কিভাবে ফেক অর্থ ইনকাম করার মোবাইল অ্যাপ চিনবেন (Fake Make Money Android Apps )
আপনার Android সেটটি ওপেন করে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সময় দেখবেন মোবাইল অ্যাপ দিয়ে অর্থ আয় করা যায় এমন সব বিজ্ঞাপন আপনি দেখতে পাবেন।
অথবা আপনি ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন দেখবেন হাজার হাজার ভিডিও এসে হাজির হবে যারা আপনাকে বলবে যে কিভাবে মোবাইল অ্যাপ দিয়ে ইনকাম করা যায়।
আপনি যে সকল ভিডিও ইউটিউবে দেখতে পাবেন তার ৮৫% ভুয়া তথ্য প্রদান করে। হয়তো কিছু অর্থ ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু কেউ যদি বলে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা যায় তাহলে ভুয়া।
যে কাজে কোন পরিশ্রম নাই। শুধু জয়েন করাতে হবে এবং তার বিনিময়ে আপনি কমিশন পাবেন। অথবা যে কাজ খুব সহজে আপনাকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করার কথা বলবে সেই কাজ থেকে ১ লক্ষ হাত দূরে থাকুন।
বর্তমান সময়ে অফলাইনে যে পরিমান দুর্নীতি হয় তার কয়েকশ গুন বেশি দুর্নীতি হয় অনলাইনে। এক গবেষণায় দেখা গেছে অনলাইন থেকে আয় করার কথা বলে প্রতারনা করে এমন ফেক অ্যাপ ৮০% বাকি ২০% রিয়েল।
কিন্তু এই রিয়েল অ্যাপস গুলো থেকে আয় করা অর্থ নিয়ে আসাটা অনেক ঝামেলার। এবং যদি কোন অ্যাপ পে করে থাকে সেটা খুবেই সামান্য।
বাংলাদেশের মত একটি উন্নায়নশীল দেশে বসে ইউরোপ মহাদেশের কোন ব্যাক্তির মত আয় করতে চাইবেন সেটা বোকামি ছারা কিছু নয়।
ছাত্রদের জন্য অনলাইনে থেকে ইনকাম করার উপায় ২০২২
বাংলাদেশে কয়টি কোম্পানি তাদের পন্য বাজারে প্রকাশ করার আগে কাস্টমার সার্ভে করে। কোন দিন দেখেছেন এমন কোন সার্ভে যেখানে বাংলাদেশি কোন পণ্যের গুনগত মান নিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে।
দেখুন, বিদেশী একটি সার্ভে অ্যাপ তাদের কাস্টমারের রিয়েল ফিডব্যাক নেওয়ার জন্য ১ থেকে ২ ডলার খরচ করতেই পারে। কিন্তু আপনি কি এটা বাংলাদেশে বসে আশা করেন যে বাংলাদেশের কোন কোম্পানি তাদের পণ্যের ফিডব্যাক নেওয়ার জন্য একটি অ্যাপ বানাবে এবং আপনার ফিডব্যাক নিবে।

টাকা আয় করা এপস গুলোতে কি কি ধরনের কাজ করতে হয় ?
প্রতিটি অ্যাপস থেকে ইনকাম করার জন্য কাজ ভিন্ন ভিন্ন। কিছু অ্যাপস আছে শুধু অ্যান্ডয়েড সেটের হোম স্কিন সোয়াইপ করলে অর্থ পাওয়া যায়। যে সকল কাজ এপস গুলোতে বেশি থাকে তার জন্য একটি লিষ্ট দেওয়া যাক।
সার্ভেঃ প্রশ্ন এবং উত্তর কাজ। আপনাকে অ্যাপ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হবে আপনি সেই গুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। বেশির ভাগ প্রশ্ন লাইফ স্টাইল বিষয়ে। যেমন, আপনার বয়স কত? আপনি বর্তমানে কোন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। আপনার মাসিক এবং বাৎষরিক আয় কত? ইত্যাদি ইত্যাদি।
লাইক, কমেন্ট শেয়ারঃ আপনাকে টুইটারের কিছু পোষ্ট দেওয়া হবে। আপনার কাজ হবে সেই টুইটার পোষ্টে গিয়ে লাইক, কমেন্ট বা শেয়ার করার। শুধু টুইটার যে কোন সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে এই ধরনের কাজ করতে হবে।
সাইন-আপঃ আপনাকে ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া হবে। আপনাকে সেই লিংকে প্রবেশ করে সাইন-আপ করতে হবে।
ডাউনলোডঃ আপনাকে নিদিষ্ট গেম ডাউনলোড করতে হবে। এবং সেই গেমটি ২ থেকে ৩ টি বা বেশি লেভেন প্লে করার পর পেমেন্ট পাবেন। কিছু অ্যাপ গেম খেলার জন্য পেমেন্ট করে থাকে।
অ্যাপ ইন্সটলঃ আপনাকে অ্যাপ ইন্সটল করার জন্য লিংক বা ছবি দেওয়া হবে। এবার অ্যাপটি ইন্সটল করে প্রমান সহ ওয়ার্ক সাবমিট করতে হবে।
নোটঃ অনেক ব্লগের টাইটেলে লেখা থাকে বিকাশে পেমেন্ট। আবার কিছু কিছু বিজ্ঞাপনে দেখা যায় বিকাশে পেমেন্ট। দয়া করে এই ধরনের অফার প্রদান করা অ্যাপ গুলো থেকে দূরে থাকুন।
যে সকল অ্যাপ থেকে সর্তক থাকবেন
আপনাকে অফার দেওয়া হল যে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করুন। কোন কিছু বোঝার আগে আপনি অ্যাপটি ডাউনলোড করলেন।
অ্যাপটি ইন্সটল করার সময় বিভিন্ন ধরনের পারমিশন চাইবে আপনার কাছে। যেমন, আপনার গ্যালারি ব্যবহার, কন্ট্রাক লিষ্ট, ক্যামেরা, মিডিয়া ইত্যাদি। আপনি সরল বিশ্বাসে সকল পারমিশন দিয়ে দিলেন।
এবার অ্যাপটির এডমিন আপনার তথ্য চুরি করে আপনার ক্ষতি করার চেষ্ট করবে। এই কারনে কোন অ্যাপ ইন্সটল করার পূর্বে অবশ্যই রিভিউ দেখে ইন্সটল করবেন। এবং অ্যাপটির পাবলিশিং ডেট চেক করে নিবেন। নিচের ছবিটি দেখুন।

কোন এপস মিডিয়া, ক্যামেরা একসেস করার অনুমতি চাইলে সহজে দিবেন না। একমাত্র বিশ্বাস হয় এমন অ্যাপকে একসেস করার অনুমতি দিতে পারেন। এবং প্রতিটি অ্যাপ ইন্সটল করার পূর্বে অ্যাপের ADDITIONAL INFORMATION চেক করে নিন।
ফেক টাকা আয় করার মোবাইল অ্যাপ কিভাবে চিনবেন?
- যদি কোন অ্যাপ কোম্পানি বলে যে সদস্যা হওয়ার জন্য টাকা লাগবে তাহলে তার থেকে দূরে থাকুন। টাকা বিনিময়ে কোন দিন সদস্য হতে যাবেন না।
- আপনি জয়েন করুন এবং অন্য আরও একটি সদস্য তৈরি করুন এমন কথা বললে সেই অ্যাপটি মোবাইল থেকে ডিলেট করে ফেলুন। অথবা কোন অ্যাপ এজেন্ট আপনার কাছে এমন প্রস্তাব দিলে সাথে সাথে সেই এজেন্টকে নম্র ভাবে না বলুন।
- দিনে ৫টি ৬টি বিজ্ঞাপন দেখে আয় করা যাবে এমন অ্যাপ থেকে দূরে থাকুন।
- টাকা ডিপোজিট করে খেলার মাধ্যমে টাকা আয় করা যায় এমন অ্যাপ ইন্সটল করবেন না। কারন এই সকল অ্যাপের প্রোগ্রাম এমন ভাবে তৈরি করা যে আপনি কোন দিন জয় পাবেন না। ১০০ টা খেলার মধ্যে আপনি ৯৮% হারবেন।
- রেফার প্রোগ্রামের মাধ্যমে আয় করতে হবে এমন কথা বলা হলে সেই অ্যাপটি থেকে দূরে থাকুন।
ফ্রি জয়েন, এবং অর্থ আয় করার মোবাইল অ্যাপ
- প্রথমেই প্লে স্টোরে গিয়ে অ্যাপসটির রিভিউ গুলো ভালো ভাবে পড়ুন।
- অ্যাপটি কত গুলো ডাইনলোড করা হয়েছে সেটা দেখুন। ৫০ হাজার বার ডাউনলোড হয়ে থাকলে আপনি ডাউনলোড করতে পারেন।
- অ্যাপটি সঠিক হয়ে থাকলে তার একটি ওয়েবসাইট থাকবে।
- আপনি যে অ্যাপে কাজ করবেন সেই অ্যাপটি কিভাবে পেমেন্ট করে সেটা জানুন। যদি দেখেন যে আপনাকে যে ভাবে পেমেন্ট করা হবে সেই পেমেন্ট সিস্টেম আপনার দেশ সাপোর্ট করে না তাহলে সেই অ্যাপে কাজ করবেন না।
- ভালো ভাবে লক্ষ করুন অ্যাপটি বাংলাদেশকে সাপোর্ট করে কি না!
- Freelancing মার্কেট প্লেসের অ্যাপ গুলো আরজিনাল সে গুলো নিয়ে কোন চিন্তা নেই।
রিয়েল অর্থ আয় করার মোবাইল অ্যাপস
বি.দ্রঃ আমি এখন যে সকল অ্যাপ নিয়ে আলোচনা করব সেগুলো অ্যাপ থেকে আপনি প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন না। হয়তো আপনি আপনার পকেট খরচটা ইনকাম করতে পারবেন। পকেট খরচ বলতে ২০০০ থেকে ৩০০০ হাজার টাকা।
যে সকল অ্যাপ নিয়ে কথা বলবো প্রতিটি অ্যাপে জয়েন করতে বা একাউন্ট তৈরি করতে কোন ধরনের অর্থ প্রদান করতে হবে না।
মাইক্রোজব অনলাইন আয়ের ওয়েবসাইট
গুগল মতামত অ্যাপস ( Google Rewards Opinion Apps )
আমি কোন অ্যাপ নিয়ে কথা বলার সময় অবশ্যই সেই অ্যাপটি ব্যবহার করে দেখি। যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে সে গুলো লেখার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্ট করি।
Google Opinion Rewards Apps একটি গুগলের রিওয়ার্ড সিস্টেম অ্যাপ। আপনি খুব সহজে এই অ্যাপটি ইন্সটল করতে পারবেন।

অ্যাপ রিভিউ স্টারঃ এই লেখাটি লেখা পর্যন্ত অ্যাপ রিভিউ স্টার হল ৪.২ ( এটা একটা ভালো স্টার রেটিং )
অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছেঃ প্রায় 50,000,000+ ( এই সংখ্যা কমতে এবং বাড়তে পারে )
যে কোন অ্যান্ড্রয়েড ( ৫.০ থেকে উপরের ভার্সনে ) মোবাইলে আপনি অ্যাপটি ইন্সটল করতে পারবেন।
অ্যাপসটির কাজঃ খুবেই সহজ কাজ। আপনি প্রতিদিন অনলাইনে যে সকল কার্যক্রম করেন তার উপর ভিত্তি করে আপনাকে সার্ভে দেওয়া হবে। যেমন আপনি আজকে গুগলে সার্চ দিয়ে একটি অনলাইন স্টোর ভিজিট করলেন।
এবার এই অ্যাপটি আপনার কাছে কিছু মতামত চাইবে। যেমন আপনি কি ধরনের পণ্য ক্রয় করার কথা ভাবছেন, আজ থেকে কত দিন পর পণ্যটি ক্রয় করতে চান, আপনি গুগলের কোন সার্ভিসটি বেশি পছন্দ করেন ইত্যাদি ইত্যাদি।
প্রতিটি সার্ভেতে ৩ থেকে ৫ টি পর্যন্ত প্রশ্ন থাকতে পারে। এবং প্রতিটি সার্ভের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে সর্বনিম্ন ১০ সেন্ট থেকে শুরু করে ১ ডলার পর্যন্ত দিতে পারে।
আপনার ইনকাম ১ ডলার হলে আপনি অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।
ডাউনলোড অ্যাপঃ Google Opinion Rewards Apps
সমস্যাঃ আপনি প্রতিদিন ১ টা থেকে ২ টা সার্ভে পেতে পারেন। সার্ভে নির্ভর করবে আপনার অনলাইন ব্রাউজিং এবং স্থানের উপর। আপনার আয়কৃত অর্থ সরাসরি গুগল পে ওয়ালেটে ট্রান্সফার করতে পারবেন।
কিন্তু বাংলাদেশে “গুগল পে ওয়ালেট” সাপোর্ট করে না। যাদের ডুয়েল কারেন্সি কার্ড আছে তারা শুধু গুগল পে ওয়ালেট একটিভ করতে পারবে বাংলাদেশে। ( ডুলেয় কারেন্সি কার্ড হল, যে সকল কার্ড একই সাথে দুই ধরনের মুদ্রা সাপোর্ট করে। মানে যে কার্ডে আপনি ডলার এবং টাকা দুইটি লোড দিতে পারবেন। )
Premise
আপনার কাছে জানতে চাওয়া হল আজকে আপনার এলাকার ট্রাফিক অবস্থা কেমন? আপনি যে এলাকায় বসবাস করেন সেই এলাকার ট্রাফিকের একটি ছবি তুলে আমাদের দেখান।
আপনার যে জায়গায় বসবাস করেন সেখানকার আজকের আবওয়া কেমন একটি ছবি তুলে আমাদেরকে পাঠিয়ে দিন।
আজকে আপনার লোকাল বাজারে আলু, পটল, টমেটো, গাজর, ইত্যাদির বাজার রেট কেমন আমাদের ছবি তুলে পাঠিয়ে দিন।
উপরে যে কাজ গুলোর কথা বললাম সেই কাজ গুলো করে premise অ্যাপ থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

ডাউনলোডঃ ৪ মিলিয়ন প্লাস
Premise App Download Link: Download Now
অ্যাপ রেটিংঃ ৪.৫ ( ফোর পয়েন্ট ফাইব )
অ্যাপ রিলিস ডেটঃ ১৩-০৬-২০১৮
অ্যানড্রেয়েড ভার্ষনঃ ৫.০ থেকে শুরু করে উপরে।
সমস্যাঃ বাংলাদেশের লোকাল বাজার গুলোতে পণ্যের দান উল্লেখ্য করা থাকে না। শুধু পণ্যেল ছবি তুললে হবে না, ছবির সাথে যেন পণ্যের মূল্য উল্লেখ্য করা থাকে। কাঁচা বাজার ব্যতিত অন্য সকল পণ্যের গায়ে UPC ( Universal Product Code ) থাকতে হবে, যা আমাদের দেশের অনেক পণ্যের গায়ে থাকে না।
আপনি চাইলেও অনেক বেশি আয় করতে পারবেন না। কারন প্রতি সপ্তাহে premise অ্যাপ থেকে ১ থেকে ৩ টি কাজের অফার করা হবে।
অ্যাপটির মিনিমাম ক্যাশ আউট সম্পর্কে কোন কিছু বলা নেই। গুগল করে দেখবেন ভিন্ন ভিন্ন ব্লগে ভিন্ন ভিন্ন এমাউন্টের কথা বলা হয়েছে। কেউ বলেছে ৫ ডলার আবার কেউ বলেছে ১০ ডলার।
Premise যারা কাজ করে তাদের কনট্রিবিউটার বলা হয়ে থাকে। একজন কনট্রিবিউটার একের অধিক একাউন্ট করতে পারবে না।
পেমেন্টঃ এই অ্যাপ থেকে পেমেন্ট পাওয়া খুব সহজ। পেমেন্ট মাধ্যম সাপের্ট করে PayPal, Payoneer, Airtm, etc.
PaidViewPoint
আপনাকে কিছু কমন প্রশ্ন করা হবে। শুধু প্রশ্ন এর বিপরীতে আপনাকে সঠিক উত্তরটি দিতে হবে। যেমন, আপনার বাসায় যে ভিটি টি ব্যবহার করে সেটা কোন ব্রান্ডের, আপনি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কি ক্রয় করার কথা ভাবছেন? আপনার বাসায় ছোট বেবি আছি কি! আপনি কি বিবাহিত? ইত্যাদি ইত্যাদি।
সাধারন প্রতিটি সার্ভেতে ৫ টা থেকে দশটা প্রশ্ন থাকে। প্রতিটি সার্ভের জন্য আপনি পাবেন ০.০৩ সেন্ট ( খুবেই সামান্য )
তবে কিছু বিষয় আছে যেমন আপনার TraitScore ৯০০০ হলে অনেক বেশি সার্ভে পাবেন এবং আপনার সার্ভের পেমেন্ট বেড়ে যাবে।
এই অ্যাপের ভালো বৈশিষ্ট হল রেফার সিস্টেম। প্রতি একজন একটিভ বন্ধু রেফার করার জন্য আপনি পাবেন ২৫ ডলার।

সমস্যাঃ এই অ্যাপটির সব থেকে বড় সমস্যা হল পেমেন্টে। কারন, এই অ্যাপের পেমেন্ট পেপাল দিয়ে করে। অন্যদিকে বাংলাদেশে পেপাল সাপোর্ট করে না। অন্য আরও একটি সমস্যা হল সার্ভের অভাব। আপনি প্রতিদিন ১টির বেশি সার্ভে পাবেন না।
অবশ্য প্রতিনিয়ত কাজ করলে সার্ভের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। PaidViewpoint অ্যাপের একজন ভিআইপি মেমবার ভালো আয় করে থাকে।
মিনিমাম পে-আউটঃ ১৫ ডলার হলে আপনি ক্যাশ আউট করতে পারবেন।

ডাউনলোডঃ ৫০,০০০
ডাউনলোড লিংকঃ Download Link
সাপোর্ট ডিভাইসঃ অ্যানড্রয়েড ( ৫.০ থেকে উপরে )
অ্যাপ রেটিংঃ ৪.৩ ( ফোর পয়েন্ট থ্রি )
Methinks – Money for Thoughts
আমি একটি নতুন ডিজাইনের শার্ট তৈরি করলাম। এবার শার্টটি একটি ওপেনিয়ন বেসিস অ্যাপকে দিলাম। এবং তাদেরকে বললাম আপনাদের যে সকল রেজিঃ ইউজার আছে তাদের কাছ থেকে আমাকে কিছু তথ্য সংগ্রহ করে দিন।
এবং এর বিনিময়ে অ্যাপের উদ্দ্যোক্তা পেমেন্ট পাবে এবং যে সকল সদস্য এই শার্ট নিয়ে তাদের মতামত দিবে তাদের কিছু অর্থ পেমেন্ট করা হবে।
Methinks অ্যাপের মাধ্যমে আপনি আপনার মূল্যবান মতামত, বিভিন্ন ধরনের পণ্য, সেবা, সার্ভিস ইত্যাদি বিষয় গুলোর উপর দিবেন এবং অর্থ ইনকাম করবেন।
আপনি কিভাবে কাজ করবেন?
এই অ্যাপে আপনাকে একটি প্রোফাইল ওপেন করতে হবে। আপনার প্রোফাইল ওপেন হয়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট গিগ গুলোতে কাজের জন্য দরখাস্ত করতে পারবেন।
গিগ বলতে বায়ারদের ছোট ছোট কাজ। যেমন, অ্যাপ রিভিও, সার্ভে, সাইন-আপ, সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি।
আপনার প্রোফাইল দেখে বায়ারের পছন্দ হলে আপনাকে কাজ দেওয়া হবে। আপনি কাজটি করে দিলে আপনাকে বায়ার পেমেন্ট করবে।
সম্ভব কি! মোবাইল ভিডিও দেখে অনলাইন থেকে আয় করা
সমস্যাঃ এই ধরনের অ্যাপ গুলোতে বেশি কাজ পাওয়া সম্ভব নয়। যেহেতু বেশি কাজ পাওয়া যায় না সেহেতু বেশি আয় করা সম্ভব হয় না। এই অ্যাপ থেকে আয় করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ইংরেজী জানতে হবে। কারন এখানের অনেক কাজ ভিডিও ইন্টারভিউ দিয়ে হয়ে থাকে। প্রতিটি ভিডিও ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য আপনাকে ২০ ডলার পেমেন্ট করা হবে।
এই অ্যাপটি পেপালের মাধ্যমে পেমেন্ট করে থাকে। যেহেতু আমাদের দেশ পেপাল সাপোর্ট করে না সেহেতু এই অ্যাপ থেকে ক্যাশ আউট করতে গেলে সমস্যা হবে।
Methinks Apps টির মিনিমাম পেমেন্ট এমাউন্ট ১০০ ডলার।

ডাউনলোড অ্যাপঃ ১ লক্ষ প্লাস
সাপোর্ট ডিভাইসঃ অ্যানড্রয়েড ৫.০ থেকে উপরে।
ডাউনলোড লিংকঃ Methinks
অ্যাপ রেটিংঃ ৪.৫ ( ফোর পয়েন্ট ফাইভ )
-
মোবাইল অ্যাপ দিয়ে অর্থ ইনকাম করতে চাওয়া কতটা যৌক্তিক?
আপনি একটি মোবাইল অ্যাপ দিয়ে দিনে কত টাকা আয় করতে পারবেন? রিয়েল একটি মোবাইল অ্যাপস দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা ইনকাম হবে। আবার সেই টাকা উত্তোলন করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হবে।
দেখা যাবে যে আয় কৃত টাকা ৩০% অন্য কোন মাধ্যমে পে করতে হচ্ছে। তাছারা এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সময়। এই মোবাইল অ্যাপ গুলো থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা ইনকাম করার জন্য যে সময় ব্যয় করবেন। সেই একই সময় অন্য কোন মাধ্যমে ব্যয় করলে বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
সুতরাং আমার চিন্তা অনুযায়ি মোবাইল অ্যাপ দিয়ে ইনকাম করতে চাওয়াটা যৌক্তিক নয়। কিন্তু আপনি আমার সিদ্ধান্ত মেনে নিবেন তা নয় আপনি আপনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ি কাজ করবেন।
-
অর্থ আয় করার মোবাইল অ্যাপস কি?
যে সকল অ্যাপস ছোট ছোট কিছু কাজের বিনিময়ে অর্থ আয় করার সুযোগ দিয়ে থাকে। ফেসবুক মোবাইল অ্যাপ ইন্সটল করার পর ছবি, ভিডিও আপলোড করার জন্য আপনাকে ফেসবুক কোন ইনকাম দিবে না। কিন্তু কিছু অ্যাপ আছে যার সার্ভে, ভিডিও দেখা, লাইক করা, সাইন-আপ, ইত্যাদি কাজের জন্য পেমেন্ট করে।
এই অ্যাপ গুলো থেকে অনেক অর্থ ইনকাম করা সম্ভব নয়। মাস শেষে আপনার হাত খরচের টাকা হতে পারে
-
আয় করা অর্থ মোবাইল অ্যাপ গুলো কিভাবে পেমেন্ট করে?
প্রায় ৮০% মোবাইল অ্যাপ থেকে ইনকাম করা অর্থ নিয়ে আশার একটি উপায় হল পেপাল। অনেক অ্যাপ আছে যারা গিফট কার্ড বা ডিসকাউন্ট কার্ড দিয়ে থাকে। গিফট কার্ড হল ফ্রি শপিং করার কার্ড। নিদিষ্ট একটি পন্য ১ টি বা দুইটি আপনি ফ্রি শপিং করতে পারবেন।
ডিসকাউন্ট কার্ড হল কোন একটি পণ্যের দামের উপর ছাড়। ধরুন, একটি পণ্যের প্রাইস ১০০ ডলার। পণ্যটিতে ২০% ডিসকাউন্ট দেওয়া হলে প্রাইস হবে ৮০ ডলার।
শেষ কথাঃ
বর্তমান সময়ে অ্যানড্রেয়েড অ্যাপ দিয়ে ইনকাম করার চিন্তা করাটা বাস্তব সম্নত নয়। আমার সাজেশন হবে আপনি মোবাইল অ্যাপ দিয়ে ইনকাম করার পিছনে যে সময়টি ব্যয় করবেন। সেই একই সময় আপনি কোন কিছু শেখার কাজে ব্যয় করলে বেশি ভালো হবে।
আপনি ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন, এসইও, ব্লগিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, কোডিং, অ্যাপ ডেভলোপমেন্ট, ডাটা সাইন্স, ইত্যাদি যে কোন একটি বিষয় কোর্স করে অনলাইনে আয় করার চেষ্টা করতে পারেন।
সম্ভব কী! ঘরে বসে মোবাইলে আয় করা ( বাস্তবতা )
Click the above button to visit next page
You visited 1/10 pages