সত্যি কী! ঘরে বসে মোবাইলে আয় করা যায়

এই লেখাটি সত্যি আপনাকে সহযোগিতা করবে কিভাবে ঘরে বসে মোবাইলে আয় করা যায় এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে। আপনি গুগলে সার্চ করলে কয়েক হাজার আরর্টিকেল পাবেন যারা আপনাকে ঘরে বসে আয় করার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া দিবে। কিন্তু কিভাবে এবং কোথায় মোবাইলের মাধ্যমে আয় করা যায় এই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলে না।

ঘরে বসে মোবাইলে আয় বলতে কি বুঝায়? যে সকল কাজ মোবাইলে মাধ্যমে করা যায় সেই সকল কাজকেই আমরা মোবাইল দিয়ে আয়ের কাজ বলি। অনেক অনলাইন কাজ আছে যে ‍গুলো মোবাইল দিয়ে করা যায় যেমন লাইক, শেয়ার, কমেন্ট করা, সাইন-আপ, অ্যাপ রিভিউ, পন্য রিভিউ, ওয়েবসাইট রিভিউ, ভিডিও মার্কেটিং, রেফার ইউজার, ইত্যাদি। এই ছোট ছোট মাইক্রো ওয়ার্ক গুলো করে প্রতি মাসে ৪০০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

উপরে উল্লেখ্য করা কাজ গুলো করে শুরুতেই কিছু অর্থ ইনকাম করা সম্ভব। আবার মোবাইল দিয়ে করা যায় আরেক ধরনের কাজ আছে যে গুলো সময় নিয়ে করতে হয়। তারপরে আপনি নিদিস্ট শর্ত পূরন করতে পারলে ইনকাম করতে পারবেন।

যে সকল কাজ ঘরে বসে করা যায় কিন্ত সময় লাগে এই ধরনের কাজ গুলো দিয়ে পোষ্টের শেষে আলোচনা করা হয়েছে।

মোবাইলে ভিডিও দেখে আয় করার উপায়

ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার কাজের লিষ্ট

ঘরে বসে মোবাইলে করা যায় এমন কাজ গুলো কি কি?

লাইক, শেয়ার এবং সাবসক্রাইব করে আয়ঃ অনেক ব্যক্তি নিজের ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক ভিডিও প্রোমোশন করার জন্য একই সাথে অনেক ওয়ার্কার হায়ার করে তৃতীয় কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। এই ওয়ার্কারের কাজ হল ভিডিও দেখা, কমেন্ট করা, শেয়ার করা ইত্যাদি। এর জন্য প্রতিটি কাজের জন্য আপনি বাংলাদেশি টাকায় পাবেন ২.৫০ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। প্রতিটি কাজ করার জন্য ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগতে পারে।

অ্যাপ ডাউনলোড এবং রিভিউ কাজঃ অনেক নতুন কোম্পানি তাদের অ্যাপ প্লে-স্টোরে পাবলিশ করার পর তেমন একটা সাড়া পায় না। যেহেতু নতুন অ্যাপ সেহেতু এই ব্যাপারটি হয়ে থাকে। আপনার কাজ হল সেই অ্যাপটি ডাউনলোড করা এবং অ্যাপ সম্পর্কে রিভিউ দেওয়া। এই ধরনের একটি কাজের জন্য বাংলাদেশি টাকায় ৮ থেকে ১০ টাকা পাওয়া যায়।

ইউজার টেষ্টারঃ ইউজার টেষ্টার কাজটি হল একটি বিসনেজ ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করে আপনার মতামত জানানো। এই ধরনের মতামত কোম্পানি গুলো অর্থ দিয়ে করিয়ে থাকে। আপনার কাজটি হবে ওয়েবসাইটি ব্যবহার করতে গিয়ে কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে কি না, কোন একটি অপশন থাকলে আরও ভালো হত, ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে স্কিন ভিডিও তৈরি করা। এই ধরনের একটি কাজের জন্য আপনি বাংলাদেশী টাকায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পাবেন। কিন্তু এই ধরনের কাজ ওয়েবসাইট গুলো সচরঅচর পাওয়া যায় না।

সাইন-আপঃ আপনাকে একটি ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া হবে। আপনি সেই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করবেন। এবং এর জন্য বায়ার আপনাকে অর্থ প্রদান করবে। প্রতিটি সাইন-আপ কাজের জন্য ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।

টুইটার রিলেটেড ওয়ার্কঃ ধরুন আমি একটি পোষ্ট করলাম আমার কোম্পানি সম্পর্কে। এবার আপনি আমার টুইটার প্রোফাইলে গিয়ে সেই টুইটটি রি-টুইট করলেন এবং একটি লাভ রিয়েক্ট দিলেন। এই ছোট একটি কাজের জন্য আপনাকে অর্থ দেওয়া হবে। এই ধরনের কাজ গুলো হওয়ার কারন হল নিজের টুইটটিকে পপুলার করা।

ফেসবুক রিলেটেড ওয়ার্কঃ ফেসবুকে কোন পোষ্ট বা ভিডিও কে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করলে আপনি অর্থ পাবেন। এই ধরনের একটি কাজের জন্য ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত পেমেন্ট করা হয়ে থাকে।

প্রোডাক্ট রিভিউঃ আপনাকে একটি প্রোডাক্ট পাঠানো হবে। এই ধরনের প্রোডাক্ট গুলো সাধারনত ডিজিটাল হয়। যেমন আপনাকে কোন ডিজিটাল সার্ভিস ফ্রিতে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে। আপনি সার্ভিসটি ২ দিন বা ৩ দিন ব্যবহার করার পর একটি রিভিউ দিবেন। রিভিউ বলতে আপনাকে বলতে হবে সার্ভিসটি কেমন ছিল, সার্ভিসটি নেওয়ার ফলে আপনি কি কি উপকৃত হয়েছেন ইত্যাদি।

ভিডিও মার্কেটিংঃ আপনাকে একটি ভিডিও লিংক দেওয়া হবে। আপনার কাজ হবে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে ভিডিও লিংকটি শেয়ার করা। সোস্যাল মিডিয়া বলতে আপনার ফেসুবক, টুইটার, ইন্সাটাগ্রাম, ব্লগ, ইত্যাদি মাধ্যমে ভিডিও টি শেয়ার করতে হবে।

রেফারেল ইউজারঃ আপনি আপনাকে একটি ওয়েবসাইটে গিয়ে সাইন-আপ করতে বললাম। এবং সাইন-আপ করার সময় আপনার কাছে যে রেফার আইডি চাইবে সেটা আমি দিবো। আপনি আমার রেফার দিয়ে ওই ওয়েবসাইটে প্রোফাইল তৈরি করবেন। এই যে আপনি আমার রেফার নাম্বার দিয়ে একাউন্ট ক্রিয়েট করলেন এর জন্য আপনাকে অর্থ প্রদান করা হবে।

ডাউনলোড ই-বুকঃ ই-বুক ডাউনলোড কাজ খুবেই সহজ। আপনাকে একটি ডাউনলোড লিংক দেওয়া হবে। আপনি সেই লিংকে ক্লিক করে বইটি ডাউনলোড করবেন। ডাউনলোড করা বইয়ের কভার, এবং টাইটেল বায়ারকে পাঠিয়ে দিলে উনি আপনাকে পেমেন্ট করবে। এই ধরনের একটি কাজের জন্য ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।

সার্ভেঃ আপনি কি পছন্দ করেন? আজ থেকে ২ মাস পরে কি ক্রয় করবেন? আপনার ভিশন কি? আপনার সন্তানের বয়স কত? আপনি কোন পন্যটি মাসে ১ বার হলেও ক্রয় করেন? লাইফ-বয় সাবানটি আপন কি দিন ব্যবহার করেন? ইত্যাদি প্রশ্ন গুলো কোন একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাকে করা হবে।

সাধারনত ৮ থেকে ১০ টিক চিহ্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া জন্য ৩ থেকে ৫ টাকা পেমেন্ট করা হয়। তাবে বাইরে দেশে এর আয়ের অংকটা অনেক বেশি। এই ধরনের প্রশ্ন এবং উত্তর কাজ গুলোকে সার্ভে বলে। যদি সার্ভে অনেক ধরনের আছে।

ওয়েবসাইট ভিজিটঃ আপনাকে একটি নিদিষ্ট ওয়েবসাইট ভিজিট করতে বলা হবে। এবং কাজের প্রমান সরূপ আপনি ওয়েবসাইটের লিংক বায়ারকে সাবমিট করবেন।

অর্থ ইনকাম করার মোবাইল অ্যাপ

যে সকল ওয়েবসাইটে মোবাইল দিয়ে কাজ করে আয় করা যায়

প্রায় কয়েক হাজার ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ আছে যেখান থেকে আপনি মোবাইল দিয়ে আয় করতে পারবেন। আজকে শুধু সেই সকল ওয়েবসাইট বা অ্যাপের কথাই এখানে উল্লেখ্য করা হবে যে গুলো সম্পূর্ন ভাবে রিয়েল।

১. পিকওয়ার্কার ( Picoworkers )

Picoworkers Website
source: picoworkers

ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকা, ভিয়েতনাম, সহ প্রায় সকল দেশের ওয়ার্কার এই ওয়েবসাইটটির সাথে জড়িত। খুব সহজ এবং ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে এই ওয়েবসাইট থেকে আয় করা যায়।

একজন বাংলাদেশী এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাজ করে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ডলার পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। আপনি যদি রেফার করতে পারেন তাহলে আয় আরো বৃদ্ধি পাবে।

এই ওয়েবসাটে যে সকল কাজ পাওয়া যায় তার সব গুলো প্রায় উপরে আলোচনা করা হয়েছে। আপনার কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই আপনি এই ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে পারবেন।

পেমেন্টঃ সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট ৫ ডলার। পেমেন্ট বিকাশের মাধ্যমে পাওয়া যায়। বিকাশের মাধ্যমে বলতে প্রথমে আপনাকে একটি Airtm একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে।

তারপর আপনাকে আপনার আয় কৃত অর্থ উত্তোলন করতে হবে Airtm। Airtm যখন ডলার আউট দিবেন তখন যে আপনার কাছ থেকে ডলার ক্রয় করবে সে আপনাকে বিকাশে টাকা পাঠিয়ে দিবে। পেমেন্ট নিয়ে কোন ধরনের সমস্যা হয় না।

একটা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, অ্যাড্রেয়েড থেকে একটি একাউন্ট করা যায়। আপনি একটির উপর দুইটি একাউন্ট ক্রিয়েট করলে পূর্বের একাউন্টটি ব্যান হয়ে যাবে।

Join Now: Picoworkers

২. পেইডভিউপয়েন্ট ( Paidviewpoint )

paid Viewpoint
source: paidviewpoint.com

পেইডভিউপয়েন্ট একটি সার্ভে ওয়েবসাইট। যে কোন দেশের নাগরিক পেইডভিউপয়েন্টে জয়েন করতে পারবে। শুধু একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকলেই আপনি এই ওয়েবসাইটে জয়েন করতে পারবেন।

প্রতিটি সার্ভে করার জন্য ০.০৩ ডলার পাওয়া যায়। কিন্তু আপনার TraitScore পয়েন্ট 9000 হলে একজন ভিআইপি মেম্বার হিসাবে বিবেচিত হবেন এবং প্রতিটি সার্ভে কাজের জন্য বেশি পেমেন্ট পাবেন।

( TraitScore হল প্রতিটি সার্ভেস শেষ করার পর এক ধরনের পয়েন্ট।)

এই ওয়েবসাইটে রেফার করে ভালো অর্থ ইনকাম করা সম্ভব। প্রতিটি রেফারের জন্য ২৫ ডলার আয় করা সম্ভব। তারমানে আপনি যত বেশি রেফার করবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

পেমেন্টঃ Paypal ব্যতিত অন্য কোম মাধ্যমে আপনি আপনার আয় কৃত অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন না। বাংলাদেশে পেপাল সাপোর্ট করলে Paidviewpoint জনপ্রিয়তা বাড়বে। পেইডভিউপয়েন্টের সর্বনিম্ন ক্যাশ-আউট ডলার ১৫ ।

কাজঃ পেইডভিউপয়েন্ট সার্ভে কাজ। যেমন আপনাকে বেসিক কিছু প্রশ্ন করা হবে তার উত্তর দিতে হবে। প্রশ্ন উত্তর হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে।

Join Now: Paidviewpoin

৩. স্ক্রিবি ( Scribie )

Scribie
Source: Scribie

ইংরেজী ভাষায় আপনার দক্ষতা থাকলে স্ক্রিবি আপনার জন্য। আপনাকে অডিও, ভিডিও ফাইল দেওয়া হবে। আপনার কাজ হবে সেই ফাইল শুনে শুনে কাম্পিউটারে লেখা।

যদিও বিষয়টি আগের থেকে অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। এখানে কাজ করার বর্তমান সিস্টেম হচ্ছে প্রথমে আপনাকে আবেদন করতে হবে। এবং আপনাকে একটি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে হবে।

পরীক্ষা বলতে কোন অডিও অথবা ভিডিও ফাইল শুনে শুনে লিখতে হবে। যদি আপনি সব কিছু ঠিক ভাবে করতে পারেন তাহলে আপনি এই ওয়েবসাইটে কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করবেন।

কাজটি সহজ বলতে। এখানে অডিও এবং ভিডিও ফাইলটি অটোমেটিক ট্রান্সক্রিপ হয়ে যাবে। পরর্বতীতে অডিও এবং ভিডিও ফাইলটি আবার শুনতে হবে। দেন যেখানে যেখানে বানান বা ভাষার সমস্যা আছে সেটা ঠিক করতে হবে।

কারন সফটওয়্যার কোন ভাবেই ১০০% ভাবে অডিও এবং ভিডিও ফাইলটি ট্রান্সক্রিপ করতে পারবে না। সেই জন্য ওয়ার্কারের প্রয়োজন হবে।

কিভাবে শুরু করব?

  • প্রথমে সাধারন কিছু তথ্য দিয়ে সাইন-আপ করুন।
  • আপনার পেপাল একাউন্ট সেটাপ করুন।
  • ট্রান্সক্রিপশন পরীক্ষা দিন।

Join Now: Scribie

৪. অ্যাপেন ( Appen )

দিন দিন ইনফরমেশন ডাটার ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে এটা আমরা সবাই জানি। ডাটার চাহিদা বৃদ্ধির পিছনের মূল কারন হল এ.আই ( Artificial intelligence )। এ.আই প্রযুক্তির কাজ করতে গেলে ডাটা লাগবেই।

অ্যাপেন ডাটা কালেকশনের কাজ করে থাকে। অ্যাপেন ডাটা এনোটেশন, ইমেজ ডাটা, ভিডিও ডাটা, অডিও ডাটা, টেক্স ডাটা, পিওআই ডাটা, কালেকশন সহ অন্য প্রায় সকল ডাটা কালেকশনের কাজ করে থাকে।

আপনি ‍তিন ভাবে কাজ করার জন্য অ্যাপেনে আবেদন করতে পারবেন।

  • প্রেজেক্ট
  • মাইক্রো-জব
  • সার্ভে এবং ডাটা কালেকশন
Appen Work
Source:Appen

আবেদন করার পর আপনাকে অপেক্ষ করতে হবে। আপনার আবেদনের ধরন অনুযায়ি আপনাকে নক করা হবে। আপনি অ্যাপেনের প্রতিটি কাজ মোবাইলে সাহায্যে করতে পারবেন।

পেমেন্টঃ অ্যাপেন ব্যাংক, পেওনিয়ার, পেপাল, স্ক্রিল এই মাধ্যমে পেমেন্ট করে থাকে। অ্যাপেন ইনকাম নির্ভর করে আপনার লোকেশনের উপর। তারপরেও প্রতি ঘন্টা ২.৫ ডলার থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।

Appen Payment
Source: digitalbazaariofficial.medium.com

Join Now: Appen

৫. টেষ্ট আই.ও ( Test IO )

Test IO
Source: Test IO

একটি সার্ভিস ওয়েবসাইট একবারে পারফেক্ট তৈরি হয় না। অনেক সমস্যা থেকে যায় যা পরর্বতীতে ডেভলোপার দ্বারা ঠিক করা হয়।

আমার কাছে আমার বিজনেস ওয়েবসাইটের কোন সমস্যা নেই। কিন্তু একজন কাস্টমার বা ভিজিটর সঠিক ভাবে তার প্রয়োজনীয় বিষয় বস্তু ওয়েবসাইটে খুঁজে পাচ্ছে না। অথবা খুঁজে পেলেও কিভাবে ব্যবহার করবে বুঝতে পারছে না।

এই রকম অনেক ধরনের সমস্যা থাকে নতুন একটি ওয়েবসাইটে। তাহলে এই সমস্যা সমাধান কোথায়। সমাধান হল তৃতীয় কোন মাধ্যমকে হায়ার করে অনেক গুলো ভিজিটর দ্বারা ওয়েবসাইট ভিজিট করিয়ে রিপোর্ট নেওয়া।

এই ধরনের কাজ গুলোকে ইউজার টেষ্টার ওয়ার্ক বলে। Test IO ওয়েবসাইটে আপনি একজন টেষ্টার হিসাবে জয়েন করতে পারবেন।

টেষ্টারের কাজ কি? আপনি প্রথমে সাইন-আপ করবেন। তারপর সেই ওয়েবসাইটের সাথে আপনার ডিভাইসটি সেট আপ করতে হবে।

আপনার অব্যশই একটি মাইক্রোফোন থাকতে হবে। আপনি যখন কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন তখন যেন ক্লিয়ার ভয়েস সহ ক্রিন রেকর্ড করে কাজটি সম্পূর্ন করতে পারেন। বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য ইউটিউব ভিডিও দেখতে পারেন।

পেমেন্টঃ ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটের টেষ্টিং কাজের মূল্য ভিন্ন ভিন্ন। কোন কোম্পানি ৫ মিনিটের একটি ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য ৫ থেকে ১০ ডলার প্রদান করে। আবার কিছু কোম্পানি এর থেকেও কম দিয়ে থাকে। পেমেন্ট আপনি পাইওয়ানার, পেপাল, স্ক্রিল, ইত্যাদি মাধ্যমে নিতে পারবেন।

Join Test IO

আরও কিছু ওয়েবসাইটে টেষ্টার ওয়ার্ক পাওয়া যায়

ঘরে বসে মোবাইলে ক্রিয়েটিভ কাজ করে আয়

অনলাইনে কিছু কিছু কাজ আছে যা আজ শুরু করলে আজ থেকে আয় করতে পারবেন না। এই সকল উপায়ে আয় করার জন্য আপনাকে অনেক কিছু জানতে হবে এবং অপেক্ষা করতে হবে।

আপনি সঠিক ভাবে সব কিছু করতে পারলে একটা সময় যাওয়া পর ভালো ইনকাম করতে পারবেন। আবার সব কিছু সঠিক ভাবে করতে না পারলে ইনকাম করতে পারবেন না। এই ক্ষেত্রে সময় এবং অর্থ দুটাই যাবে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন উপায়ে মোবাইলে আয় করা যায় সময় দিয়ে।

ব্লগিংঃ বর্তমান সময়ে মানুষ এই পেশার দিকে আসতেছে। তাবে অনেকেই ভালো ভাবে বিষয় গুলো না জানার ফলে ব্যার্থ হচ্ছে। ব্লগিং কিন্তু আজ শুরু করে কালকে থেকে ইনকাম করা যায় না। এর জন্য আপনাকে ধৈর্য্য ধরে কাজ করতে হবে।

যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে একটা পর্যায়ে আপনি আয় করতে পারবেন। ব্লগিং করার জন্য কি কি লাগবে। ব্লগিং ফ্রি এবং পেইড দুই ভাবেই করতে পারবেন।

যেহেতু আপনি আয় করার চিন্তা করছেন সেহেতু পেইড ব্লগিং করাই ভালো হবে। পেইড ব্লগিং ব্ললতে ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করে ব্লগিং শুরু করা। ফ্রি বলতে ওয়ার্ড প্রেস, ব্লগার ডট কম, ওয়েবলি ইত্যাদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্লগিং করাকে বুঝায়।

ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করা পর ওয়ার্ড প্রেস ইন্সটল করা। তারপরেও যে কোন একটি ফ্রি থিম দিয়ে ব্লগটিকে কাস্টমাইজ করতে হবে। ( আপনি ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করে দিলে আমরা ফ্রি ওয়ার্ড প্রেস ইন্সটল এবং থিম কাস্টমাইজ করে দেই। যোগাযোগের জন্য ইমেইল করুন কন্ট্রাক পেজ থেকে )

ব্লগিং করার জন্য যে বিষয় গুলো জানার দরকার।

  • ব্লগের এসইও কিভাবে করতে হয়?
  • ব্লগ পোষ্ট পোষ্ট কিভাবে করতে হয়?
  • সাইট ম্যাপ তৈরি এবং সাবমিট
  • গুগল সার্চ কাউন্সিল
  • গুগল এনালাইটিক

উপরে উল্লেখ্য করা বিষয় গুলো যেনে আপনাকে ব্লগিং শুরু করতে হবে বিষয়টা এমন নয়। আপনি শুরু করুন একটা সময় যাওয়া পর আপনি সব কিছু শিখে যাবেন।

আপনি আপনার ব্লগের পোষ্ট একটি অ্যাড্রেয়েড মোবাইল ফোন দিয়ে করতে পারবেন। এবং ইনকাম থেকে এ টু জেড সকল কাজ মোবাইলে করা সম্ভব।

ইউটুবারঃ ভালো মানের একটি অ্যান্ড্রেয়েড মোবাইল ফোন থাকলে আপনি ইউটুবিং শুরু করতে পারবেন। ইউটিউব ভিডিও করা, এডিট করা, আপলোড করা, থাম্বেল তৈরি থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব।

তবে ইউটিউব শুরু করার পূর্বে আমার মনে হয় ভিডিও শুট করার টেকনিক গুলো শিখে নেওয়া দরকার। সেই সাথে কিভাবে ভিডিও এডিটিং করা হয় এই বিষয় গুলো শেখা দরকার।

মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপ

  1. Magisto
  2. Hyperlapse
  3. KineMaster
  4. VivaVideo

আরও কিছু বিষয় জেনে নিলে ভালো হয় যেমন ভিডিও টাইটেল, ট্যাগ, ডিসক্রিপশন, চ্যানেল কাস্টোমাইজেশন। এবং ইউটুবিং বিষয়ে যাবতীয় তথ্য আপনি YouTube Video দেখে শিখে যাবেন। কিভাবে মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো লিখে সার্চ দিলে হাজার হাজার ভিডিও পাবেন।

How to Create Youtube channel
Source: Youtube

সোস্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারঃ আপনার দৈনিকদিন জীবনের কার্যকালাপ গুলো সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম শেয়ার করতে পারেন। স্টাটার্স, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি আপনি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে শেয়ার করুন। অন্য মাধ্যম গুলোতে সরাসরি শেয়ার করতে পারেন।

আপনি সোস্যাল মিডিয়াতে অনেক ফ্যান ফলোয়ার থাকলে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির পন্য ব্রান্ডিং করে আয় করতে পারবেন। তাছার নিজেও ব্যবসা করতে পারবেন। এবং দিন দিন এই ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঘরে বসে মোবাইলে ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা

ফেসবুকঃ বর্তমানে ফেসবুকে অনেক মেয়ে লাইভে এসে বিভিন্ন ধরনের পন্য বিক্রয় করে। আপনিও আপনার মোবাইল ফোনটাকে কাজে লাগিয়ে ফেসবুকে ব্যবসা করতে পারেন। তাবে ফেসবুকে ব্যবসা করার জন্য ইউনিক পন্য একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়।

ধরুন আপনি ঢাকা শহরে যদি ফেসবুকের মাধ্যমে খাবার ডেলিভারির ব্যবসা শুরু করেন এটা ইউনিক আইডিয়া নয়।

কিন্তু আপনি যদি ঢাকা শহরে খড়ি দিয়ে রান্না করা দেশী খারারের ব্যবসা ফেসবুকে শুরু করে সেটা কিন্তু ইউনিক। কারন ঢাকা শহরের মানুষ সব সময় গ্যাস বা ম্যাজিক চুলার রান্না খায়।

খড়ি দিয়ে রান্না করা খাবারের সাদ গ্যাস বা ম্যাজিক চুলায় রান্না করা খাবারের থেকে ভিন্ন। আপনি একই কাজ করুন কিন্তু ইউনিক আইডিয়া নিয়ে।

আমার কথাটা হল ফেসবুকে আপনি গুড় বিক্রি করুন কিন্তু আরজিনাল গুড়টা বিক্রি করুন। আপনার বাড়ি পাশের দোকানের কাস্টমার লিমিটেড কিনউত আপনার কাস্টমার অনলিমিটেড। ফেসুবকে ভালো ব্যবসা করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

একটা উদাহরন দেওয়া যাক, তাহমিনা’স সাজঘর ফেসবুকে একটি পেজ। এই পেজের মাধ্যমে মাটির তৈরি থালা, বাসন, বাটি, কাপ, ইত্যাদি পন্য গুলো বিক্রয় করা হয়।

কিন্তু উনার পন্য বিক্রয় করার কৌশলটি হল সেট আকারে। একই সেটে অনেক টাইপের পন্য পাবেন যেমন থালা, বাটি, কাপ, গ্লাস, ইত্যাদি ২৫ টি বা ৩০ টি পন্য মিলে একটি সেট তৈরি করে উনি বিক্রি করেন।

আপনি বাজারে মাটির তৈরি পন্য পাবেন কিন্তু একই সাথে এতো পন্য পাবেন না। এবং উনার ফেসবুক পেজটি দিন দিন গ্রো করছে।

ফেসবুক পেজটি ঘুরে আসতে পারেন।

Facebook Business
Source: Tahmina’s Shajghor
https://web.facebook.com/tahmina99shajghor/

শুধু ফেসবুক নয় যেকোন ধরনের সোস্যাল মিডিয়া মাধ্যম ব্যবহার করে আপনি ব্যবসা করতে পারেন। তবে সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে ব্যবসা করে সফল হতে চাইলে সঠিক ভাবে ব্যবসা করতে হয়। আপনার ব্যবসার আপনাকে ১০০% রয়েল থাকতে হবে।

ঘরে বসে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ইনকাম

বর্তমানে হাজার হাজার মোবাইল অ্যাপ আছে যার মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। কিছু কিছু অ্যাপ আছে যার মাধ্যমে কাজ করে আয় করা সম্ভব।

আবার অনেক অ্যাপ যার মাধ্যমে টাকা আয় করা যায় না। অ্যাপ দিয়ে ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে বুঝতে হবে কোন অ্যাপ গুলো ভালো মানে ফেক নয়।

আমার জানা কিছু অ্যাপ আছে যে গুলো দিয়ে আপনি আয় করার জন্য চেষ্টা রকতে পারেন।

  1. FieldAgent ( ফিল্ড এজেন্ট )
  2. Featurepoints ( ফিচার পয়েন্ট )
  3. Foap ( ফোপ )
  4. Mipic ( মিপিক )
https://www.webemployed.com/make-money-from-smartphone-apps/

ফিল্ড এজেন্ট ( FieldAgent )

প্রতি কোম্পানি তাদের পণ্যের কাস্টমার ফিডব্যাক চায়। সার্ভের মাধ্যমে কোম্পানি গুলো তাদের পন্যের ফিডব্যাক নিয়ে থাকে। ফিল্ড এজেন্ট অ্যাপ সরাসরি কাস্টমারের কাছ থেকে লাইভ ফিডব্যাক নিয়ে থাকে।

ধরুন, আপনি ফিল্ড এজেন্ট অ্যাপ টি ব্যবহার করেন বিভিন্ন কোম্পানির পন্যের ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য। এই রকম একটি কোম্পানির কাজ আপনি ফিল্ড এজেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে পেলেন।

আপনাকে বলা হল যে একটি নিত্য পন্য বিক্রয় এমন একটি দোকানে যান। এবং সেই দোকানের লাইফ-বয় সাবান আছে এমন একটি ব্লকের ছবি তুলে আমাদের কাছে সেন্ড করুন।

এই ভাবে আপনার কাছ থেকে ফিল্ড এজেন্ট অ্যাপটি তথ্য সংগ্রহ করে লাইফ-বয় কোম্পানির কাছে তথ্য শেয়ার করবে।

যেহেতু হাজার হাজার মানুষ এই অ্যাপের সাথে যুক্ত সেহেতু ফিল্ড এজেন্ট অ্যাপ তথ্য সংগ্রহ করবে। আসলে কাজটি নির্ভর করবে কোম্পানি ফিল্ড এজেন্ট অ্যাপের কাছে কোন ধরনের তথ্য চাচ্ছে।

আপনার কাজটি হল ডাটা সংগ্রহ করা। ডাটা গুলো টেক্স, অডিও, ভিডিও হতে পারে। এখানে নিদিষ্ট কোন বেতন নেই আপনার কাছে যেমন কাজ আসবে সেই অনুযায়ি আপনি আয় করতে পারবেন। এবং ফিল্ড এজেন্ট অ্যাপের সমস্ত কাজ মোবাইলের মাধ্যমে করতে পারবেন।

সাধারনত প্রতিটি কাজের জন্য ২ থেকে ১২ ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট পাওয়া যায়। পেমেন্ট অপশন হচ্ছে পেপাল। আপনি ডলার ক্যাশ-আউট করার ৭ দিনের মধ্যে আপনার পেপাল একাউন্টে পেয়ে যাবে। পেমেন্ট নিয়ে কোন সমস্যা হয় না। কারন ফিল্ড এজেন্ট ১০০% রিয়েল অ্যাপ।

Join Now

ফিচার পয়েন্ট ( Featurepoints )

ফিচার পয়েন্ট অ্যাপটি আপনাকে সরাসরি কোন কাজের জন্য ডলার প্রদান করবে না। আপনি প্রতিটি কাজের জন্য পয়েন্ট পাবেন পরর্বতীতে পয়েন্ট গুলোকে ডলারে কনভার্ট করতে পারবেন।

অ্যাপ ডাউনলোড, সার্ভে, ক্যাশ ব্যাক, এবং পেইড কনটেষ্ট ইত্যাদি মাধ্যমে ফিচার পয়েন্ট অ্যাপ থেকে আয় করা যায়।

সবথেকে সহজ উপায় হচ্ছে তাদের দেওয়া অ্যাপ গুলো ডাউনলোড করে আয় করা। আপনি যে কোন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে এই কাজ গুলো করে আয় করতে পারবেন।

পয়েন্ট গুলো ক্যাশ করে পেপাল একাউন্টে নিয়ে আসতে পারবেন। অথবা আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের গিফট কার্ড ক্রয় করতে পারবেন লাইক অ্যামাজন কার্ড, স্টার বাক, আই-টিউন, ইত্যাদি।

Join Now

ফোপ ( Foap )

এই মোবাইল অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি ছবি এবং ভিডিও বিক্রয় করতে পারবেন। বর্তমানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খুবেই সুন্দর সুন্দর ছবি তোলা যায়। একটু ইউটিউব ভিডিও দেখে প্রোফেশলান মোবাইল ছবি তোলা শিখে নিতে হবে আপনাকে।

ফোপ অ্যাপে আপনি আপনার তোলা ছবি আপলোড করলেই যে অর্থ পাবেন বিষয়টা এমন নয়। আপনাকে ছবি তুলে ফোপ অ্যাপে আপলোড করতে হবে।

যদি আপনার তোলা ছবি কেউ ক্রয় করে তাহলে আপনি অর্থ পাবেন। আপনার ছবি বিক্রয় করে যে অর্থ পাবেন তার ৫০/৫০ ভাগ হবে। মানে ১০০ ডলার ছবি বিক্রয় হলে ফোপ পাবে ৫০ ডলার আপনি পাবেন ৫০ ডলার। ফোপ প্রতি ফটো ১০ ডলারে বিক্রয় করে থাকে। বিক্রয়কৃত ফটোর ৫ ডলার আপনি পাবেন বাকি ৫ ডলার পাবে ফোপ।

মাঝে মাঝে ফোপ আপনি নিদিষ্ট টপিকের উপর ছবি তুলতে বলবে। সাধারনত নিদিষ্ট টপিকের ছবি গুলো বেশি বিক্রয় হয়।

নিদিষ্ট টপিক বলতে যেমন শেষ বেলার ছবি তুলে আপলোড করুন। অথবা ভোরের সূর্য উদয়ের ছবি তুলো আপলোড করুন।

শুধু ছবি নয় আপনি চাইলে ভিডিও বিক্রয় করে আয় করতে পারবেন। ফোপ অ্যাপ থেকে আয়কৃত অর্থ আপনি পেপাল একাউন্টের মাধ্যমে নিয়ে আসতে পারবেন।

Join Now

মিপিক ( MiPic )

আপনি খুব ভালো আর্ট বা ছবি তুলতে পারেন। এই দুইটি গুন আপনার থাকলে আপনি মিপিক থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যে ছবি গুলো আর্ট করবেন তার ছবি তুলে মিপিক অ্যাপে আপলোড করতে হবে। এবার মিপিক অ্যাপ ছবি গুলোকে বিভিন্ন ধরনের পন্য যেমন শার্ট, টি-শার্ট, ব্যাক, ইত্যাদির মধ্যে বসিয়ে তাদের অ্যাপ স্টোরে সাজিয়ে রাখবে।

Mipic App Store
Source: MiPic

এখন কোন ব্যক্তি আপনার ছবি দিয়ে ডিজাইন করা শার্টটি অর্ডার করলে মিপিক তাদের সেই ডিজাইনের শার্ট প্রদান করবে।

যেহেতু আপনার আর্ট করা ছবির ডিজাইন বিক্রয় হয়েছে সেহেতু আপনি মিপিক থেকে কমিশন পাবেন। সাধারনত প্রতিটি বিক্রয়ের জন্য ২০% বা বেশি কমিশন পাওয়া যায়।

আপনার কমিশন কৃত অর্থ যে কোন সময় মিপিক অ্যাপের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। তবে আয়কৃত অর্থ উত্তোলন করার জন্য পেপাল একাউন্ট লাগবে।

Join Now

ঘরে বসে মোবাইলে আয় করতে চাওয়ার সমস্যা।

কথাটি কঠিন হলেও সত্য যে আমরা মোবাইল ফোন দিয়ে আয় করতে চাই না বা করি না। এর প্রদান কারন হল অর্থ উত্তোলন করা।

কারন বেশির ভাগ কোম্পানি তাদের আয় কৃত অর্থ উত্তোলন করার জন্য পেপাল ব্যবহার করে থাকে। অন্যদিকে আমাদের দেশে পেপাল সাপোর্ট করে না। যদিও বার বার এই নিয়ে কথা হলেও কাজের কাজ এখনো কিছুই হয়নি।

মোবাইল দিয়ে আয় করে কি জীবন পরিচালনা করা সম্ভব?

দেখুন আপনি যদি ক্রিয়েটিভ ওয়ার্ক করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আয় করা শুরু করেন। তাহলে আমি বলব ছোট খাটো একটি পরিবার চালানো সম্ভব।

কিন্তু আপনি যদি অ্যাপ, মাইক্রো ওয়ার্ক করে আয় করে পরিবার চালাতে চান তাহলে সম্ভব নয়। হ্যাঁ আপনি আপনার পকেট খরচ চালাতে পারবেন। ক্রিয়েটিভ ওয়ার্ক বলতে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ইফ্লুয়েন্সার, ইত্যাদি।

মোবাইল ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে কী?

ঘরে বসে আয় করার সব থেকে ভালো মাধ্যম বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং। কিন্তু আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে বা করতে চান সেই ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন দিয়ে করা সম্ভব নয়।

কোন সম্ভব নয় এর অনেক কারন আছে। যেমন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং বা গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন এই ভালো ভাবে বোঝার জন্য প্রাকটিস করার দরকার। ভালো প্রাকটিস করার জন্য অবশ্যই একটি কম্পিউটারের দরকার হবে।

ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে আয় করার ভালো উপায় কি?

যদি আমাকে এই কথাটি ব্যক্তিগত ভাবে জিজ্ঞসা করেন তাহলে আমি বলব ব্যবসা। আপনি আপনার মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করে সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।

কারন বাংলাদেশের অনেক মেয়ে, ছেলে ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। আবার একই সাথে অনেকে প্রতারনার স্বীকার হচ্ছে। সুতরাং আপনাকে ফেসবুকে ব্যবসা করার জন্য সত থাকতে হবে। সততা হল সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে ব্যবসা করার মূল শর্ত।

Click the above button to visit next page

You visited 1/10 pages

This div height required for enabling the sticky sidebar