ছাত্রদের জন্য অনলাইনে থেকে ইনকাম করার উপায় ২০২২
প্রায় ৮৫% ছাত্র/ছাত্রী তাদের ছাত্র জীবনে যে কোন একটি সময় আয় করার চেষ্ট করে থাকে। এবং এই আয় করার চেষ্ট থেকে তারা বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতার সঞ্চয় করে থাকে। অনেক ছাত্র/ছাত্রী তাদের ছাত্র জীবনের পেশাকে ভবিষ্যৎ জীবনের ক্যারিয়ার বাছাই করে।
আপনি এই লেখাটি পড়ছেন তার মানে আপনি একজন ছাত্র। অনলাইনে ছাত্রদের অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় সার্চ করলে প্রায় কয়েকশ কন্টেন্ট পাবেন কিন্তু সকল কন্টেন্ট প্রায় একই ধাচের।
সেই তথা কথিত আলোচনা টিউশন, ফ্রিল্যান্সিং, পার্ট টাইম জব ইত্যাদি। আমি এই ভাবে আয় শুরু করাকে ভুল বলছি না। কারন অনেক ছাত্র/ছাত্রী তাদের পড়ালেখার পাশাপাশি এই ভাবে আয় করে থাকে।
নোটঃ বর্তমান সময়ে যে সকল ফ্রিল্যান্সিং কাজ একজন ছাত্র/ছাত্রী পার্ট-টাইম জব হিসাবে করতে পারে।
কিন্তু আজকে বিষয়টা কে আমি একটু অন্যভাবে আলোচনা করতে চাই যা আপনার ভালো লাগবে। কারন আমি মনে করি ছাত্র জীবনে আয় করা মানে পড়ালেখার পশাপাশি কিছু করা। এমনটা নয় যেন আপনি পেশাদার বা ফুল টাইম জব হিসাবে কিছু করেন এবং আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই ধরনের কাজ কে সাপোর্ট করি না।
Student অবস্থায় আয় করার জন্য আমি কি করতে পারি?
ছাত্র অবস্থায় আয় করার জন্য আপনি কি করতে পারেন এর গাইডলাইন আপনি আমার কাছ থেকে পাবেন না। আপনি যদি সত্যি ছাত্র অবস্থায় কিছু আয় করতে চান তাহলে আমার দেওয়া নিময় গুলো পালন করতে পারেন।
আপনার শখ: বর্তমান এমন একটি যুগের মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি যেখানে সকল ধরনের পেশার মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এমনটা নয় যে একজন গানের শিক্ষক আয় করছেন না। সুতরাং আপনি আপনার শখ বা ভালো লাগার বিষয়টা নিয়ে কাজ করতে পারেন।
ধরুন আপনি ভালো গিটার প্লে করতে পারেন। এবার এই গিটার প্লের উপর একটি ফেসবুক পেজ ওপেন করে প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করতে পারেন। আপনি যদি ভালো গিটার প্লে করে থাকে তাহলে আপনার ভিডিও মানুষ ভালো বাসবে এবং আপনি একটি আয় করার উৎস খুজে পাবেন।
সত্যি কী! মোবাইলে ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম করা যায়।
ক্যারিয়ার রিলেটেড কিছু করে আয় করা
বর্তমানে আপনার কম্পিউটার জানাটা দরকার। কারন আপনি যদি কম্পিউটার না জানেন তাহলে জীবনের অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পরে যাবেন।
এবার মূল কথায় আয় যাক। ধরলাম আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের ছাত্র। তাহলে ভবিষ্যৎ আপনার আয়ের উৎস হবে একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়া। কিন্তু আপনি যদি ছাত্র থাকা অবস্থায় গ্রাফিক্স ডিজাইনা নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন তাহলে এটা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য ভালো হবে।
এক দিকে আপনি যে বিভিন্ন দেশি এবং বিদেশী ক্লাইন্টদের সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন অন্য দিকে আপনার অভিজ্ঞাতার ঝুড়ি ভর্তি হবে। আপনি যত বেশি কাজ করবেন তত বেশি অভিজ্ঞ হবেন।
নোট: বিষয়টা কিন্তু এমন নয় যে আপনার সাবজেক্ট অনুযায়ি আপনাকে আপনার ক্যারিয়ার বাছাই করতে হবে। কারন একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার একটি ব্যাংকের ম্যানেজার হতে পারে এতে কোন সমস্যা নেই।
পার্ট টাইম জব করে আয় করা: একজন ছাত্রের পার্ট টাইম জব করাটাকে ব্যাক্তিগত ভাবে আমি খুবেই সাপোর্ট করি। এখানে দুইটি কারন আছে প্রথম যে ছাত্রটি পার্ট টাইম জব করে যে তার অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকে দুই ছাত্র টি নিজের পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
এবং এই পার্ট টাইম জব ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য ক্যারিয়ার গড়তে সহয়াতা করে থাকে। কারন আপনি আপনার প্রথম সিভিতে লিখতে পারবেন আপনার অভিজ্ঞতা আছে।
গাইডলাইন কিভাবে মোবাইল অ্যাপ তৈরি এবং আয় করা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা: ছাত্র অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং শুরু করাটাকে আমি সাপোর্ট করি না। কারন ফ্রিল্যান্সিং সরাসরি আপনার পড়ালেখার ক্ষতি করে। আপনি একজন বায়ারের থেকে কাজ নিলে সেই কাজটি নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে হবে। কাজটি সঠিক সময় অনুযায়ি বুঝিয়ে দিতে না পারলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরুতেই শেষ হয়ে যাবে।
আপনি নিজে ফ্রিল্যান্সিং শুরু না করে কোন একজন ফ্রিল্যান্সারের অন্ডারে থেকে কাজ করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আপনি পেমেন্ট কম পাবেন কিন্তু আপনার পড়ালেখা ঠিক থাকবে।
স্টুডেন্ট কন্টেন্ট রাইটার হয়ে ইনকাম শুরু করাঃ অনেক ছাত্র আছে যারা পড়তে ভালো বাসে। আমি এমন অনেক ছাত্রকে দেখেছি যারা ঘন্টার পর ঘন্টা পত্রিকা বা বিভিন্ন ধরনের নিউজ দেখতে বা পড়তে ভালোবাসে।
আপনি একজন পড়ুয়া ছাত্র হয়ে থাকলে আপনার অর্জিত জ্ঞান গুলো সবার মাঝে বিতরন করতে পারেন। আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন অথবা নামি দামি কোন পত্রিকার সাথে যোগাযোগ করে কন্ট্রাকে লেখালেখির কাজ করে আয় করতে পারেন।
একজন অভিজ্ঞ কন্টেন্ট রাইটার প্রতি মাসে ভালো অর্থ আয় করে থাকে। এবং আমি মনে করি কন্টেন্ট রাইটিং শুধু একটি পেশা নয় এখানে অসীম শেখার জায়গা আছে।
As a Student How to know this is the Fake Money Making Apps

ছাত্র অবস্থায় ব্যবসা করে আয় করা
আপনি হয়তো ভাবছেন যে আমি এটা কি বলছি। হ্যাঁ, আমি ঠিক বলছি। আপনি একজন ছাত্র হয়ে ব্যবসা করে আয় করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ব্যবসাটি হতে হবে অনলাইন ভিত্তিক। এবং ব্যবসার ধরনটি হতে হবে যৌক্তিক।
আপনার এলাকায় খাঁটি মধু পাওয়া যায়। ফেসবুকে একটি পেজ ওপেন করে খাঁটি মধু বিক্রয় করতে পারেন। আপনার এলাকায় ভালো আখ এর গুড় পাওয়া যায় আপনি পেজের মাধ্যমে গুড় বিক্রয় করতে পারেন।
আপনার বাড়ি দীপ এলাকায় এবং আপনাদের এলাকায় যে সকল হ্যান্ডমেড পন্য সামগ্রী পাওয়া যায় তা অন্য এলাকায় পাওয়া যায় না। সুতরাং আপনি হ্যান্ডমেড পন্য অনলাইনে বিক্রয় করতে পারেন।
অল্প পুঁজি নিয়ে শত ভাবে আপনি এই ব্যবসা করতে পারবেন। এই ব্যবসায় আপনি এক দিনে যেমন সফলতা পাবেন না তেমনি এই ব্যবসা খুব সহজে নষ্ট হবে না। আপনি অনেক দিন যাবত এই ব্যবসা করতে পারবেন এবং একটা নিদিষ্ট সময় পর্যন্ত এই ব্যবসা চালাতে পারবেন।
Startup শুরু করা: ছাত্র বা স্টুডেন্ট অবস্থায় Startup শুরু করতে পারেন। আপনি চাইলে অল্প অর্থ খরচ করে আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ি startup শুরু করতে পারেন।
যেহেতু startup শুরুটা সহজ হলেও সফলতা পেতে অনেক সময় লাগে সুতরাং আপনি ছাত্র অবস্থায় শুরু করলে শেষের দিকে সফলতা পাওয়া শুরু হতে পারে।
আপনি খুব ভালো ডিজিটাল মার্কেটিং জানেন অথাব আপনি ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইল ভালো ভাবে মেইনটেইন করতে পারেন। সুতরাং এই সকল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট ওপেন করতে পারেন।
প্রথম অবস্থায় কাস্টমার না পেলেও আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন। যেমন কিভাবে কাস্টমার নিয়ে আসতে হয়, কোথায় প্রমোশন করতে হবে, কিভাবে অর্থ লেনদেন করতে হবে, বিজনেজ প্রেজেন্টেশন কিভাবে দিতে হয় ইত্যাদি বিষয় গুলো আপনি শিখতে থাকবেন যা আপনার ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য সহযোগিতা করবে।
একজন ছাত্র আয় করার জন্য কোন ধরনের কাজ গুলো শিখতে পারে।
আমি এখানে এমন কিছু কাজের কথা উল্লেখ্য করব যা আপনাকে ছাত্র অবস্থায় আয় করতে সহযোগিতা করবে। এবং আপনার ক্যারিয়ার গঠনে সহযোগিতা করবে।
তারপরেও এটা সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করবে আপনার উপর। আপনি যে সকল কাজে পারদর্শ সেই সকল কাজ বেছে নেওয়াটা ভালো হবে।
ফেসবুক ভিডিও থেকে কিভাবে আয় করবেন
আমি কিছু কাজের না উল্লেখ্য করছি আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনারঃ বর্তমানে ছোট বড় যে কোন ধরনের ওয়েবসাইট, অ্যাপ, সফটওয়্যার ডেভলোপমেন্ট, স্কুল, কলেজ, থেকে শুরু করে যে কোন ধরনের প্রতিষ্টানের কমন একটি টিমের দরকার হয় সেটি হল গ্রাফিক্স ডিজাইনার। অব্যশ গ্রাফিক্স ডিজাইনারে বিভিন্ন ধরনের ক্যাটাগরি আছে আপনি আপনার ধরন অনুযায়ি কাজ শিখতে পারেন।
মোশন গ্রাফিক্সঃ আমার পছন্দের একটি কাজ। আপনার চোখে কিছু বিজ্ঞাপন নজর কাড়বে যা শুধু মোশন গ্রাফিক্স দিয়ে করা।
বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ, ওয়েবসাইট, সার্ভিস ইত্যাদি বিষয় গুলো বিশেষ ভাবে উপস্থাপন করার জন্য মোশন গ্রাফিক্স একটি ভালো মাধ্যম এবং দিন দিন এই কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি যদি একজন মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে আপনার ক্যারিয়ার একটি ভালো লাইনে থাকবে।
ডাটা সাইন্সঃ কিছু দিন আগে বিবিসি নিউজে একটি প্রতিবেদন দেখলাম সেখানে বলা হচ্ছে যে আজ থেকে 50 থেকে 60 বছর পর একটি দেশ অন্য একটি দেশের সাথে কতটা শক্তি শালী সেটা নির্ভর করবে সেই দেশে কত টা তথ্য দ্বারা পরিপূর্ণ। তার মানে একটি দেশে যত বেশি তথ্য থাকবে সেই দেশ তত বেশি শক্তিশালী। ডাটা সাইন্স বর্তমান এবং সুদূর ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য একটি আদর্শ কোর্স।
এআইঃ সে সকল রোবর্ট কথা বলতে পারে আমাদের অঙ্গ-ভঙ্গি বুঝতে পারে এর সম্পূর্ণ বিষয়টা জুড়ে রয়েছে AI ( আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ) । সুতরাং এআই প্রযুক্তি কি ভাবে কাজ করে এই বিষয় গুলো নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কোর্স করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিংঃ অনেক মানুষ বলে যে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার কিছু নেই বাট আমি বলি শেখার আছে। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার আগে আপনার ভাগ করে নিতে হবে আপনি কোন ধরনের মার্কেটিং শিখবেন। যেমন সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং কন্টেন্ট মার্কেটিং এক বিষয় নয়।
নোটঃ আপনার ভালো ইংরেজী জানা থাকলে Udemy থেকে কোর্স ক্রয় করতে পারেন।
আপনি দুইটি বিষয় কখনো একই সাথে কভার করতে পারবেন না। সুতরাং যে কোন একটি বিষয় ফোকাস করে সব কিছু ক্লিয়ার করতে হবে।
এই ক্ষেত্রে আমার একটি সাজেশন আছে। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে প্রথমে ইউটিউব, ফেসবুক, গুগল সার্চ ইত্যাদি উৎস গুলো থেকে বেসিক ক্লিয়ার করুন। বেসিক ক্লিয়ার হয়ে গেলে আপনি কোর্স ক্রয় করে পড়ালেখার পশাপাশি শেখা শুরু করতে পারেন।
ভিডিও এডিটিংঃ আমার কাছে একজন ছাত্র/ছাত্রীর তার প্রয়োজনে বা কাজের জন্য হলেও ভিডিও এডিটিং শেখা উচিত। ভিডিও এডিটিং এমন একটি পেশা যা শেখা থাকলে বর্তমান সময়ে আপনার কাজের কোন অভাব হবে না।
যা হোক অনেক ধরনের কোর্স আছে আপনি আপনার পছন্দ মত কিছু একটি বাছাই করে নিয়ে শেখা শুরু করা উচিত। এবং আমি আরও বলব আপনি সময় নিয়ে ছাত্র জীবনে দুই থেকে তিনটি কোর্স করে নিতে পারেন যা আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য সহযোগিতা করবে।

আমি স্কুল/কলেজ/ ইউনির্ভারসিটি ছাত্র / ছাত্রী আমি কি অনলাইন থেকে আয় করতে পারব?
আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি একজন স্কুল গামী ছাত্র বা ছাত্রীর কোন ধরনের অনলাইন আয়ের সাথে জড়িত হওয়া উচিত নয়। আপনি যদি একজন স্কুল গামী ছাত্র বা ছাত্রী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার উচিত পড়ালেখায় মনোযোগ দেওয়া।
হ্যাঁ আপনি এই পর্যায়ে প্রচুর বই পড়তে পারেন যা আপনাকে পরর্বতী জীবন চলার পথে সহযোগিতা করবে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই পর্যায়ে অর্থ আয়ের উপর জোর দিতে বলব না। আপনার কোন উপায় না থাকলে দুই, একটি টিউশন করাতে পারেন।
আমাদের বাংলাদেশে কলেজ জীবনটা শুধু মাত্র ২ বছরের এবং এই সময়টা খুবেই গুরুত্বপূর্ণ একজন ছাত্র বা ছা্ত্রীর জন্য। সুতরাং এই দুই বছর ভালো ভাবে নিজেকে তৈরি করা উচিত।
তবে তুমি যদি সময় পাও তাহলে বিভিন্ন ধরনের কোর্স করা যেতে পারে। যেমন প্রোগ্রামিং, এডিটিং, সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি।
ইউনির্ভারসিটি লেভেলটা হল অভিজ্ঞতা এবং উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের সময়। এই সময়ের উপর নির্ভর করবে তুমি উচ্চ শিক্ষার পর কোন লেভেলে থাকবে। এই পর্যায়ে শুধু পড়ালেখা করে বেশি দূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। হ্যাঁ তোমার লক্ষ যদি সরকারি জব হয় সে ক্ষেত্রে অন্য বিষয়।
লক্ষ লক্ষ উচ্চ শিক্ষিত ছাত্র/ ছাত্রীদের থেকে তুমি কিভাবে নিজেকে অতিরিক্ত স্মার্ট তৈরি করবে সেটা সম্পূর্ণ ভাবে আপনার উপর নির্ভর করবে।
শধু অর্থ উপার্জনের জন্য পার্ট টাইম কাজের সাথে যুক্ত হবে তা কিন্তু নয় এর সাথে সাথে তোমার অভিজ্ঞতা সঞ্জয় হবে। তুমি যত বেশি প্রোগ্রাম বা প্রজেক্টে কাজ করবে তত বেশি নিজেকে অভিজ্ঞ তৈরি করতে পারবে।
উচ্চ শিক্ষা স্তরটি সব থেকে ব্যালেন্স করার মত জীবন। এই ক্ষেত্রে এসে ব্যালেন্স হারিয়ে ফেললে পড়া লেখা শেষ করে শুধু হা হা কার নজরে আসবে।
সুতরাং সব কিছু ঠিক রেখে ইউনির্ভারসিটি ছাত্র থাকা অবস্থায় অর্থ আয় করা সহ অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।
অনলাইন থেকে আয় করার মাইক্রো জব ওয়েবসাইট লিষ্ট
ছাত্রদের জন্য কোনটি বেশি ভালো ফ্রিল্যান্সিং VS পার্ট টাইম জব
আমাকে যদি ব্যক্তিগত ভাবে প্রশ্ন করা হয় একজন ছাত্রের জন্য কোনটি বেশি ভালো তবে আমি বলব পার্ট-টাইম জব। কারন হল
- প্রতিদিন নিদিষ্ট টাইমে অফিস করতে হবে। ফলে আমি সেই সময় টা ব্যতিত অন্য সময় গুলো আমার পড়াশোনা করতে পারবো।
- যেহেতু পার্ট-টাইম জব সেহেতু অতিরিক্ত কাজের চাপ থাকবে না।
- মাস শেষে আমি নিদিষ্ট একটি বেতন পাবো। যা দিয়ে আমি আমার পড়ালেখার খরচ চালাতে পারবো।
- নিশ্চিত ইনকামের ব্যবস্থা।
- এবং পড়ালেখার পাশাপাশি আমার সিভিতে একটি অভিজ্ঞতা যুক্ত হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা
- ছাত্র অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলে একটা সময় পর আমি ভালো একটি জায়গায় গিয়ে পৌচ্ছাবো।
- পড়ালেখা শেষ করে চাকরি করার জন্য ঘুরে বেড়াতে হবে না।
- আমি চাইলে পড়ালেখা অবস্থায় আমার পরিবারকে সহযোগিতা করতে পারবো।
- পরর্বতীতে নিজের একটি ছোট এজেন্সি দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবো।
- এক টানা ৫ থেকে ৬ বছর ফ্রিল্যান্সিং পেশার সাথে লেগে থাকার কারনে প্রতি মাসে কয়েক হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবো।
প্রশ্ন উত্তর পর্ব
একজন ছাত্র ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করতে পারে?
এটা সম্পূন ভাবে নির্ভর করবে আপনার উপর। আপনি যত বেশি সময় দিবেন তত বেশি আয় করতে পারবেন।
সমস্যা হল ছাত্র থাকা অবস্থায় বেশি সময় দেওয়া সম্ভব নয়। ছাত্রদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করার কিছু সমস্যা আছে।
যেমন আপনাকে কখনো বায়ার নক করবে আপনি জানেন না, আবার নিদিষ্ট সময়ে কাজ জমা দিতে হবে, এমনো হতে পারে পরীক্ষার সময় কাজ করতে হতে পারে।
মূল কথা ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য একই সাথে ভালো কিছু সৃষ্টি করতে পারে। অন্য দিকে ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে আপনার পড়ালেখার ক্ষতি হতে পারে।
Click the above button to visit next page
You visited 1/10 pages