সত্যি কী! মোবাইলে ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম করা যায়।
আপনি এই লেখাটি পড়া শুরু করলে আমি বলব প্লিজ একটু ধৈর্য্য ধারন করুন এবং লেখাটি পড়ুন। আমি কথা দিচ্ছি এই লেখাটি পড়ার পর আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। আপনি গুগলে সার্চ করতে পারছেন ভিডিও দেখে আয় সুতরাং আমি মনে করি আপনি ইন্টারনেট বিষয় ভালো কিছু জানেন। শুধু সঠিক গাইড লাইনের জন্য এই লেখাটি আপনার পড়া উচিৎ।
কেন এই লেখাটি আপনার পড়া উচিৎ?
প্রতি দিন গড়ে ১০ থেকে ২০ জন লোক অনলাইনে সার্চ করে ভিডিও থেকে আয় করা যায় কিভাবে সেটা জানার জন্য। এবং অনেক ব্যক্তি সেই লেখা পড়ে আয় করার চেস্টা করে কিছু লোক অনেক চেস্ট করার পর ২ থেকে ৩ মাস পর হয়তো ২০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করে।
আমি আপনাকে এই লেখার মাধ্যমে বলার চেষ্ট করব কেন আপনার ভিডিও দেখে আয় করার চিন্তা বাদ দেওয়া উচিৎ। যদি আপনি লেখাটি পড়ার পর মনে করেন আমি ভুল নির্দশনা দিচ্ছি তাহলে আপনি সেই পথে আয়ের চেষ্ট করতে পারেন।
যেহেতু আমি একজন প্রেফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার সেহেতু আমি সবাইকে সঠিক বিষয়টি জানাতে চাই। আমি চাই সবাই সঠিক এবং প্রপার দিকনির্দশনা যে পায় কন্টেন্ট পড়ে। এবং এর সাথে আমি এটাও মনে করি শুধু ভিজিটর পাওয়ার জন্য আরর্টিকেল লেখা উচিৎ নয়।
ইউটিউব ভিডিও দেখে আয় ( Youtube )
অনেক তৃতীয় পক্ষ ওয়েবসাইট আছে যারা অর্থের বিনিময়ে ইউটিউব ভিডিও ভিউ করিয়ে থাকে। শুধু ভিউ না, সাথে কমেন্ট, শেয়ার, লাইক, ইত্যাদি কাজ গুলো করিয়ে নেওয়া যায়।
কিন্তু এই সকল কাজ করা ইউটিউব পলিসির বিপরীতে কাজ করে। কারন এই ধরনের কর্ম কান্ড ইউটিউব সাপোর্ট করে না।
যে সকল ইউটিউবার ভিডিও ভিউ বা ভিডিও প্রচার বৃদ্ধি করার লক্ষ এই ধরনের কাজ করিয়ে থাকে তারা তাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সফলতার পথে নিয়ে যেতে পারে না।
কিন্তু তার পরেও এই সকল কার্যক্রয় চলছে। কিভাবে ইউটিউব ভিডিও দেখে অর্থ পাওয়া যায়। আমি উদাহরন দিব কিন্তু কোন ওয়েবসাইটের নাম মেনশন করব না। কারন আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই ধরনের কার্যক্রমকে সাপোর্ট করি না।
ধরুন বি একটি কোম্পানি। আপনি বি কোম্পানিতে একজন সাধারন ওয়ার্কার হয়ে জয়েন করলেন। শুধু আপনি নন এই রকম হাজার হাজার ওয়ার্কার আছে যারা বি কোম্পানির সাথে যুক্ত।
এই বি কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট কাজ দিয়ে থাকে যেমন, ফেসবুক পেজ লাইক, ফেসবুক ভিডিও লাইক, শেয়ার, ইউটিউব ভিডিও লাইক, শেয়ার, কমেন্ট, ইত্যাদি।
যেহেতু বি কোম্পানির কাছে অনেক ওয়ার্কার আছে সেহেতু বি কোম্পানিকে আমি একটি কাজ দিলাম। কাজটি হল আমার ফেসবুক পেজটির ১০০০০ হাজার ফলোয়ার করে দিতে হবে।
এবার বি কোম্পানি আমার কাজটি তাদের ওয়েবসাইটে ওপেন করে দিল। যেহেতু বি কোম্পানির অনেক ওয়ার্কার আছে সেহেতু কাজটি খুব সহজে হয়ে গেল।
ধরুন আমি বি কোম্পানি কে ২০০ ডলারের কাজ দিয়েছি। এই ২০০ ডলারের মধ্যে বি কোম্পানি ৬০ থেকে ৪০ ডলার রেখে দিয়ে বাকি ডলার, যারা কাজ করেছে তাদের মধ্যে বন্টন করে দিবে।
অনলাইন ভিডিও দেখে আয় করার অ্যাপ
কিছু কিছু ভুয়া অ্যাপ বাংলাদেশে কিছু দিন আগে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারন করে নিয়ে চলে গেছে। এই অ্যাপ গুলোর একাউন্ট ক্রয় করে নিতে হয়।

সত্যি কি! মোবাইলে ভিডিও দেখে আয় করা যায়?
হ্যাঁ অবশ্যই যায়। মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ইত্যাদি ডিভাইস ব্যবহার করে আপনি ভিডিও দেখবেন এবং কিছু অর্থ আয় করবেন।
আপনি মাইক্রো ওয়ার্ক করে আয় করা যায় এমন ওয়েবসাইটের নাম যদি জেনে থাকেন তাহলে বিষয়টি পরিপূর্ণ ভাবে বুঝতে পারবেন। তারপরেও আমি ট্রাই করছি বিষয়টি বোঝানোর জন্য।
অনেক ইউটিউবার আছে যারা তাদের ভিডিও ভিও বাড়ানোর জন্য ৩য় কোন ওয়েবসাইটে কাজ দিয়ে থাকে। এই ওয়েবসাইট গুলোতে লক্ষ লক্ষ ওয়ার্কার থাকে। যারা ভিডিও ভিও করার জন্য কিছু অর্থ পায়।
একটা উদাহরন দেওয়া যাক, ধরুন আপনি ৩য় একটি ওয়েবসাইটকে একটি ভিডিও দিলেন ভিও বাড়ানোর জন্য। এবার আপনি কাজটি সেই ওয়েবসাইটে অর্থ দিয়ে সাবমিট করলেন।
এবার সেই ওয়েবসাইটে সদস্য গন আপনার ভিডিও টি দেখা শুরু করল। এবং প্রতি বার দেখার জন্য কিছু অর্থ পেলো। ধরুন, একটি পাঁচ মিনিটের ভিডিও দেখার জন্য অতিরিক্ত ২ থেকে ৩ টাকা পাবেন। ভিডিও মিনিট মাঝে মাঝে অনেক বেশি হতে পারে।
এখানে কিছু ফাকি বাজি করার কোন উপায় নেই। কারন ভিডিও আপনি দেখছেন কি না এবং জন্য আপনাকে কাজটি সাবমিট করার সময় বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হবে। যদি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে না পারেন তবে আপনাকে পেমেন্ট করা হবে না।
প্রায় ২ থেকে ৩ টাকার একটি কাজ করতে গিয়ে আপনাকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় দিতে হবে গড়ে। এখানে আরও একটি বিষয় জড়িত।
আপনি ভাবতে পারেন সমস্য কি আমি প্রতিদিন গড় যদি ১০০ টাকা আয় করি তাহলে মাসে ৩০০০ হাজার টাকা হবে। আমার পকেট খরচ হয়ে যাবে।
এখানে আরও একটি সমস্য আছে। আপনি একটি কাজ এক বারের উপর করতে পারবেন না। এবং এই ওয়েবসাইট গুলোতে কখনো অনলিমিটেড কাজ থাকে না।
সুতরাং আপনি প্রতি মাসে ৩০০০ থেকে ৪০০০ হাজার টাকা আয় করবেন এর কোন নিশ্চয়তা নেই।
Join This Website For Micro Work
অর্থ উত্তোলন করার সমস্যা
মনে করলাম আপনি সব কিছু মেনে নিয়ে একটি বা দুইটি ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি করলেন এবং অর্থ ইনকাম করলেন। এবার আবার আয় কৃত অর্থের একটি অংশ নিয়ে নিবে আপনি যার মাধ্যমে টাকা টা উত্তোলন করবেন। ধরুন আপনি ৫ ডলার আয় করলেন।
এবার এই পাঁচ ডলার তৃতীয় কোন মাধ্যমে সেন্ড করতে হবে। এই সেন্ড করার সময় একটি সার্চ কেটে রাখবে যে ওয়েবসাইট থেকে আপনি আয় করেছেন।
তারপর আপনার আয় কৃত অর্থ আসবে তৃতীয় কোন অনলাইন ওয়ালেটে যেমন, Skrill, Payoneer, Paypal ইত্যাদি মাধ্যমে। এবার আপনি এই সকল একাউন্ট থেকে ব্যাংক বা বিকাশে টাকা Withdraw দিতে পারবেন।
সবকিছু মিলিয়ে দেখবেন আপনি এতো কষ্ট করে আয় করা অর্থের একটি নিদিষ্ট পরিমান নেই।
আমার মতামত কি?
আমাকে কেউ যদি প্রশ্ন করে আমি ভিডিও দেখে অর্থ ইনকাম করতে চাই। তাহলে আমি তাকে সরাসরি বলে দিব এই ভাবে সময় নষ্ট করার কোন মানেই হয় না। কারন এই ভাবে অনলাইন থেকে আয় করা সম্ভব নয়।
আমি কি করব?
ডিজিটাল মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, কোডিং, গ্রাফিক্সি ডিজাইন ইত্যাদি থেকে যে কোন একটি বিষয় বাছাই করুন। এবং এর উপর ইউটিউবে ভিডিও দেখা শুরু করুন। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ ঘন্টা সময় দিয়ে ৪ থেকে ৫ মাস শিখতে পারেন তাহলে প্রতিদিন গড়ে 5 থেকে 15 ডলার আয় করতে পারবেন।
নোটঃ অনেক ব্যক্তি আছে যারা বলে ভাই আমি কাজ শিখতে চাই কিন্তু আমার কাছে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নেই আমি কিভাবে প্রাকটিস করব। তাদেরকে আমি বলব ভাই আপনি সত্যি কাজ শিখে অনলাইন থেকে আয় করতে চান কি!
ফেসবুক ভিডিও থেকে কিভাবে আয় করবেন
যেহেতু আমি ব্যক্তি গত ভাবে এই ধরনের কাজ করে আয় করতে চাওয়াকে পছন্দ করি না। সেই জন্য কোন ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করলাম না।
ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম পেমেন্ট বিকাশে
আমি বিগত ৫ বছর থেকে প্রতিনিয়ত কন্টেন্ট রাইটিং করছি এবং এখনো আমি শিখছি কি ভাবে ভালো কন্টেন্ট লেখা যায়। আপনি যে কন্টেন্টটি পড়ছেন এই লেখাটি আমি দুই ভাবে লেখা যায় এক ভুল তথ্য দিয়ে আপনাকে বিব্রত করে।
দুই সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাকে সহযোগিতা করা। একজন কন্টেন্ট বা ব্লগার হয়ে আমার উচিত আপনাকে সঠিক গাইডলাইন প্রদান করা।
ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম পেমেন্ট বিকাশে লিখে গুগলে সার্চ দিলে হাজার হাজার কন্টেন্ট পাবেন। কিছু কিছু লেখা আপনাকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করার পথ বলে দিবে কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন বিষয়।
নিচের ছবিটি দেখুন——–

এখানে একটি প্রশ্ন আছে। যদি গুগল সার্চের ওয়েবসাইট গুলোর তথ্য সঠিক না হয় তাহলে গুগল শো করায় কেন। এই প্রশ্নটির উত্তর হল গুগল একটি সিস্টেম। গুগল জানে না কোন তথ্যটি সঠিক কো তথ্যটি ভুল। তাবে গুগল চেষ্ট করে সঠিক তথ্যটি আপনার সামনে প্রদর্শন করার।
আপনি গুগলে সার্চ করবেন, গুগলের কাছে যে সকল তথ্য জমা আছে তার মধ্যে থেকে বেষ্ট উত্তর গুলো আপনার ১ থেকে ১০ রেজান্টের মধ্যে প্রদান করবে।
যা হোক আমাদের তর্ক রেজাল্ট নিয়ে নয়। আমরা কথা বলছিলাম ভিডিও দেখে আয় করা নিয়ে। বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা ভিডিও প্রমোশনের কাজ করে থাকে। এবং এই প্রমোশন গুলো তারা তাদের ওয়েবসাইটের নিবন্ধিত সদস্য দিয়ে করায়।

ভিডিও দেখা, শেয়ার করা, কমেন্ট করা, ইত্যাদি কাজ গুলো করে প্রমান দিলে তারা আপনাকে কিছু পেমেন্ট করবে। কিন্তু এখানে সমস্যা হল আপনি পর্যত কাজ পাবেন না। বেশি আয় করা কোন দিন সম্ভব নয়। অনেক পরিশ্রম করে অল্প অর্থ পাওয়া যায়। অল্প অর্থ বলতে ৪ থেকে ৫ টাকা মাত্র।
সব থেকে বড় বিষয়টি হল এই কাজ গুলো কোন ধরনের ভিত্তি নেই। আজ আছে কালকে নাও থাকতে পারে। সুতরাং আমার সাজেশন হল এমন কাজ শিখুন যা আপনার ক্যারিয়ার তৈরি করবে। আপনি সত্যিকারের একজন ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন।
প্রশ্ন উত্তর পর্ব
-
আমি কি মোবাইলে ভিডিও দেখে আয় করতে পারবো?
অবশ্যই আপনি মোবাইলে ভিডিও দেখে আয় করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে আপনার ফোনটি অ্যাড্রেয়েট সেট হতে হবে। যেহেতু আপনি অনলাইনে ভিডিও দেখবেন সেহেতু অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।
-
মোবাইলে ভিডিও দেখে কত টাকা আয় করা যায়?
এটা খুবেই সামান্য টাকা আয় করা যায়। ধরুন একমাস কাজ করে আপনি ১০০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
বি.দ্রঃ অনেক কোম্পানি মোবাইলে ভিডিও দেখে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০০০ বা তারও বেশি টাকা ইনকামের প্রলোভন দেখিয়ে থাকে। এই সকল কোম্পানি প্রতারন করার জন্য মানুষকে মাঝে লোভ সৃষ্টি করে।
শেষ কথা
আজকের এই লেখাটি আমি কিছু লজিক দিয়ে শেষ করতে চাই। এবং কিছু বিষয়ে সর্তক করতে চাই। আপনি একটি ভিডিও দেখে সর্বোচ্চ কত ইনকাম করবেন। একটি ১০ বা ৫ মিনিটের ইউটিউব ভিডিও দেখে আপনার আয় হবে ২ টাকা থেকে ৩ টাকা।
কাজটি সম্পূর্ন ভাবে শেষ করে জমা দিতে গেলে সময় লাগবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। তারমানে আপনি ১৫ থেকে ২০ মিনিট কাজ করে পাবেন ৫ টাকা। এর সাথে ইন্টারনেট বিলতো আছেই।
যে সকল ওয়েবসাইট ভিডিও দেখে টাকা আয় করার সুযোগ দিয়ে থাকে সেই রকম একটি ওয়েবসাইটে কাজ পাবেন অতিরিক্ত ১০ থেকে ১৫ টা।
১০ টা থেকে ১৫ টি কাজের জন্য আয় হবে ৫০ থেকে ৭৫ টাকা। সময় যাবে আপনার ২.৫ ঘন্টার মত। আপনি চিন্তা করুন ২.৫ ঘন্টা পরিশ্রম করে আপনি ইনকাম করবেন ৫০ থেকে ৭৫ টাকা। ( বি.দ্রঃ আপনি কখনো এই সকল ওয়েবসাইটে অনেক গুলো কাজ পাবেন না। )
আমার প্রশ্ন হচ্ছে আপনি প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় দিয়ে যদি কোন কাজ শিখেন। তাবে সেই কাজ দিয়ে আপনি প্রতি ঘন্টায় ১,০০০ থেকে ২,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু আপনাকে কাজ শিখে দক্ষ হতে হবে।
একটা উদাহরন দেওয়া যাক, রাকিব ভিডিও এডিটিং নিয়ে ২ মাসের একটি কোর্সে জয়েন করল। সম্পর্ন কাজটি শিখতে রাকিবের ৪ মাস সময় লাগলো।
সে ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম গুলোতে সার্ভিস দেওয়া শুরু করল। প্রথম অবস্থায় তেমন একটি সারা না পেলেও আস্তে আস্তে অনেক ক্লাইন্ট পাওয়া শুরু করল। এবং বিগত ৬ মাসের মধ্যে সে প্রতি মাসে ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০ হাজার টাকা মাসে ইনকাম করা শুরু করল।
এখন আপনি বলেন কোনটা করা আপনার উচিত। আপনি কি রাকিব হবেন? না, ভিডিও দেখে অর্থ আয় করার কথা চিন্তা করবেন।
Click the above button to visit next page
You visited 1/10 pages