তিগত ব্লগ কি? ব্যক্তিগত ব্লগ হল এক ধরনের দিন পঞ্জিকা। যেখানে দৈনিকদিন কার্যকলাপ লিপিবদ্ধ করে থাকে। ধরুন আপনি আজকে কোথাও বেড়াতে গেলেন। আপনি আপনার ব্লগে সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে লিখলেন। আপনি চাইলে আপনার ব্যক্তিগত জীবন আচারন শেয়ার করতে পারেন।
ব্যক্তিগত ডাইরি এবং ব্যক্তিগত ব্লগের মধে পার্থক্য হল ব্যক্তিগত ডাইরি নিজের কাছে থাকে অন্য কেউ দেখতে পায় না। অন্যদিকে ব্যক্তিগত ব্লগ সাবাই দেখতে পায়।
চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে ব্যক্তিগত ব্লগ খোলা যায়? তার আগে বলে রাখি আমি যে প্লাটফর্মে ব্যক্তিগত ব্লগ ওপেন করে দেখাবো তাছারাও অন্য মাধ্যম যেমন ওয়ার্ডপ্রেস, ওয়েবলি, ওয়িক্স, সাইট গুগল, টামব্লার, ইত্যাদি ওয়েবসাইটে আপনি ব্যক্তিগত ব্লগ ওপেন করতে পারবেন।
জিমেইল একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে
আপনার কোন জিমেইন একাউন্ট না থাকলে প্রথমে একটি জিমেইল একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। এর জন্য Gmail.com প্রবেশ করুন।

অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন অপশনে ক্লিক করুন। নিচের ইমেজটা দেখুন————

আপনার নাম, নামের শেষ অংশ দিন। ইউজারনেম হল আপনার জিমেইল অ্যাড্রেস। আপনার ইউজারনেমে বর্ন, সংখ্যা, ফুল স্টপ ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন abced-12@gmail.com, example-2022@gmail.com এই ভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
যদি আপনার ইউজারনেম আগে কেউ ব্যবহার না করে থাকে। তাহলে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না। সুতরাং ইউজারনেম দেওয়ার পর একটু অপেক্ষা করুন। ইউজারনেম আগে ব্যবহার করে থাকলে লাল দেখাবে।
শেষের দিকে পাসওয়ার্ড এবং নিশ্চিত পাসওয়ার্ড দিন। নিশ্চিত করুন বলতে পূর্বের পাসওয়ার্ড অংশে ব্যবহার করা পাসওয়ার্ড পুনরায় ব্যবহার করুন। পাসওয়ার্ডে বর্ণ, সংখ্যা, সঙ্কেত মিলিয়ে ৮টি অক্ষর ব্যবহার করুন।
এর পরে পরবর্তী অংশে যান। পরের অংশে মোবাইল নাম্বার দিয়ে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টটি ক্রিয়েট করুন।
ব্লগার ডট কমে প্রবেশ করুন এবং নিচের ধাপ গুলো অনুসরন করুন
Blogger.com ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।

Create Your Blog অপশনে প্রেস করে পরর্বতী ধাপে যান। যদি আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট লগ-ইন করা থাকে তাহলে দ্বিতীয় বার লগ-ইন করার প্রয়োজন হবে না। জিমেইল অ্যাকাউন্ট লগ-ইন করা না থাকলে, ক্রিয়েট ইওয়র ব্লগে প্রেস করার পর আবার জিমেইল অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করতে হবে।

জিমেইল অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করার পর নিচের অপশনটি আসবে।

আপনার ব্যক্তিগত ব্লগের টাইটেল দিন। টাইটেল হল ব্লগের শিরোনাম বলতে পারেন। ব্লগের টাইটেল লেখার পর নেকস্ট বাটনে প্রেস করুন।

আপনার ব্লগের অ্যাড্রেস দিন। আপনার অ্যাড্রেস হতে পারে example.blogspot.com or abcd.blogspot.com। তবে ব্লগ অ্যাড্রেসটি যদি কেউ আগে ব্যবহার করে থাকে তাহলে আপনি নতুন করে ব্যবহার করতে পারবেন না।
যেমন আমার ব্লগের নাম bestblog.blogspot.com এখন আপনি চাইলেও এই নামটি ব্যবহার করতে পারবেন না। সহজ উপায় হল ব্লগের নামের সাথে কিছু ডিজিট ব্যবহার করা যেমন bdblgo235.blogspot.com
ফাইনালি সেভ বাটনে প্রেস করলেই আপনার ব্যক্তিগত ব্লগ তৈরি হয়ে যাবে। এবার আপনি নিচের ছবিটির মত একটি ডেসবোর্ড দেখতে পাবেন।

এই ড্যাসবোর্ডে বেশ কিছু অপশন দেখতে পাবেন। যেমন পোষ্ট, স্টাটাস, কমেন্ট, আয়, পেজ, লে-আউট, থিম, সিটিং, ইত্যাদি।
নিউ পোষ্টে প্রেস করে আপনি আপনার ব্লগ লেখা শুরু করতে পারবেন। নিচের ছবিটি দেখুন…

প্রথমে টাইটেল দিন যেমন আমার দেখা সুন্দর প্রাকৃতিক গ্রাম। টাইটেল লেখার পর নিচের সাদা ফাঁকা যায়গায় আপনি বিস্তারিত লিখতে পারবেন। লেখা শেষ হয়ে গেলে পাবলিশ বাটনে প্রেস করে আপনার প্রথম ব্যক্তিগত ব্লগ লাইফ করুন।
আপনার ব্যক্তিগত ব্লগটি জনপ্রিয় হয়ে গেলে এই ব্লগ সাইট থেকে আয় করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনার ব্লগে মানুষ যেন ভিজিট করে এবং আপনার লেখা পড়ে।
-
ব্যক্তিগত ব্লগের জন্য কি পেমেন্ট করতে হয়?
ব্লগার, ওয়েবলি, ওয়ার্ডপ্রেস, Wix, ইত্যাদি প্লাটফর্ম গুলোতে ফ্রি ব্লগ খুলতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করে ব্যক্তিগত ব্লগ ওপেন করেন সেই ক্ষেত্রে পেমেন্ট করতে হবে।
পেমেন্ট ডিপেন্ট করে আপনি কত টুকু হোস্টিং ক্রয় করবেন। সাধারনত ডট কম ডোমেইনের জন্য প্রতিবছর ১০০০ হাজার টাকার মত পেমেন্ট করতে হয়।
-
ব্যক্তিগত ব্লগ থেকে কি আয় করা যায়?
শুধু আপনি আপনার ব্লগ পড়বেন মানুষ আপনার ব্লগ পড়বে না তাহলে আয় করতে পারবেন না।
আপনি আপনার লেখা গুলো ফেসবুক সহ অনন্য সোস্যাল মিডিয়া গুলোতে শেয়ার করতে পারেন। যদি আপনার ব্লগে ভিজিটর আসে মানে মানুষ আসে তাহলে সেই ব্লগ থেকে আয় করা সম্ভব।
-
আমি কি আমার ব্লগটি মোবাইল দিয়ে পরিচালনা করতে পারবো?
অবশ্যই আপনি আপনার ব্লগটি মোবাইল দিয়ে পরিচালনা করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে ব্লগ ওপেন সহ যাবতীয় কাজ করতে পারবেন। আমি আমার জীবনের প্রথম ব্লগ মোবাইল দিয়ে ওপেন করেছিলাম।
তবে মোবাইলের থেকে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ব্লগ মেইনটেইনেস করা সহজ হয়। মোবাইলের ছোট স্কিন হওয়ার কারনে সকল অপশন একই সাথে দেখা যায় না। এই কারনে অনেক সময় বুঝতে অসুবিধা হয়।
Click the above button to visit next page
You visited 1/10 pages